Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬: 14১৯৭৮ সাল থেকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে মার্ক্সবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য ক্রমে লক্ষাধিক সৈন্য পাঠিয়ে ও তার প্রতিক্রিয়ায় সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ঘাঁটি বানিয়ে তালেবান বাহিনী সৃষ্টি করে যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চালায়, তাতে বছর পনেরোর মধ্যে রক্তাক্ত আফগানিস্তানে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হয় এবং মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে। তালেবানরা ক্ষমতায় এসে বছরখানেকের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের একরকম অবসান ঘটায়।

এর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে গরবাচেভের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট সরকার পেরেস্ত্রইকা (পুনর্গঠন) ও গ্লাসনস্ট (উদারনীতি) চালাতে আরম্ভ করে এবং আফগানিস্তান থেকে সব সোভিয়েত সৈন্য ফিরিয়ে নেয়। ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার যতটা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরোধী ছিল, অচিরেই তার চেয়ে বেশি বিরোধী হয়ে ওঠে সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের। তাতে একপর্যায়ে নতুন শতাব্দীর শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী যুক্তরাজ্য ক্রমাগত নানা রকম মিথ্যা প্রচার চালিয়ে লক্ষাধিক সৈন্য নিয়ে আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধ চালাতে থাকে। একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট মোল্লা ওমর পরাজয়ের মুখে কাবুল থেকে পালিয়ে যান। তখন বুশ-ব্লেয়ার আফগানিস্তানে তাঁদের দুই লক্ষাধিক সৈন্যের উপস্থিতিতে ঘোষণা করেন যে সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা যুদ্ধ চালাতে বাধ্য হয়েছেন। অতঃপর ইঙ্গ-মার্কিন সামরিক বাহিনী সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে এবং হামিদ কারজাইকে প্রেসিডেন্ট করে পুতুল সরকার কায়েম করে এবং ঘোষণা করে যে আফগানিস্তানে গণতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। কিছুদিন পর পুতুল সরকারকে রক্ষা করার জন্য আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনী নিয়োগ করা হয়। তালেবানদের সঙ্গে মার্কিন, ব্রিটিশ ও ন্যাটো বাহিনীর সংঘাত-সংঘর্ষ ও নরহত্যা চলতে থাকে। ক্রমে তালেবানরা তাদের আন্দোলনকে সব মুসলিম রাষ্ট্রে বিস্তৃত করতে থাকে। আফগানিস্তানে গণতন্ত্র দেখে বিশ্ববাসীর মনে প্রশ্ন জাগে, গণতন্ত্র কি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সেনাবাহিনীর দ্বারা যুদ্ধ করে দুর্বল জাতিগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপার? গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র—এসব কি বৃহৎ শক্তিগুলো কর্তৃক জুলুম-জবরদস্তি করে, গণহত্যা চালিয়ে দুর্বল জাতিগুলোর জীবনে কায়েম করে দেওয়ার বিষয়? গণতন্ত্র কি সাম্রাজ্যবাদীদের ছাড়া অন্য কোনো জাতিরই নিজের সামর্থ্যের ব্যাপার নয়? গণতন্ত্র কি আমদানি-রপ্তানির জিনিস্ত গণতন্ত্র কি শুধু নির্বাচনের ব্যাপার? বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও তাদের সহযোগী বৃহৎ শক্তির ভূমিকা দেখে গণতন্ত্র নিয়ে সংশয়াপন্ন হয়ে পড়ে মানুষ।
আফগানিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর বুশ-ব্লেয়ার ইরাকের দিকে মনোযোগী হন এবং সেখানে ক্রমে আট-দশ লাখ সৈন্য পাঠিয়ে যুদ্ধ চালান। মিথ্যার পর মিথ্যা প্রচার করে, লাখ লাখ লোককে হত্যা করে, প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে হত্যা করে, অনেক বড় সামরিক আয়োজন নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ইরাকে তাঁরা তাঁদের পরিকল্পিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং পুতুল সরকার কায়েম করেন। ইরাকে কথিত গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নানা দেশ থেকে জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী আমদানি করেন। জাতিসংঘ বাস্তবে ইঙ্গ-মার্কিন আক্রমণকারী শক্তির বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করে। চীন ও রাশিয়া ‘যুদ্ধ উচিত নয়’—এ বক্তব্য প্রচার করে জাতিসংঘে কিংবা অন্যত্র কোনো ভূমিকা পালন থেকে বিরত থাকে। বিশ্ববাসী উপসাগরীয় যুদ্ধের বিরুদ্ধে মাসখানেক বেশ জোরেশোরে প্রচারমূলক প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে প্রায় নীরব হয়ে যায়। ইরাকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের রূপ-স্বরূপ দেখে দুনিয়াব্যাপী মানুষ গণতন্ত্রের প্রতি আকর্ষণ আরো হারিয়ে ফেলে। অনেকেই প্রশ্ন তোলে, এই যদি হয় গণতন্ত্র, তবে গণতন্ত্রের কী দরকার?
ইরাকে সাফল্য লাভের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে যায় লিবিয়ায়। এখানেও লক্ষাধিক সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়ে, ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে, প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি, তাঁর পরিবার ও রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করে ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসি শক্তি আফগানিস্তান ও ইরাকের স্টাইলেই গণতন্ত্র কায়েম করে। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ও তাদের সহযোগী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর সামরিক ব্যবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই জয়যাত্রা দেখে বিশ্বব্যাপী মানুষ গণতন্ত্র নিয়ে নির্মোহ হয়। বাংলাদেশে অবশ্য গণতন্ত্রের নামে হুজুগ চালানো চলমান আছে।
লিবিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর নজর পড়ে সিরিয়ার দিকে। বাশার আল আসাদের সরকারকে উৎখাত করে সেখানে গণতন্ত্রের জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের প্রকাশ্য ও গোপন অভিযান আরম্ভ হয়। এত দিনে রাশিয়া ও চীন বেঁকে বসে। তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে সামরিক আক্রমণের বিরোধিতা করে এবং ভেটো দেয়। তার ফলে আগেকার স্টাইলে তথা ইরাক স্টাইলে, লিবিয়া স্টাইলে, আফগান স্টাইলে সিরিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। সিরিয়ায় যুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে তালেবান, আল-কায়েদা, আইএস ইত্যাদি ‘জঙ্গিবাদী’ সংগঠন (অৎসবফ ওংষধসরপ ঋঁহফধসবহঃধষরংঃ এৎড়ঁঢ়ং) আত্মপ্রকাশ করে এবং তারা মধ্যপ্রাচ্যের সীমা অতিক্রম করে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং গুপ্তহত্যা চালাতে থাকে। পশ্চিমা বৃহৎ শক্তিগুলো গণতন্ত্রের নামে এখন মধ্যপ্রাচ্যে ও অন্য সব জাতির মধ্যে শুধু নির্বাচনে গুরুত্ব দেয়। গণতন্ত্র মানে নির্বাচন, নির্বাচন মানে গণতন্ত্র—এ রকম একটা ধারণা আশির দশক থেকে পৃথিবীর সর্বত্র চালু করা হয়েছে। এই নির্বাচনসর্বস্ব গণতন্ত্র দিয়ে ৯৫ শতাংশ মানুষের তো কোনো রকম লাভ নেই।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থাটা কী? স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর জাতীয় সংসদের যে কয়টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার কোনোটিই সন্তোষজনক নয়। আশির দশকে এনজিও ও সিএসও (সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন) প্রবর্তিত হওয়ার পর গণতন্ত্রের ধারণাকে নির্বাচনে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। তখন থেকে রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের জন্য লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত করা হয়। সম্পত্তি ও ক্ষমতা-প্রতিপত্তি অর্জনই রাজনীতি করার উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। গণতন্ত্র বলতে বোঝানো হয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন। রাজনীতি হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত। এনজিও ও সিএসও প্রতিষ্ঠার আগেও রাজনীতি দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। তবে তখন দুর্নীতির পরিমাণ কিছু কম ছিল। আর সবার মনে তখন এমন ধারণাটা ছিল যে বর্তমানে অবস্থা খারাপ হলেও ক্রমে ভবিষ্যতে অবস্থা ভালো হবে। কিন্তু এনজিও ও সিএসও প্রবর্তনের পর যে ধারণা দেখা দিয়েছে তা হলো, বর্তমানে যেমন চলছে ক্রমে তাও থাকবে না এবং ভবিষ্যতে অবস্থা আরো খারাপ হবে।
