Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

সূর্য স্পর্শের মিশনে প্রস্তুত নাসাখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০১৬: নাসার সূর্য ‘স্পর্শ’ মিশন আরো এক ধাপ এগিয়েছে। সম্প্রতি নাসা ঘোষণা করেছে যে, ২০১৮ সালের সালের ট্র্যাক বজায় রেখে ‘সোলার প্রোব প্লাস’ মিশন একটি বিশাল মাইলফলক অর্জন করেছে।
‘সোলার প্রোব প্লাস’ মিশন শুরু হবে এমন একটি মহাকাশযান নির্মানের মাধ্যমে, যেটি সূর্যের বায়মণ্ডলের ওপর দিয়ে যাবে এবং সূর্যকে স্পর্শ করবে। এটি সূর্যের কক্ষপথে ২৪ বার প্রদক্ষিণ করবে। এবং তারপর শুক্র গ্রহকে অনেক কাছ থেকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে তার মিশন সম্পন্ন করে আলোকমণ্ডল অথবা সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
এর মধ্যে তিনটি পরিমণ্ডল সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪ মিলিয়ন মাইল অধীনে হবে- যা এখন পর্যন্ত যেকোনো মহাকাশযানের তুলনায় ৭ গুণ বেশি কাছাকাছি হবে।
পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশ যান যে ধরনের সৌর তীব্রতার মুখোমুখ হয়, তার তুলনায় ৫০০ গুণ বেশি সৌর তীব্রতার মুখোমুখি হতে হবে নতুন মহাকাশ যানটিকে সূর্যের কাছাকাছি যাওয়ায়।
নাসা জানিয়েছে, মহাকাশযানটি সৌর কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে, যা বিজ্ঞানীদের প্রধান স্থান সমূহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করবে, যেমন সৌর অগ্নিতরঙ্গ যা পৃথিবীর জীবনে প্রভাব ফেলে। সৌর অগ্নিতরঙ্গ বা সূর্য থেকে আগত উচ্চ শক্তি স্যাটেলাইট এবং বিদ্যুতের লাইনে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।
সোলার প্রোব প্লাস’ এর প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে আলোকমণ্ডল থেকে আগত শক্তির প্রবাহে লক্ষ্য করা, সেইসঙ্গে এটির তাপেরমাত্রা বুঝতে পারা।
বিজ্ঞানীরা ৬০ বছর ধরে এই মিশনের স্বপ্ন দেখেছেন এবং বর্তমানের প্রযুক্তি পরিশেষে এটা ঘটতে সাহায্য করবে।
প্রোবের যন্ত্রের সহযোগীতায় বিজ্ঞানীরা ম্যাগনেটিক ফিল্ড, প্লাজমা, শক্তিশালী কণা, পাশাপাশি ইমেজ হিসাবে সৌর বায়ুতেও অধ্যয়ন করতে সক্ষম হবেন। ৪.৫ ইঞ্চি পুরুত্বের কার্বন আস্তরণ সূর্যের অত্যাধিক তাপমাত্রা থেকে প্রোবকে রক্ষা করবে (যা প্রায় ২৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছাতে পারে)।
সোলার প্রোব প্লাস মিশন হচ্ছে, মহাকাশযান সূর্যের যথেষ্ট কাছে গিয়ে সৌর বাতাসের গতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে এবং এটা শক্তিশালী সৌর কণার উৎপাদনকেন্দ্রে উড়ে আসতে সক্ষম হবে।
নাসার এ প্রকল্পটির সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি মিশন বাস্তবায়নের চূড়ান্ত নকশা তৈরি করে ফেলেছেন।