Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৬ :68অভিযোগের পালে হাওয়া দিয়েছে রহস্যময় এক ফোনালাপ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আবারও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেল।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর শুরুর আগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গড়িমসি করা রংপুর রাইডার্সের ওপর এই অভিযোগের ভিত্তি হল বহিস্কৃত এক ক্রিকেটারের বক্তব্য ও রহস্যময় এক ফোনালাপ।
দল থেকে বহিস্কৃত ক্রিকেটার জুপিটার ঘোষের অভিযোগ, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই তাঁক বাদ দেয়া হয়েছে। তার কাছে প্রমাণও আছে বলে একটা বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশনকে বলেন তিনি। জুপিটারের এমন অভিযোগের পালে হওয়া দিয়েছে রহস্যময় এক ফোনালাপ।
গত পাঁচ নভেম্বরই জুপিটারকে বহিস্কার করে রংপুর। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই জুপিটারকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘এক তারিখ যখন টিম হোটেলে উঠি তখন দলের ম্যানেজার আমাকে একটা প্রস্তাব করেছিলেন যে আমি কিছু অনৈতিক কাজ করতে পারবো কি না। সেটাতে আমি রাজি হইনি।’
বলাই বাহুল্য যে তার অভিযোগের তীরটা দলের ম্যানেজার ও সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেনের দিকে। এই সানোয়ারই বিপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানো ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসেরও ম্যানেজার ছিলেন।
জুপিটারের অভিযোগ রংপুর রাইডার্স অস্বীকার করেছে। শুধু নাই নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জুপিটারের বিরুদ্ধেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। রংপুরের অভিযোগ, ছিটকে গিয়েই ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে দলকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন জুপিটার।
চিঠি দিয়ে আগেই বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলকে জুপিটারের বহিস্কারাদেশেরে খবর জানিয়ে দিয়েছে রংপুর। ২৫ শতাংশ টাকা দেওয়ার পর আর টাকা দিচ্ছে না রংপুর – দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে এমন অভিযোগও করেন জুপিটার। রংপুর তখন জুপিটারের বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ব্যাখ্যা দিয়েছিল।
জুপিটার নিজের বিরুদ্ধে শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ফিক্সিংয়ে সাহায্য করলেই কেবল তাকে একাদশে রাখার কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রীতিমত দল থেকে বহিস্কারই করা হয়।
জুপিটার জানিয়েছেন, সপ্তাহতিনেক তিনি তথ্য প্রমানের জন্য অপেক্ষা করেছেন তিনি। এবার তিনি বিষয়টা আইসিসির দ্র্নুীতি দমন ইউনিটের নজরে আনবেন। এর আগে ২০১৩ সালের বিপিএলও ফিক্সিংয়ের সুবাদে কলঙ্কিত হয়েছিল। এবারও কি তেমন কিছু একটাই অপেক্ষা করছে?