খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৬ :
একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অথচ দুই দল মিলিয়েও ‘টোয়েন্টি’ ওভার খেলা হলো না! মাত্র ১৮.৪ ওভারেই খেলা শেষ! টিকিট কেটে মাঠে ঢোকা দর্শকেরা তাতে মনোক্ষুণ্ন হতে পারেন, তবে তা নিয়ে ভাবতে রংপুর রাইডার্সের বয়েই গেছে। খুলনা টাইটানসকে আজ বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট করে ‘মিনি টি-টোয়েন্টি’ ম্যাচটা রংপুর জিতে গেছে ৯ উইকেটে।
গতকালই যে দল দুর্দান্ত এক জয় পেল আজ তাদের কী হতশ্রী চেহারা! ১ রানেই প্রথম উইকেট নেই। টুপটাপ করে নিমেষেই ঝরে গেল বাকি ৯টিও। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইটানস অলআউট ৪৪ রানে। বিপিএলে এটিই দলীয় সর্বনিম্ন রান। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে খুলনার স্কোরটা থাকবে আরও তিনটি দলের সঙ্গে তিনে।
পাঁচজন ব্যাটসম্যানের নামের পাশে ‘শূন্য’—বোঝাই যাচ্ছে কী ভগ্ন দশা খুলনার ব্যাটিংয়ে। শুভাগত হোম শুধু ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। বাকি পাঁচজনের রান—৬, ৫, ২, ৭ ও ৮!
কালই রংপুর অধিনায়ক বলছিলেন, এবার বিপিএলে সেরা স্পিনাররা তাঁদের দলেই। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর স্পিনাররা উজ্জ্বল ছিলেন। খুলনার বিপক্ষে আজ তাঁরা অতি উজ্জ্বল। খুলনার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। সেটির সমাপ্তিরেখা টেনেছেন আরাফাত সানি। আফ্রিদি ১২ রানে ৪ উইকেট পেলেও সানিকে তো রানই খরচ করতে হয়নি! অ্যাকশন শুদ্ধ করে আসা বাঁহাতি স্পিনার ২.৪ ওভার করে কোনো রান না দিয়েই পেয়েছেন ৩ উইকেট! শূন্য রানে ৩ উইকেট—এমন ঘটনা এর আগে টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একবারই ঘটেছে।
লক্ষ্যটাই এত ছোট। সেটি তাড়া করতে রংপুরের লাগল ৮ ওভার। উইকেট হারিয়েছে তারা শুধু মোহাম্মদ শেহজাদেরটি (১৩)। বাকি দুই ব্যাটসম্যান সৌম্য (১৩) ও মিঠুন (১৫) মিলে ম্যাচটা শেষ করে দিলেন।
বিপিএলে দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর
দল প্রতিপক্ষ বিপিএল
৪৪ খুলনা রংপুর ২০১৬
৫৮ বরিশাল সিলেট ২০১৫
৫৯ সিলেট রংপুর ২০১৫
৬৭ খুলনা চিটাগং ২০১৩