খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬: ডিহাইড্রেশন অথবা জলবিয়োজন গ্রীষ্মকালের একটি প্রচলিত সমস্যা। তাপ দিন দিন উন্মাদ ট্রাফিকের মত খারাপ হচ্ছে, ঢাকা সিটি অবসবাসযোগ্য হয়ে পরছে। দূর্ভাগ্যবশত, অফিস এবং স্কুল আবহাওয়া রিপোর্ট অনুসরন করেনা এবং আপনার ভাল অবস্থান নির্নয় করে নিতে হবে, ১৮ ডিগ্রী অনুসারে।
স্কুল গমনকারী বাচ্চারা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়েও বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। সাধারনভাবেই কারন বাচ্চারা যথেষ্ট পানি পান করেনা। হাসপাতালে বেশী বেশী রোগী ভর্তি হচ্ছে এবং উপসর্গ এবং ডিহাইড্রেশনের জটিলতা দেখা যাচ্ছে।
ডিহাইড্রেশন কাজ করে যখন আমাদের শরীরে ফ্লুইড কমে যায় যা আমাদের শরীরের জন্য দরকার। পানি আমাদের প্রস্রাব, ঘাম এবং ত্বকের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। যখন অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় তখন এটা খনিজের ব্যালেন্স কমিয়ে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।
ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ কি কি? ডিহাইড্রেশনের প্রাথমিক উপসর্গ গুলো হচ্ছেঃ
পানির পিপাসা পাওয়া, হালকা মাথা ব্যাথা হওয়া, কালো রঙের প্রস্রাব হওয়া, স্বাভাবিকের চেয়েও কম ইউরিন হওয়া, শুষ্ক মুখ এবং ঠোঁট। এগুলো ডিহাইড্রেশনের মধ্যম পর্যায়ের উপসর্গ, তবে যদি এটার চিকিৎসা না করা হয় তবে তা গুরুতর ডিহাইড্রেশনের দিকে ধাবিত করতে পারে।
নিচে গুরুতর ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ তুলে ধরা হলঃ
শূষ্ক, ভাজ পরা ত্বক যা ধীরে ধীরে মুচড়ে যায়, প্রস্রাবে অক্ষমতা অথবা ৮ ঘন্টা পর্যন্ত প্রস্রাব না হওয়া, বিরক্ত নিমজ্জিত চোখ, নিম্ন রক্ত চাপ (হাইপোটেনশন), একটি দূর্বল পালস, একটি হঠাৎ হার্টবিট, ঠান্ডা হাত ও পা, রোগের আক্রমন (সিজার) নিম্ন লেভেলের চেতনা, দূর্বল অনুভব করা (লিথার্জিক) অথবা সন্দিহান হওয়া, পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া অথবা বমি হওয়া।
গুরুতর ডিহাইড্রেশন গুরুতর জটিলতা দেখাতে পারে এবং আপনার রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বলা হয় শক। এই ক্ষেত্রে আপনার হাসপাতালে ভর্তি এবং ফ্লুইড হারানোর জন্য পুনরায় তা দিতে হবে।
বাচ্চারা খুব সহজেই ডিহাইড্রেটেড হতে পারে, যেহেতু তাদের নিম্ন পানির উপাদান আচে, কিন্তু তারা ফ্লুইড কমে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়েও দ্রুত মনযোগ দেয়।
বাচ্চাদের ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ হলঃ
মাথায় একটি ভাজ পড়া নরম দাগ যখন তারা কান্না করে তখন কিচু অথবা পানিশূন্য থাকে শুষ্ক মুখ কিছু ভেজা তোয়ালে আছন্নতা দ্রুত নিশ্বাস।
***আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন যদি আপনার অথবা আপনার বাচ্চার ডায়ারিয়া হয়ে থাকে। যা ৫ দিনের চেয়েও বেশী সময় ধরে স্থায়ী হয়, অথবা বমি হয় যা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার চেয়েও বেশী স্থায়ী হয় এবং বাচচাদের ক্ষেত্রে ১২ ঘন্টার বেশী।
মধ্যম থেকে সহনীয় ডিহাইড্রেশনের জন্য কি করতে পারেন?
সবচেয়ে ভাল উপায় হল শরীরকে পুনরায় হাইড্রেটেড করা প্রচুর পানি, তরল, জুস দুধ এগুলো খেয়ে। বাচ্চাদের জন্য, জুস পানির থেকেও বেশী ভাল, যেহেতু পানিতে খনিজ মিশ্রিত থাকে। যদি বাচ্চারা বমি করতে থাকে, তবে তাদের কিছু জুস বারবার দেওয়া ভাল। ওরস্যালাইন এই ক্ষেত্রে আরো ভাল। যেহেতু গ্লুকোজে পর্যাপ্ত পরিমানে খনিজ থাকে।
কিভাবে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে হয়?
পর্যাপ্ত পরিমানে পানি খেয়ে। বাংলাদেশের গরম আবহাওয়ায় আমাদের প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। যদি আপনি গরম আবহাওয়ায় অনুশীলন করে থাকেন তবে আরো ১ লিটার পানি বেশী খাবেন।
যদি আপনার বাচ্চা ডায়ারিয়া অথবা বমিতে ভুগে থাকে, এটা ডিহাইড্রেশন করতে পারে। তাই এই ফ্লুইড হারানোর ক্ষতি যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠিক করে নেওয়া হয়। আপনার বাচ্চাকে কিছু ওরস্যালাইন দিন যেহেতু ডায়ারিয়ার জন্য সে বারবার টয়লেটে যাচ্ছে। তার যদি গুরুতর বমি হয় তাহলে তাকে পান করার জন্য যেকোন কিছুই দেওয়া যেতে পারে, নিকটস্থ্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। তার ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড এর প্রয়োজন হতে পারে শক থেকে রক্ষা করার জন্য কেননা বাচচাদের এটার প্রতি একটি প্রবনতা থাকে।
***আরো বেশী পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হোন, যা আপনার শরীরের উন্নতি করতে পারে, যা রক্তে সোডিয়ামের পরিমান কমাতে পারে (হাইপোট্রামিয়া) এটি একটি গুরুতর এবং সুপ্ত ভ্রুনের অবস্থা। যদি আপনি অস্বস্তি অনুভব করে থাকেন এবং পানি পান করাকে স্ফিত করে ফেলে আপনার নিজেকে প্রস্তুত করতে কিছু সময় দেওয়া প্রয়োজন।
এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এটার মানে মেডিকেলীয় পরামর্শ নয়।