Fri. Oct 17th, 2025
Advertisements

56kরাজধানীর আজিমপুরে পুলিশি অভিযানের সময় সন্দেহভাজন যে জঙ্গির লাশ পাওয়া গেছে, তিনি গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের ধারণা।
রোববার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ওই যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত হয়।
ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, “ওই যুবকের গলার বাঁ পাশে কাটা জখম রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, “সুইসাইড করলে যে ধরনের নমুনা থাকে, অর্থাৎ ডান হাতে ছুরি ধরে বাম গলায় আঘাতৃএই যুবকের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। এই নমুনা থেকে ধারণা করছি- আত্মহত্যা।”
ওই যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো ছুরির খোঁচা বলে মনে হয়েছে চিকিৎসকের কাছে। তবে গলার আঘাত থেকে রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে সোহেল মাহমুদের ধারণা।
তিনি বলেন, “তার ডান হাতের কাছে ঝলসানো জখমও রয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ থেকে ওটা হয়েছে বলে ধারণা করছি।”
শনিবার সন্ধ্যায় আজিমপুর বিজিবি সদরদপ্তরের ২ নাম্বার গেইটের এক বাসায় পুলিশের অভিযানের সময় ওই লাশ পাওয়া যায়। আহত হন সন্দেহভাজন তিন নারী জঙ্গি ও পাঁচ পুলিশ সদস্য।
রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গুলশান হামলাকারীদের জন্য বসুন্ধরায় ‘আবদুল করিম’ নাম ব্যবহার করে যিনি বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন, তার ছবির সঙ্গে আজিমপুরে নিহতের চেহারার মিল পাওয়া গেছে।
এরপর রোববার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান বলেন, আজিমপুরের ওই বাসা থেকে ১২-১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে তারা উদ্ধার করেছেন। ছেলেটি পুলিশকে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি তার বাবা, তার নাম জামশেদ, বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়ায়।
ওই ছেলেটির সঙ্গে আরও দুটি মেয়ে শিশুকে ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আর আটক তিন নারীর মধ্যে একজন পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাকি দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই দুইজনও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা।