Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17kআহমদ রফিক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এযাবৎ এমন বড় একটা ঘটেনি বলা চলে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলভুক্ত দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন অজনপ্রিয়তার, এমন মতামত প্রকাশ পেয়েছে একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কলমে। অর্থাৎ দুই প্রার্থীর কাউকে তাদের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যথেষ্ট যোগ্য মনে হচ্ছে না মার্কিন জনতার। অথচ অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে এ দুজনের মধ্য থেকেই একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করতে হবে ভোটারদের। বিকল্প কিছু নেই। রাজনীতির একি দুঃসহ পরিহাস!
সাধারণত গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার জরিপই করা হয়ে থাকে নমুনা-জনসংখ্যার মতামতে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত এর বিপরীতটিই ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ প্রাথমিকে নির্বাচিত দুই প্রার্থীর রাজনৈতিক চারিত্র্য-বৈশিষ্ট্য—সে ক্ষেত্রে যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তেমনই হিলারি ক্লিনটন। তবে কথাটা বিশেষভাবে খাটে ট্রাম্প সম্পর্কে। সে হিসেবে হিলারি একটু এগিয়ে। বর্ণবাদী, অভিবাসীবিরোধী, মুসলিমবিদ্বেষী ও উগ্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনা তিনি নিজেই। রাজনীতিতে অনাগ্রহী, সফল এই বৃহৎ ব্যবসায়ীর হঠাৎ করেই মনে হলো তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কারণ আর কিছু নয়, আধিপত্যবাদী শক্তিমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার গৌরবোজ্জ্বল মহিমা বর্তমান শাসনে পড়তির মুখে, দেশ নানা বর্ণের অভিবাসীর অনাকাক্সিক্ষত বিচরণে দূষিত। এ অবস্থা থেকে প্রিয় মাতৃভূমি যুক্তরাষ্ট্রকে মুক্তি দিতে হবে, তাই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে বসে এর বিহিত করতে হবে।
তাই প্রাথমিক দলীয় নির্বাচনে এসেই তাঁর উগ্র, রক্ষণশীল, যুক্তিহীন কথাবার্তা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, বলতে হয় গণমাধ্যম হতবাক। তেমনি রাজনীতিসচেতন মানুষ যারা এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জনপ্রিয়তার দৈনন্দিন ওঠানামা পর্যবেক্ষণে আগ্রহী, এমন মানুষের সংখ্যা দেশ-বিদেশে কম নয়। অবস্থাদৃষ্টে তাদের কেউ কেউ ট্রাম্প সম্পর্কে ভাবছেন : এ খ্যাপা মানুষটা কেন নির্বাচনের লড়াইয়ে নামতে গেলেন? আবার একই কারণে কারো কারো ভাবনা, হিলারির পরিবর্তে বার্নি স্যান্ডার্সই বোধ হয় যোগ্যতর প্রার্থী হতেন।
দুই.
আর এসব দেখে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিকের সরস নিজস্ব প্রতিবেদনে মন্তব্য : ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত অজনপ্রিয় প্রার্থী আর দেখা যায়নি। পরিস্থিতি এমন যে হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কে বেশি অজনপ্রিয়, জরিপ করা হচ্ছে তা নিয়েই। কারণ দুই প্রার্থীরই জনপ্রিয়তার চেয়ে উল্টোদিকে ভোটারদের আগ্রহ বেশি।’ অর্থাৎ প্রার্থীদের যোগ্যতা বিচারে ইতির চেয়ে নেতির টান বেশি। সেদিক থেকে উভয়ে তুল্যমূল্য।
তাই চলতি সপ্তাহের জরিপে দেখা যাচ্ছে, হিলারি ক্লিনটনের অজনপ্রিয়তার হার ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র ৪৪ শতাংশ বা তার কমসংখ্যক ভোটারের কাছে হিলারির জনপ্রিয়তা—এর মধ্যে নিরপেক্ষ চিন্তার লোকও থাকতে পারে। তুলনায় প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের অজনপ্রিয়তার হার ৬৩ শতাংশ। ভাবা যায় নির্বাচনে এমন একটি বিদঘুটে পরিস্থিতির কথা। কিন্তু বাস্তবে এমনটাই ঘটছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্পের মতো একজন উদ্ভট চরিত্রের প্রার্থীর মুখোমুখি দাঁড়াতে না হলে হিলারির জনপ্রিয়তার হার আরো অনেক নিচে নেমে যেত, অর্থাৎ প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই এমন সত্যই জরিপে ধরা পড়ত। এর কারণ অবশ্য উইকিলিকসের ফাঁস করা হিলারির ই-মেইল বিষয়ক অনিয়মতান্ত্রিক তথ্য। সেই সঙ্গে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থাগমের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন হিলারির বাতাস-লাগা পাল ছিদ্র করে দিতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা তো বাংলাদেশি ভোটারদের চেয়েও হুজুগে। এক দিকে চলতে চলতে লাল কিছু দেখলে আর কথা নেই দলেবলে উল্টোদিকে যাত্রা। তাই ডেমোক্র্যাট কনভেনশনের পর হিলারির পক্ষে দৃশ্যমান জনসমর্থন পূর্বোক্ত বিরূপ তথ্যের টানে দেখা যাচ্ছে উল্টো যাত্রায় জোরালো হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি নিউজের পরিচালিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, হিলারির জনপ্রিয়তা কমে ৪১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে, যা এখন নিম্নমুখী।
তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো তাঁকে অপছন্দ করছে ৫৬ শতাংশ আমেরিকান, যা যুক্তরাষ্ট্র্রে কারো প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতার পক্ষে কথা বলে না। তাতে মনে হয়, তাঁর নিজ দলের মধ্যেও তাঁর পক্ষে সমর্থনের হার কমতির দিকে। এর আরেকটি বড় কারণ হতে পারে নব্য রক্ষণশীলদের সঙ্গে হিলারির দহরম-মহরম, যা উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটদের পছন্দ হওয়ার কথা নয় এবং তা হচ্ছেও না। তাই তাদের সমর্থনের হার কমছে। কমছে সম্ভবত একই কারণে হিস্পানিকদের মধ্যে। এমনকি এই পতন নারী ভোটারদের মধ্যেও দৃশ্যমান, যার কারণ বোঝা কষ্টকর। তবে কারণ আরো আছে, যে সম্পর্কে পরে বিস্তারিত বলছি।
তাই বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থা যে খুব ভালোর দিকে তাও নয়। প্রাইমারিতে অর্থাৎ দলীয় মনোনয়নে তাঁর অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রধান কারণ ছিল রক্ষণশীল শ্বেতাঙ্গদের ভোট, যারা এখনো সমাজের বৃহত্তর অংশ। কিন্তু মূল নির্বাচনী অভিযানে অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে হিলারির সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ট্রাম্পকে পিছিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।
এর কারণ যে রাজনৈতিক রক্ষণশীলতা সে কথা এরই মধ্যে বলা হয়েছে। যে কারণে তাঁর নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশ তার বিরোধী। তাঁরা ট্রাম্পের এতটা উগ্রতা পছন্দ করছেন না। বিশেষ করে তাঁর জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁর বক্তব্যের স্ববিরোধিতা। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক অধ্যাপক তো ট্রাম্পকে ‘চরমপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা একজন রাজনৈতিক শাসকের জন্য সদগুণ নয়।
সম্ভবত এমন চরমপন্থী রাজনীতিসহ অনুরূপ একাধিক কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসমর্থনের হার কমে ৩৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। জনমানসচিত্রের সর্বনাশা দিক হলো ট্রাম্পকে অপছন্দ করা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৬৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পক্ষে রীতিমতো আশঙ্কাজনক। তবে শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। নভেম্বরের ৮ তারিখ আসতে এখনো বেশ কিছুদিন বাকি।
এরই মধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, যা ট্রাম্পকে স্থির বিন্দুতে রেখেই হিলারির জনপ্রিয়তা তথা জনসমর্থনে টান পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বিজয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। অথবা হতে পারে ট্রাম্পের ভোটার সমর্থন বেড়ে গেল বা যুক্তরাষ্ট্রীয় নির্বাচনের ইলেক্টোরাল জটিলতা ট্রাম্পের পক্ষে নিশান উড়িয়ে দিল, যেমনটা দেখা গিয়েছিল জুনিয়র বুশের নির্বাচনী জয়ের কলাকৌশলে, যা প্রকৃতপক্ষে তাঁকে নিশ্চিত পরাজয় থেকে উদ্ধার করে জিতিয়ে দিয়েছিল।
তিন
সত্যি এ বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উদ্ভটত্ব একটু বেশি মাত্রায় অসংগতিতে পূর্ণ। পরিস্থিতি এমনও হতে পারে যে পঞ্চাশ বা চল্লিশের নিচে জনসমর্থন নিয়ে হিলারি বা ট্রাম্প দুজনের মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন। এর বড় কারণ এবারকার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সত্যিকার জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রার্থী হিসেবে মঞ্চে এসে দাঁড়াননি, যার ক্যারিশম্যাটিক জাদুকাঠি জনমতের ভোল পাল্টে দিতে পারে।
