মোস্তাক আহমেদ মনির ।। খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৬ : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইজিবাইক ব্যাটারির অবৈধ চার্জে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চলছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে সহস্রাধিক ইজিবাইক চার্জ সেন্টার। এদিকে দিনে দিনে বাড়ছে অবৈধ গাড়ির সংখ্যা। অবৈধ যান চলাচলের কারনে পৌর এলাকায় বেড়েই চলছে যানজট। এতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ, বৃদ্ধি পাচ্ছে সড়ক দূর্ঘটনা। আর অবৈধ যানবাহনের ব্যাটারী চার্জে প্রতিরাতে কয়েক হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ গচ্চা গেলেও রহস্যজনক কারনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। এতে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে আর সাধারন গ্রাহকদের বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারনে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসোহারা দিয়ে উপজেলায় সহস্রাধিক ইজিবাইক ও ভ্যানগাড়ি ব্যাটারি চার্জ সেন্টার গড়ে উঠেছে। এসব চার্জ সেন্টারের কোন অনুমোদন, বিদ্যুৎ মিটার ও ট্রেড লাইসেন্স নেই। এছাড়া আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগে বানিজ্যিকভাবে ইজিবাইক চার্জ দেওয়া হচ্ছে অবৈধভাবে। কোন কোন এলাকায় অবৈধ টানা তার ও মিটারবিহীন সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে অনেকটা প্রকাশ্যেই। এতে সরকার বঞ্চিত রাজস্ব ও গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, নসিমন, করিমন, ফাইটার, ভটভটিসহ নানা অবৈধ যান প্রতিদিন বেড়েই চলছে। এসব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এবং চালকদের প্রশিক্ষন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে প্রশাসনের সহযোগিতায় এ সব যানবাহন চলায় চত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ পাকিং। এতে বেড়েই চলছে যানজট। গাড়ির চালকরা বেপরোয়া ভাড়া আদায় করায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পুলিশ মাঝেমধ্যে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেল আটক করলেও রহস্যজনক কারনে লাইসেন্সবিহীন ও অবৈধ যানবাহন আটকে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। অবৈধ যানবাহনের কাছ থেকে পুলিশ নিয়মিত মাসোহারা আদায় করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।