খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর থেকে দক্ষ প্রশিক্ষক, কৃষি উন্নয়ন ও উদ্ভাবনসহ কৃষি ক্ষেত্রে নানা অবদান রেখেছে। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকায় এ ইনিস্টিটিউটটিকে নোয়াখালী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা এখন সময়ের দাবী।
জাতীয় পর্যায়ে কৃষি উন্নয়ণের লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে উপজেলার বেগমগঞ্জ মৌজায় ৫১.৯৮ একর জায়গায় ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার শিক্ষাক্রম দিয়ে যাত্রা শুরু করে বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। প্রশাসনিক, একাডেমিক, আবসিক ভবন ও খেলার মাঠসহ ১০ একর, ৪ একরের দুইটি পুকুর, ১৭ একর ফসলি জমি, ১ একরে সব্জি বাগান নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠিত। বিশাল এ প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় এর আয়তন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ অবহিত নয়।
এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারীর পদ ৪৮টি, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদসহ ১৫টি পদ শূন্য। ৫জন মূখ্য প্রশিক্ষক পদ থাকলেও রয়েছে ৪ জন। তন্মধ্যে একজন অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রশিক্ষক ৮ জনের মধ্যে ৫ জন, কর্মচারী ২৯ জনের মধ্যে ১৮ জন কর্মরত আছেন।
প্রশিক্ষণ কাজের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ফার্ম কার্যক্রম থাকলেও এ পদটি বিলুপ্ত । এ প্রতিষ্ঠানকে বর্তমানে আধুনিক শিক্ষা ও উচ্চতর প্রশিক্ষকদের কৃষি বিষয়ক গবেষণার উপযোগী করে তোলা সম্ভব। নোয়াখালীর দক্ষিণ অঞ্চলে প্রতিবছরে যে পরিমান ভূমি নদীগর্ভ থেকে জেগে উঠছে এর সঠিক ব্যবহারের জন্য কৃষি গবেষণা প্রয়োজন। ফলে গবেষণা করতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প নেই।
নোয়াখালীর উন্নয়নে বর্তমান সরকার যে অবদান রেখেছে তার সাথে বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হলে আরেকটি নতুন অধ্যায় যুক্ত হবে বলে নোয়াখালীবাসির প্রত্যাশা। যেমনিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জেনারেল হাসপাতাল, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, চিকিৎসক বিদ্যালয় (ম্যাটস), কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মুছাপুর রেগুলেটার।
উল্লেখ্য, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি ৮৬ একর ভূমি ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়টি ৫০ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে ৫১.৯৮ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।