Sun. Sep 14th, 2025
Advertisements

22খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ আগস্ট ২০১৬: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা রক্তদান কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন। এটার মতো মহৎ উদ্যোগ আর হতে পারে না। এমনিভাবে জাতির পিতাও আমাদের রক্তের ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে এ রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ উদ্যোগের মতো মহৎ আর কিছু হতে পারে না। এমনিভাবে জাতির পিতাও আমাদের রক্তের ঋণে আবদ্ধ করেছেন। লাখো শহীদ আমাদের রক্তের ঋণে আবদ্ধ করেছেন। আপনারাও রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচান, মানুষের পাশে দাঁড়ান।
তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ম‍ানুষের সেবা করুন, মানুষের সেবার মতো শান্তি দুনিয়ায় আর কিছুতে নেই। কোনো দিন গরিব-দুঃখীর ওপর অত্যাচার করবেন না। মানুষ হাত তুলে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের আগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে বাঙালির কোনো অধিকার ছিলো না। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালির অধিকার আদায়ের কথা বলেছেন। সে কারণে তাকে নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।
‘ রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়ার পরও তিনি সবসময় ন্যায্য অধিকারের কথা বলেছেন। তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই স্বাধীন রাষ্ট্রে আমরা কাজ করতে পাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি। যুদ্ধজয়ের পর মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভারতের সৈন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।
‘তিনি শুধু স্বাধীনতা এনেই দেননি। মানুষের মুক্তির জন্য ব্যাপক কর্মসূচিও হাতে নিয়েছেন। যুদ্ধের পর এ দেশে রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট ছিলো না। ছিল না অবকাঠামোগত কিছুই। জাতির পিতা সেই বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, যেসব আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো, পরে তাদের ষড়যন্ত্রেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মা ফজিলাতুন্নেছা, আমার ভাই শেখ কামাল, জামাল, ছোট্ট রাসেলকেও তারা হত্যা করেছিলো।