খোলা বাজার২৪, রবিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬: প্রতিবছর অর্ধেকের বেশি আসন খালি থাকছে দেশের প্রায় সবকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনুন্নত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে, আইন সংস্কারের অভাবে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসির চেয়ারম্যান।
পুরাণ ঢাকায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পেয়েছে ১৯৯৩ সালে। সরকারের কাছ থেকে ৩০০০ আসনের অনুমতি নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গেল শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছে মাত্র ১৩৮ জন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা সাড়ে ৩ শ এর মত।
এভাবে শতকের কিংবা ১ হাজারের ঘরে শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে দেশের কমপক্ষে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবছরই যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে অপূর্ণ থাকছে গড়ে ৫৭ শতাংশ আসন। ইউজিসির সর্বশেষ তথ্য মতে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলে আসন সংখ্যা যেখানে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজারের মত সেখানে, এর বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের মত।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে শীঘ্রই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে দীর্ঘ মেয়াদে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে বেসরকারি খাতের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা।
ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড একে আজাদ চৌধুরী বলেন, সিট সংখ্যা বাড়িয়ে তিন সেমিস্টারে ভর্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় চালু রাখা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি থাকেনা
তবে ইউজিসি বলছে, আইনগত সীমাবদ্ধতার জন্য ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আইনের কাঠামোতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ ইউজিসির নেয়। তাই ইউজিসির আইন সংশোধনের কথা বলেন তিনি।
১৯৯২ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত অনুমোদন পেয়েছে ৫২ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ২০১২ থেকে ২০১৬ এ ৫ বছরের ব্যবধানে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৪৩ টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়।