খোলা বাজার২৪, রোববার, ২১ আগস্ট ২০১৬: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, দেশের উন্নয়নে যারা কাজ করছে তাদের কর্তব্য হল পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য করা। এভাবেই সমাজ ও দেশ সামনে এগিয়ে যাবে।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-এর মাল্টিপারপাস হলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের উন্নয়নে সামাজিক কর্মকান্ডে স্বার্থহীনভাবে শিক্ষার্থীসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমপি হওয়ার স্বপ্ন কোনদিনও ছিল না, কিন্তুদেশের অসহায় মানুষের সহায়তায় কাজ করে গেছি। স্বার্থ ছাড়া কাজ করেছি বলেই এই দেশ বাংলাদেশ হয়েছে’।
সিজেডএমর উপদেষ্টা ও সাবেক তথ্য সচিব ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ আবদুল মজিদ, এ কে খান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন কাসেম খান, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের (এসইএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আউয়াল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে জিনিয়াস স্কলারশিপ কর্মসূচীর ঢাকা বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাসিক বৃত্তি প্রদান ছাড়াও এ স্কলারশিপের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিমাসে বিভিন্ন প্রণোদনামূলক ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, সময় ও মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক দায়িত্ব পালন ও ভাষা শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং ধনী ব্যক্তিদের প্রদত্ত যাকাতের মাধ্যমে গঠিত যাকাত তহবিল থেকে এই বৃত্তি ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে প্রদান করা হচ্ছে। সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জিনিয়াস স্কলারশিপ কর্মসূচীর ঢাকা বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। চলতি বছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাইকৃত ৩০০ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এই সকল শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ বছরে ঢাকা অঞ্চলের তিনশত শিক্ষার্থীসহ সারাদেশে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে ।