Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

65খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬:বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ১০০ নম্বর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বর নতুন করে সংযোজন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি এর বিরোধীতাকারীদের তথ্যও পাঠ্য বইয়ে লেখা থাকবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে তাদের হাতে সনদ ও আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) তুলে দেওয়া হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটা তৈরি করা হচ্ছে। টাকা জাল করা সম্ভব হলেও এ সনদ জাল করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলাভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একইভাবে সংরক্ষাণ করা হবে, যাতে সবাই দেখেই বুঝতে পারেন যে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। যেসব স্থানে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ও যেসব বধ্যভূমি আছে সেগুলোও যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ত্রুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিপূর্বে শেখ হাসিনাকে বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট তিনি যেভাবে বেঁচে গেছেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে এবারও সেভাবেই বেঁচে গেছেন। নাট-বল্টু ঢিলা করে যতই স্বপ্ন (হত্যা) দেখুক, তা পাকিস্তানে সম্ভব হলেও এ দেশে সম্ভব হবে না।
জামায়াতে ইসলামীর নামে এ দেশে আর রাজনীতি হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দুনিয়ার কোনো দেশেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দলের রাজনীতি করার সুযোগ নেই। জামায়াত নিষিদ্ধ হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। জাতীয় সংসদে এটা করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অচিরেই এ আইন পাস হবে। সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের বিচার বাংলাদেশে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, অনৈক্য ও বিভাজনের কারণে আমরা জাতির জনককে হারিয়েছি।
৪০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সাইদুর রহমান মানিক। সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আয়ুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মমতাজ রহমান, ঢাকা জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর খোন্দকার আব্দুল মান্নান, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ।