শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার ওপর সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রক্রিয়া জোরদারে শিক্ষা হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
মন্ত্রী আজ এখানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মোট ২৩,৩৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের আওতায় এসেছে। ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এখন স্কুলে যাচ্ছে। ১০ কোটি লোক এখন মোবাইল ফোন এবং ৫ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
নাহিদ বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটালাইজড এবং মধ্যম আয়ের দেশ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের সাধারন নির্বাচনের আগে এই স্বপ্ন দেখেছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী এর আগে জাতীয় পতাকা এবং বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর এবং কুয়েট ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. তারাপদ ভৌমিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে বণার্ঢ্য মিছিল, আলোচনা সভা, সৃষ্টিশিল প্রকল্প প্রদর্শন, সদ্য নির্মীত ছাত্রাবাস উদ্বোধন, বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবরেটরি উদ্বোধন, চ্যারিটি ফুটবল ম্যাচ, দোয়া মাহফিল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,শিক্ষক ও কর্মচারিরা এতে আংশ নেন। এর আগে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারিরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে জাতীয় ও বিশ্বদ্যিালয়ের পতাকা উড়ানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বের হয়। মিছিলটি কুয়েট মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। পরে শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য এখনো পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তিনি বলেন, শিক্ষা সেক্টরে শিক্ষকরাই প্রধান শক্তি। সুতরাং শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষকদেরকেই মূল ভূমিকা রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ডিন, প্রভোস্ট ও প্রক্টোরগণ যোগ দেন।