Fri. Oct 17th, 2025
Advertisements

বাগেরহাটে নানা সমস্যায় জর্জরিত নার্সিং ইনস্টিটিউটখোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬: বাগেরহাট শহরের মুনিগঞ্জ এলাকায় ১৯৯৫ সালে ৩ একর জায়গার উপর গড়ে উঠে নার্সিং ইনস্টিটিউট একণ নানা সমস্যায় জর্জরিত। ঝুকিপুর্ন এ পুরাতন ভবনের কোয়ার্টারের ছাদ থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই পড়তে থাকে পানি। নেই পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা আর বাবুর্চি না থাকায় এখানে পড়তে আসা দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীদের খেতে হচ্ছে নিজেদের রান্না করে। যার কারনে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আর অস্থাকর পরিবেশে থাকার কারনে এখানে থাকা ছাত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন চর্মরোগে। এ বিষেয় সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন পতিকার পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সরোজমিনে বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখা যায়, নার্সিং ইনস্টিটিউট নেই ফ্যান এখনো গড়ে উঠেনি ইন্টারনেট ও কম্পিউটার ল্যাব। আধুনিককালে ডিজিটাল যুগে এই ইনষ্টিটিউটে কোন ল্যাব গড়ে উঠাতো দুরের কথা কম্পিউটার চোখে দেখেনি নার্সিং ইনস্টিটিউটের দেড় শতাধিক ছাত্রী।

ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা এ প্রতিনিধিকে জানান, লাইব্রেরিতে বৃষ্টি হলে পানি পড়ে, ছাদ ধসে পড়ে। প্রতিরুমে পানি পড়ে বই খাতা ভিজে যায়। ফ্যান নেই,গরমে পড়া যায়না। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নেই। ইনস্টিটিউটে কোন বাবুর্চি নেই। আমরা টাকা দিয়ে রান্না করাই। তা আবার সব সময় পাইনা। অনেক সময় আমাদের না খেয়ে ডিউটিতে যেতে হয়। নিজেরা রান্ন্ করি।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ সমস্যা গুলো সম্পর্কে আমরা জানিয়েছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেইনি। প্রয়োজনীয় সুপেয় পানির অভাবে আমাদের চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ লেগেই আছে। বাধ্য হয়ে শ্যালো টিউবওয়েল দিয়ে পানি ব্যবহার করতে হয়।

বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্যাক্টার ইনর্চাজ কনিকা রানী সরকার বলেন, ১৯৯০ সালে এ নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হবার পর ভালোই ছিলো। আমি ২০০৮ সালে আসার পর এসে দেখি ছাদ থেকে পানি পড়ে, মেয়েরা খুব কষ্টে বসবাস করে। এখানে ষ্টাফের সমস্যা সত্বেও সব কিছু সুন্দর ভাবে করার চেষ্টা করি। কোয়ার্টার থেকেও পানি পড়ে। কর্তৃপক্ষকে জানায়েছি ব্যবস্থা নিলে সুন্দরভাবে ক্লাশ করানো যাবে।