খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬: কমে আসছে পাঠাগার। এখনও যেগুলো টিকে আছে সেগুলোতেও নেই পাঠক। তবে যারা আসছেন তাদের মঝে বেশির ভাগই সংবাদ পত্রের পাঠক আর চাকরি প্রত্যাশী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দিন দিন কমছে পড়ার অভ্যাস যা আমাদেরকে পরিণত করছে জ্ঞানশূন্য জাতিতে। তাই অবস্থা পরিবর্তনের সময় এখনই।
রাজধানীর লাগবাগের আজাদ মুসলিম পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিদিন খোলা থাকে বিকাল ০৩.৩০ থেকে সন্ধ্যা ০৬.৩০ পযর্ন্ত। তিন ঘণ্টা অবস্থান করেও একজন পাঠকের দেখা মিললো না। গ্রন্থাগারের কথায় জানা গেলো আগে অনেকেই আসতেন এখন মাঝে মধ্যে এক, দুই জন আসেন তাও শুধু পত্রিকা পড়তে। এমন করে পাঠাগারগুলো দিন দিন হারাচ্ছে পরিবেশ।
কয়েকটি পাঠাগার ঘুরে দেখা গেলো পাঠাগারগুলোর পাশে হচ্ছে রিক্সা স্টান্ড, নিচের তলায় কমিউনিটি সেন্টার, এমনকি পাঠাগারের সামনের ফাঁকা জায়গা ব্যবহার হয় রাজনৈতিক সভা ও ময়লা ফেলার কাজে।
দেশে প্রত্যেক বছরই বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা, সেই সাথে বাড়ছে এর ব্যবহারও। ইন্টারনেটে ভার্চুয়ার লাইব্রেরির সুযোগ থাকলেও ব্যবহারকারিদের বেশির ভাগই হচ্ছে তথ্যের আদান প্রদানকারি ও নানা সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারি। শিক্ষাবিদদের মতে তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহার নষ্ট করছে পঠাভ্যাস। এর মাঝেও পড়ার অভ্যাস ফিড়িয়ে আনতে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন।
শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জ্ঞানের যে অনুশীলন কমে গেছে এটা সত্য কথা । এর পরিণতিটা খুবই খারাপ হবে। সংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজ যদি না থাকে তহলে তরুণরা বিভ্রান্ত হবে। যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আজ অনেক তরুণই মাদকাসক্ত হচ্ছে আবার জঙ্গি হচ্ছে।
সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। আর এজন্যই প্রতিটি শিশুর ভিতর ছোটবেলা থেকেই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। যমুনাটিভি