Mon. Sep 22nd, 2025
Advertisements

26খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০১৬: মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর : আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবনের শুরুতে চলছে মুষলধারে বৃষ্টি। বর্ষার এই ভরা মৌসুমে নদী নালা খালবিল যখন পানিতে থইথই তখন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার গোবিন্দপুর, আলোকডিহি, বিশ্বনাথপুর ,বিন্যাকুড়ি, উচিৎপুর ও বাসুদেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা মেলেনি বাঁশের তৈরী চাই (ডাইরকি) দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য। এতে করে প্রতি বছর চাই বিক্রি ক্রমানয়ে কমেই চলছে। উপজেলার অদূরে পাঁচবাড়ী, পার্বতীপুর, আমবাড়ী, যশাই, ভুষিরবব্দর, রানীরবন্দর হাট ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমে মাছ ধরার চাই যা স্থানীয় ভাষায় বাঁশের তৈরি (ডাইরকি) নিয়ে বসে আছেন কারিগররা। নিপুণ হাতের তৈরি এসব চাই বিক্রি হচ্ছে খুবই কম। কারিগর পরিমল জানান, চাই তৈরির জন্য বাঁশ ক্রয় করে এ কাজে বাড়ির গৃহিণী থেকে শুরু করে ছেলে-মেয়েরাও সহযোগিতা করে। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে এসব তৈরি করে থাকেন তারা। এসব তৈরিতে প্রকার ভেদে খরচ পড়ে ১’শ থেকে ৩শ’ টাকা। আর তা বিক্রি হয় ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকায়। কিন্তু দিনদিন কমে যাচ্ছে চাই বিক্রি । কারিগররা আরও জানান, এসব তৈরিতে আগের চেয়ে তৈরি খরচও বেড়েছে। ফলে আগের মতো আর লাভ হয়না। এমনিতে নদী- নালা ও জমিতে পর্যাপ্ত পানি হলেও নেই কোন মাছের দেখা। এছাড়া দেশি মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। ফলে চাই আর আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না। পুনট্টি ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের মোঃ আজিজার রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমি চাই দিয়ে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কেজি মাছ ধরতাম, তা বিক্রি হত ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা। যা দিয়ে আমার সংসার চলতো কিন্তু বর্তমানে খাল-বিল ভরাট থাকলেও দেখা মিলছেনা মাছের। তাই অন্য কাজ করে চলতে হচ্ছে। চিরিরবন্দরের সুশীল সমাজর অনেকে জানান, কৃষি ও অন্যান্য চাষাবাদে প্রয়োগ করা হচ্ছে অতিরিক্ত কীটনাশক যার ফলে বিলুপ্তি হচ্ছে সু-স্বাদু দেশী প্রজাতির মাছ। দেশীয় মাছ বিরুপ্তির কারনে যেসব জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের ব্যবহ্যত চাইসহ মাছ ধরার অন্যান্য উপকরনকে টিকিয়ে রাখতে হলে সবাইকে সচেতন হয়ে দেশীয় মা মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে।