সামাজিকভাবে মানুষ এখন ঘরে বা বাহিরে কোথাও নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। দিনে বা রাতে ঘরে বা বাহিরে সব খানেই মানুষ আজ গুম, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, গ্রেফতার আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিনানিপাত করছে। পত্রিকায় চোখ বুলালেই দেখা যায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও গুম, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন হচ্ছে। এসব বন্ধ হচ্ছে না।
প্রতিটিই মানুষই তার সারাদিনের পরিশ্রমের আয়-রোজগার জীবিকা নির্বাহের ব্যায়ের পর অতিরিক্ত আয়-রোজগার সুখের আশায় বা ভবিষ্যত নিশ্চিন্ত জীবন-জীবিকার আশায় ব্যাংক বা বীমায় সঞ্চয় করে। সেই ব্যাংক বা বীমার রিজার্ভ থেকেও আজ টাকা লুট হয়। যেমন সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়। যেমন: হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারী। বিনিয়োগের টাকারও কোন হদিস মেলে না। যেমন: শেয়ার বাজারের ধ¦স। অর্তনৈতিক ক্ষেত্রে এ রকমই অনিরাপদ দেখা দিয়েছে।
সাংস্কৃতিকভাবেও আজ আমরা পাশ^বর্তী দেশ ভারত দ্বারা একবারেরই কোনঠাসা। ঘরে ঘরে আজ আমাদের বাংলাদেশী চ্যানেল দেখা কোথায়। ঘরে ঘরে আজ ভারতীয় চ্যানেলের মহোৎসব চলে। জি-বাংলা, স্টার জলসা ইত্যাদি চ্যানেল আজ গ্রাম বা শহর প্রতিটি ঘরে-ঘরেই। যাতে দেখানো হয় পারিবারিক কূট-কৌশল আর প্রেম-রোমান্সের লীলাখেলার আজগুবি বা কাল্পনিক মরীচিকার বেশরম উৎসব। যা প্রতিনিয়ত দেখে সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে বিরুপ প্রভাব পরছে। অন্যদিকে চলচ্চিত্রেও ভারতীয় সিনেমার ব্যাবসা কৌশলে ঢুকে গেছে। বাংলাদেশী চলচ্চিত্র শিল্পী-পরিচালক-প্রযোজকরা আন্দোলন-মানববন্ধন করেও পারতেছে না। অথচ ভারতে আমাদের দেশের কোন চ্যানেল ভারত সরকার চলতে দেয় না, নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের দেশের চলচ্চিত্র শিল্পী-পরিচালক-প্রযোজকরা আন্দোলন-মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করলেও সরকারীভাবে বর্তমান শাসক কোন টু শব্দও করে না, ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করা তো দুরের কথা। তাই তো আজ সধীজনসহ সচেতন দর্শক-শ্রোতা ও জনসাধারণ ভাবেন বর্তমান সরকার এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করবেননই বা কিভাবে। কেননা বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারী’র যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। যেখানে এ দেশের জনগণের ০৫% ভোটেরও সমর্থন ছিল না, অর্ধেকের বেশী আসনে ভোট হয়নি। সারা বিশে^র কোন দেশ বা কারো সমর্থন ছিল না। ছিল শুধু পাশ^বর্তী দেশ ভারতের আওয়ামীলীগের প্রতি অন্ধ সমর্থন ও ক্ষমতায় আরোহন এবং এই ভারতই ০৫ জানুয়ারী’র নির্বাচনকে সমর্থন ও আওয়ামী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন। যে ০৫ জানুয়ারীর নির্বাচন ছিল বিরোধীদলসমূহ বিবর্জিত, সরকারের খেলনা বা নাচের পুতুল জাতীয় পার্টি’র প্রধান এর সরকার বাহিনী কর্তৃক জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক রেখে অসুস্থতার অযুহাতে গুপ্তহীন অবস্থায় চিকিৎসা হওয়া এবং তিঁনি প্রার্থীতা বাতিল করলেও, নির্বাচনী পোস্টার-প্রচারনা না চালালেও- এলাকায় একবারও না গিয়ে নিজের ভোট নিজে না দিলেও- শতাব্দীর সেরা নাটকের মাধ্যমে নির্বাচিত হলেন এবং এখন প্রধানমন্ত্রী’র বিশেষ দূত এর দ্বায়িত্বও পালন করছেন; সেই সাথে তার দল সংসদে বিরোধী দলের আজব এক ভূমিকা পালন করছে-যে দলের কয়েকজন সাংসদ সরকারী দলের সাথে মন্ত্রীত্ব নিয়েছে। এ যেন আজব দেশের বিচিত্র ভোটের মাধ্যমে জবর-দখলের সচিত্র সরকার গঠিত হয়েছে। আর পাশ^বর্তী বৃহত্তম গনতান্ত্রিক দেশ ভারত দেখে না দেখার ভান করে বহি:বির্শে^ লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে সমর্থন দিয়েছে। দেশে জনশ্রুতি আছে যে তাদেরই সমর্থনে আজও এই সরকার ক্ষমতায় আছে। তাই তাদের আগ্রসনের বিরুদ্ধে সরকার টু শব্দও করে না।
ইতিহাস সৃষ্টিকারী বির্তকিত নিবার্চনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে এ সরকার শুরু কওে সাজানো-প্রহসন নির্বাচন বয়কোটকারী দলসমূহের মধ্যে প্রধান ভূমিকা পালন কারী বৃহত্তম দল বিএনপি’র নেতাকর্মীর উপর উপর্যুপরি মামলা ও দোষারুপ। বিএনপি’র উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্তও যারা কথা বলে তাদের নামে একর পর এক মামলা-হামলা, জেল-জুলুম, গ্রেফতার-রিমান্ড, গুম-নির্যাতন আজও চলছে। বিএনপি’র কথা বলার মত সারা দেশে এমন কোন নেতাকর্মী নেই যে তাদের উপর একাধিক মামলা নেই। দেশে কোন কিছু ঘটলেই যেই করুক; সরকারী পর্যায থেকে বলা হয় করেছে বিএনপি। বিএনপি’র যে কোন নেতাকর্মী কথা বললেই তার ঠিকানা হয় জেল ও রিমান্ড। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা দেখলে মনে হয় যেন বিরোধী দল তাদের শত্রু-অনেক ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে না। বিরোধী দল সরকারী কোন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে রাস্তায় নামতে চাইলেই-আগে থেকে বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রশাসনের গ্রেফতার শুরু হয় এবং গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। ইদানিং সেই সাথে জঙ্গিবাদের ধোয়াও তোলা হয়। তারসাথে গ্রেফতারকৃতদের সরকারের দেওয়া মামলারও বিচার কাজ শুরু হয়। এক মামলায় জামিন পেলেও জেলগেট থেকে আরেক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এভাবেই চলছে রাজনৈতিক গ্রেফতার আর বিচারের খেলা। অথচ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির বাসার ভিতরে ঢুকে হত্যার কোন বিচার হয়না। ইলিয়াছ আলী, নূর হোসেনসহ অসংখ্য গুমের কোন হুদিস মেলে না আজও।
……………………………………………………………………………………….. এসব ঘটনার পেক্ষিতেই আজ সূধীজনসহ সচেতন জনসাধারণ ভাবে, দেশে আজ গনতন্ত্র কোথায়, ভোটাধিকার বা মানুষের নিরাপত্তা কোথায় ? গণতন্ত্র-ভোটাধিকার-নিরাপত্তা’র জন্য দেশে অবশ্যই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দরকার এবং বিরোধী দল দরকার। সরকারী দলকে অবশ্যই বিরোধী দলকে মর্যাদা ও যথাযথ স্পেস দিতে হবে। তবেই গণতন্ত্র-জনগণের ভোটাধিকার-নিরাপত্তা বজায় থাকবে। তাই, দেশ-জাতির সার্বিক এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বৈধ বা অবৈধ যাই হোক এই সরকারকে বিরোধীদল বিএনপি’কে রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত স্পেস দিতে হবে এবং বিরোধী দলের জনসম্পৃক্ততামূলক যথাযথ ভূমিকা পালনের মধ্যে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার-নিরাপত্তা ফিরে আসবে। এক দল কখনও এককভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে পারে না। তাহলে দেশটি তখন হবে ‘এক দলের এক দেশ, এক নীতির এক দেশ, এক হুকুমের এক দেশ।’ এজন্য দেশের সার্বিক এই পরিস্থিতিতে প্রকৃতভাবেই দেশ-জাতির কল্যাণে সরকারী দল আওয়ামীলীগকেও একগুয়েমী ছেড়ে ছাড় দিতে হবে এবং বিএনপি’কেও এ সুযোগ নিয়ে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। কেননা, দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় সরকারী দলের সদিচ্ছা ও বিরোধী দলের যথাযথ ভূমিকাই রাখতে পারে। আর বর্তমান সময়ে জনগণ এমন কি বিদেশীরাও জাতীয় পার্টিকে নয় বিএনপি’কেই প্রধান বিরোধীদল মনে করে।
তাই, দেশ-জাতি ও দলের স্বার্থে—
প্রথমত: বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে বিভেদ ভূলে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।
দ্বিতীয়ত: যদি বিএনপি’র সাংগঠনিক দূর্বলতা থেকেই থাকে তাহলে তা যতোদ্রুত সম্ভব কাটিয়ে উঠে অঙ্গ সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। আর অবশ্যই অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব তাদের দিতে হবে-যারা এতোদিন সরকারের শত ষড়যন্ত্র ও কূট-কৌশল কৌশলে মোকাবেলা করে সংগঠনের ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে এবং বিভিন্ন প্রতিকুল সত্বেও পার্টি অফিস অতীতে সচল রেখেছিল এবং রেখেছে ; এমনকি ১/১১ এর সময় দল ছেড়ে যায় নি বা কাজ করেনি-যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রান। অঙ্গ সংগঠনের কমিটি ঘোঘণার পর নেতৃত্ব কাজ করছে কি-না তার জন্য মনিটরিং সেল এর ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত খবর নিতে হবে। কমিটি ঘোষনার ক্ষেত্রে বড় অঙ্গ সংগঠনে নেতৃত্ব বাছাইয়ে সমস্যা বা দেরি হলে ছোট অঙ্গ সংগঠনগুলো আগেই ঘোষণা দেওয়া যেতে পারে-এতে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ-চাঞ্চল্যতায় ভরপুর থাকবে ওকাজে গতিশীলতা বাড়বে।
তৃতীয়ত: সরকারের সাজানো মামলা-জেল-সাজা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সাহসী, অধূনা কৌশল ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চতুর্থত: বিগত কয়েক জরিপে দেখা গেছে-এমনিতেই জনগণের মেজরিটি সমর্থন বিএনপি’র প্রতি আছে। তাই, অবশ্যই জনসম্পৃক্তার সাথে সরকারের অসংখ্য নেতিবাচক কর্মকান্ড বা সিদ্ধান্ত বা চুক্তি বা আইন পাস সর্বোপরি মৃতপ্রায় গণতন্ত্র এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, আন্দোলন-সংগ্রাম করে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা ও সুস্থির ফিরে এনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা সাজানো তা প্রমান স্বরুপ জনগণের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।
পঞ্চমত: জনগণের ভোটাধিকার এর জন্য আগামী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকার গড়িমসি করলে জনসম্পৃক্ততার সাথে অন্দোলন চালিয়ে আদায় করে নিতে হবে।
ষষ্ঠত: আগামী নির্বাচন কিভাবে-কার অধীনে হলে স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ-কালোটাকামুক্ত-উৎসবমুখর পরিবেশে হবে তা নির্ধারন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা বা তত্ত্বাবধান নেওয়া যেতে পারে। বর্তমান সরকার তার অধীনেই আবার নির্বাচন করতে চাইলে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে নির্দলীয় বা নিরপেক্ষ বা মধ্যবর্তী বা অন্তবর্তীকারীন সময়ের সরকার সর্ম্পকে ভাল ধারনা জনগণের সামনে তুলে ধরে জনসম্পৃক্তা বজায় রাখতে হবে ; সেই সাথে জনজণকে আরো বুঝাতে হবে যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই আওয়ামীলীগই ১৯৯৬ সালে এনেছিল আবার এই আওয়ামীলীগই ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতার মোহে ২০১১ সালে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করে। ফলে ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারীর একতরফা ভোটারবিহীন, বিদেশী পর্যবেক্ষনকারী ব্যাক্তি বা সংস্থাবিহীন, আবদ্ধ পরিবেশে-ঢাকা সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রেখে নির্বাচন হয়েছিল। জল-স্থল ও আকাশ পথ সারা দেশে বন্ধ ছিল। সে দিন অনেক ভোট কেন্দ্রে কোন ভোটার ছিল না, অনেক জালিয়াতি ভোট হয়েছে-যা টি ভি পর্দায় দেখো গেছে। —– এসব তথ্য-উপাত্ত জনগনের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে এবং সেই সাথে নির্দলীয় বা নিরপেক্ষ বা মধ্যবর্তী বা অন্তবর্তীকারীন সময়ের সরকার এর অধীনে বা জাতিসংঘের সহায়তা বা তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হলে সকল ভোটার নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারবে এবং মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।
সপ্তমত: নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে প্রশাসন দলীয় প্রভাবমুক্ত করে ঢেলে সাজাতে হবে। বিশেষ অঞ্চলের প্রশাসনের লোকদের ঐ সময় সাময়িক বরখাস্তও প্রয়োজনে করা যেতে পারে।
সর্বশেষে ভোট গণনার পর উভয় দলকেই ফলাফল মেনে নিতে হবে।
সরকার বর্তমানে একক র্কতৃত্বভাবে দেশ পরিচালনা করছে। যে কথা বলতেছে বা সমালোচনা করছে তাকে কোন না কোনভাবে ঘায়েল করছে। ফলে ভয়ে কেউ আর মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। এর জন্যই দেশ ও জাতি উপহার পেয়েছে-বি ডি আর বিদ্রোহ, শেয়ার বাজার ধ্বস, হলমার্ক-সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারী, পদ্মাসেতু দুর্ণীতি, অসংখ্য মানুষ গুম, নারায়ণগঞ্জে সাত খুন, ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, দেশ-জনগণ-পরিবেশ বিরোধী বিভিন্ন চুক্তি ইত্যাদি। জনগণ এসব ভেবে ভিতরে ভিতরে গুমরে গুমরে কাঁদছে আর ভাবছে-‘একক কর্তৃত্ববাদের সরকার কখন দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে না।’ আর এই কর্তৃত্ববাদের সরকারের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি’কে ঝিমিয়ে পরলে চলবে না। সাংগঠনিক দুর্বলতা কেটে দলকে সময়-উপযোগী করে ঢেলে সেজে সাহসিকতার সাথে কৌশলে এগিয়ে গিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তথা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে নিরাপত্তা ও সুস্থির পরিবেশ বিরাজ করাতে হবে। ঐক্যবদ্ধ-বুদ্ধিদীপ্ত-কৌশলী-সাহসী বিএনপি’ই পারবে দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্খিত এই পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে। কেননা বিএনপি দুর্বল হলে বা চুপচাপ থাকলে বর্তমান শাসকের কর্তৃত্ববাদ আরো বেড়ে যাবে। যা দেশ ও জাতিকে আরো রসাতলে ডুবাবে। তাই সর্বমহল আজ বিএনপি’র দিকে তাকিয়ে ভাবছে-বিএনপি’র জন্য এখন হতাশা নয়! কৌশলী, সাহসিকতা, ঐক্যবদ্ধ ও সময়-উপযোগী সিদ্ধান্তই সফলতা দেশ-জাতি ও নিজ দলের জন্য বয়ে আনবে।
লেখক: সাংবাদিক,কবি ও কলামিস্ট।