খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০১৬: খন্দকার শাহিন ঃ নরসিংদীতে নিখোজের ৩দিন পর তৃতীয় স্কুল ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বেলা ১২ নরসিংদীর সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের রাজার্দী গ্রামে কলাক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত স্কুল ছাত্রে নাম দূর্জয় দাস মরন (১১) চিনিশপুর ইউপি সদস্য বিজন কুমার দাসের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সুমন নামের এক যুবককে আটক করেছে। স্কুল ছাত্র হত্যার ঘটনায় তৎক্ষনিক মানকবন্ধন করেছে রাজদী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহপাঠিরা।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে নিহত দূর্জকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু অনিক সাহা। এর পর সে আর বাড়ি ফেরেনি । কোথাও তার কোন সন্দান না পেয়ে সদর মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেন নিহতের বাবা । এরই মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বাড়ির অদূরে একটি কলা বাগান দূর্গন্ধ বের হতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন কলা বাগানের ভেতরে লতাপাতা দিয়ে ডাকা স্কুল ছাত্রের অর্ধ গলিত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এদিকে স্কুল ছাত্র দূর্জয় দাস মরনের নিহতের খবর বাড়িতে পৌছলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা-বাবা ও স্বজনরা। স্বজনদের আত্মনাদে আশে পাশের পরিবশে ভারী হয়ে উঠে। নির্মম এই হত্যাকান্ডের খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) খালেদ ইবনে মালেক ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, সদর মডেল থানার ও.সি (তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানাযায়,চিনিশপুরের বিভিন্ন মহল্লায় মাদকের রমরমা বানিজ্য হয়। মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা সহ মাদক নির্মূলে কাজ করে আসছে। এতে ক্ষিপ্ত ছিল স্থানীয় মাদক ব্যাবসায়ীরা। এরই জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে রাজাদী স্কুলের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র দূর্জয় হত্যাকান্ডের খবরে বিক্ষোভে ফুসে উঠেছে নিহতের সহপাঠী শিক্ষক-শিক্ষকা সহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিচারের দাবীতে তৎক্ষনিক রাস্তায় নেমে আসেন তারা। খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন রাজাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিপি সাহা,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক দীপক সাহা,সাবেক ইউপি সদস্য কদর।
রাজাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিপি সাহা বলেন,নির্মম এ হত্যাকান্ড মেনে নেয়া যায়না। তাই খুনিদের এমন শাস্তি দেয়া হউক যা দেখে অপরাধীরা ভয়পাবে।
সদর মডেল থানার ও.সি (তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, পারিবারিক কোন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সুমন নামের এক জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।