আরো একটি অদ্ভুত তথ্য হলো এবারকার দলীয় সমর্থন কোনো প্রার্থীর পক্ষে একাট্টা বা একচেটিয়া নয়। রিপাবলিকান দলের অভ্যন্তরে ট্রাম্পবিরোধিতার বিষয়টি এতটা প্রকাশ্যে এসেছে, গণমাধ্যমে এতটা গুরুত্ব পেয়েছে যে এর প্রভাব পড়তে পারে নির্দলীয় ভোটার বা দোদুল্যমান দলীয় ভোটারদের ওপর। বলা বাহুল্য, এর পরিণাম ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে যাওয়ার কথা নয়।
অন্যদিকে বর্তমান ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে হিলারির অবস্থানও বলিষ্ঠ শুভবার্তা বয়ে আনছে না। দলীয় না হলেও নির্দলীয় উদারপন্থীদের মতামত পেন্ডুলামের মতো ডাইনে-বাঁয়ে দুলছে। কোথায় গিয়ে স্থির হবে তা বলা কঠিন। অন্যদিকে এলিট বুদ্ধিজীবী ও অনুরূপ সুধী (লেখক-সাংবাদিকসহ) মহলে এমন ব্যক্তির দেখা মিলছে, যিনি তাঁর লেখায় হিলারি ক্লিনটনের রাজনৈতিক ভাবমূর্তিতে কালির পোঁচ লাগাচ্ছেন।
তাঁদের একজন পল ক্রেইগ রবার্টস এমন কথাও বলতে পেরেছেন যে ‘ভোটাররা যদি হিলারিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে তাহলে বুঝতে হবে আমেরিকান জনতা এতটাই বোকা যে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব নয়। হিলারি-বিরোধিতার বহু কারণ তিনি তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আক্রমণের সঙ্গে ‘ই-মেইল’ প্রসঙ্গ ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের অর্থাগম প্রসঙ্গও রয়েছে।
রয়েছে এমন তথ্যও যে ক্লিনটনরা বৃহৎ পুঁজি, করপোরেট পুঁজির মস্ত মস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এজেন্ট, এক কথায় বৃহৎ পুঁজির সুবিধাভোগী, সেই সঙ্গে শক্তিমান রাজনৈতিক অবস্থান থেকে তাঁদের সুবিধাদানে অভ্যস্ত, এমনকি তাঁরা ইসরায়েলি লবির পৃষ্ঠপোষক ও সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণে পারঙ্গম। ফলে প্রভূত তাঁদের পারিবারিক সম্পদ। আর ক্লিনটন ফাউন্ডেশন তো অপরিমেয় বিত্তের ভাণ্ডার।
আর হিলারিকে তিনি অভিযুক্ত করেছেন নব্য রক্ষণশীলদের সঙ্গে আঁতাতে যুক্ত থাকার কারণে, তাঁর যুদ্ধবাদী নীতির কারণে, সর্বোপরি তাঁর মতে হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বশাসনের কর্তৃত্বপরায়ণ মতাদর্শে বিশ্বাসী। প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারি শাসনে আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী লড়াই বজায় থাকবে, এমনকি চীন-রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবস্থাও তৈরি হতে পারে, যেখানে রয়েছে আণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা।
এ ক্ষেত্রে আমাদের কথা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি এসবের ঊর্ধ্বে? তাঁর বিপুল বিষয়সম্পদ তাঁর ব্যক্তিগত বৈষয়িক দক্ষতার ফল হতে পারে, কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক মতামত তো আরো উগ্র, চরমপন্থী যা মানব-বিশ্বের ধারণার বিরোধী। এমন ব্যক্তি ওভাল অফিসে বসে মার্কিন প্রভুত্ব স্থাপনে আণবিক যুদ্ধাস্ত্রের বোতাম টিপবে না এমন নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? তা ছাড়া তাঁর বর্ণবাদ একুশ শতকের মার্কিন সমাজে কতটা গ্রহণযোগ্য?
আসলে এবারকার নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ও মতাদর্শিক বিশ্লেষণে দুই প্রার্থীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা যেমন প্রশ্নবিদ্ধ তেমনি বা তার চেয়েও বড় আরেকটি প্রশ্ন, আর তা হলো, তাঁদের উভয়ের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকান জনতার সমর্থনের অভাব। মতাদর্শ ও ব্যক্তিক জনপ্রিয়তা, দুদিকেই ঘাটতি। কিন্তু ওবামা-পূর্ব কয়েক দশকের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা কি সবাই ধোয়া তুলসীপাতা? তাঁদের হাত দিয়ে বর্ণবৈষম্য ও আধিপত্যবাদের প্রসার ঘটেনি, কিংবা ঘটেনি আঞ্চলিক যুদ্ধ আমেরিকান গোলার্ধে বা অন্যত্র?
তবে পূর্বোক্ত আমলা-সাংবাদিকের তীরবিদ্ধ ‘বোকা’ মার্কিনি জনগণ কি ওই সব আধিপত্যবাদী বা প্রভুত্ববাদী প্রেসিডেন্টদের একাট্টা সমর্থন জানায়নি? জানিয়েছে এবং তাঁরা যুদ্ধবাদী ধনতন্ত্রী শাসনব্যবস্থাকে স্থায়ী রূপ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রভেদটা হচ্ছে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমর্থন বাদেই একজন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হচ্ছেন এবং সচেতন বিশ্ব তার ভবিষ্যৎ নিয়ে মহা শঙ্কায়।
লেখক : কবি, গবেষক ও ভাষাসংগ্রামী