খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬: ১. দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ব্রিটেনের টেসকো ব্যাংকের হাজার হাজার গ্রাহকের একাউন্টে থাকা অর্থ জালিয়াতরা লুটে নিল সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে। এটি ছিল ব্রিটেনের আজ সোমবারের সব মিডিয়ার শিরোনাম। আমেরিকার সাধারন নির্বাচনে হিলারি বা ট্রাম্পের নির্বাচনী বৈতরনী পেরুবার বিরোধ যে নগ্ন আর উলঙ্গ পর্যায়ে গেছে সেটি আমেরিকার গনতন্ত্র বা জনগনের জন্য তো বটেই,আমাদের মতোন দর্শকদের জন্যও লজ্জার। আমেরিকার জনগনের দুভার্গ্য হচ্ছে, এ নির্বাচনে এ দুজনের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম খারাপ যিনি, তাকেই বেছে নিতে হবে জনগনকে।
২.
কথা হলো, ব্রিটেনের ব্যাংক লুট হয়ে গেলে আমরা কি বলি,ব্রিটেন ব্যার্থ রাষ্ট্র। হিলারি,ট্রাম্পের চেয়ে আমাদের শেখ হাসিনা বা বেগম খালেদা জিয়া শত গুন সহনশীল,মার্জিত। এটিই প্রমান হলো,আমেরিকার এবারের নির্বাচনে। একজন নারীকে রাষ্ট্রের শীর্ষপদে আসীন করতে মার্কিনীদের সময় লাগছে শত বছর ! সম্ভবত ৯৬ বছর পর আমেরিকা প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে। এদিক থেকেও বাংলাদেশ বহুগুণ এগিয়ে।
ব্রিটেনের বেক্সিট ইস্যুতে গনভোটেও বরিস জনসনের মতো ক্ষমতালিপ্সু এরশাদীয় চরিত্রের রাজনীতিকদের নগ্নরুপ দেখবার দুর্ভাগ্য হয়েছে ব্রিটিশদের। অথচ এতে করে ব্রিটেনের রাজনীতিকদের দেশপ্রেম নিয়ে মোটাদাগে প্রশ্ন তুলছেন না ব্রিটিশ জনগন।
৩.
সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটলেই রাষ্ট্র ব্যার্থ হয়ে যায় না। সন্ত্রাস, নৈরাজ্যে সরকার ব্যার্থ হতে পারে। সবকিছুর পরও বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ব্যার্থকে ব্যার্থ করে দেবার শক্তি কারো নেই। আমাদের রাজনীতির দুষ্টগ্রহ আছে, ভ্রষ্ট গলি আছে , এটি অস্বীকার করা মানে নির্লজ্জ মিথ্যাচার। তারপরও আমাদের রাজনীতিকরা যে এখনো ট্রাম্প বা হিলারীর চেয়ে অনেকগুন সহনশীল, এটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া বাস্তবতা।
৪.
সরকারের হাতে রাষ্ট্রের ক্ষতি সব সরকারের আমলেই এদেশে হচ্ছে। তবু বাংলাদেশ পথ হারাবে না, রাষ্ট্র হিসেবে হেরে যাবে না,এ আশাবাদ তব থাক অপরাজেয়ৃ।
মুনজের আহমদ চৌধুরী : প্রবাসী সাংবাদিক,সংবাদ বিশ্লেষক।