গণতন্ত্রের জন্য, অর্থাৎ নির্বাচন করার জন্য এনজিও ও সিএসওর চাপে ও প্রভাবে তিন মাসমেয়াদি অরাজনৈতিক নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা হয়। এর দ্বারা রাজনীতির মান দ্রুত নিচে নেমে যেতে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমে নিঃরাজনৈতিকীকৃত হয়ে যেতে থাকে। একসময় ধর্মের নামে যেমন অনাচার দেখা দিয়েছিল, আশির দশক থেকে গণতন্ত্রের নামে তেমনি অনাচার চলতে থাকে। রাজনীতিবিদদের ও রাজনৈতিক দলগুলোর অনাচার ও দুর্নীতির ফলে বারবার জরুরি অবস্থা, সামরিক আইন ইত্যাদি জারি হয়। ইলেকশন ওয়াচ, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, ফেমা, নাগরিক কমিটি, পার্লামেন্ট ওয়াচ, ইলেকশন কমিশন ওয়াচ, এডুকেশন ওয়াচ, মাইনরিটি ওয়াচ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, সুজন, সিপিডি ইত্যাদি নানা নামে রাজনীতির জন্য সিএসও ক্রিয়াশীল আছে। এসব সাম্রাজ্যবাদী আয়োজনের প্রাচুর্যের মধ্যে আমাদের রাজনীতির মান নিচ থেকে আরো নিচে নামতে থাকে। এর মধ্যে দু-একবার বৈদেশিক শক্তির সহায়তায় ভোটাভুটি কিছুটা অপব্যবস্থামুক্ত ছিল। সেটা সম্ভব হয়েছিল বৈদেশিক শক্তির কারণে, দেশি-বিদেশি প্রচারমাধ্যমের প্রচারের কারণেও। প্রকৃতপক্ষে ভোটাভুটি যতটা দুর্নীতি-অনাচারমুক্ত হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রচার চালানো হয়েছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। নির্বাচনে খারাপের ধারাবাহিকতা পাওয়া যায়। ভালোর কোনো ধারাবাহিকতা পাওয়া যায় না। সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়েই পালন করেছে খারাপ ভূমিকা। বাংলাদেশে দলাদলি আছে, দলীয় রাজনীতি নেই, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ঝুলে আছে, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নেই। দেশটিতে রাষ্ট্র গঠনের কোনো আয়োজনও নেই। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদির নামে যেসব কর্মকাণ্ড চালানো হয়, সেগুলোতে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ ঘুমন্ত। হুজুগের পর হুজুগ তৈরি করে, জনসাধারণকে হুজুগে মাতিয়ে স্বার্থান্বেষীরা তাদের স্বার্থ হাসিল করে নেয়। গণতন্ত্র যেখানে আছে সেখানেই থাকে—একটু একটু করে নিচে নামে।
চলমান উদার গণতন্ত্র নিয়ে জনগণের মানা করার কিছু নেই। হুজুগকে গণজাগরণ বলার মধ্যে প্রতারণা থাকে। জনগণ প্রতারিত হয়। ‘হুজুগে বাঙালি’ কথাটা একসময় চালু ছিল। আশির দশক থেকে ঢাকাকেন্দ্রিক যে রাজনীতি দেখা যাচ্ছে, তাকে হুজুগে না বলার তো কোনো কারণ নেই। হুজুগ থেকে মুক্ত হয়ে গণজাগরণের কথা জানতে হবে। গণজাগরণে জনগণের অন্তর্গত মহান মানবিক গুণাবলির জাগরণ ঘটে। গণজাগরণের মহান উদ্দেশ্য থাকে, মহান নেতৃত্ব থাকে। এসব আপনিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয় না। এর জন্য সাধনা ও সংগ্রাম দরকার হয়। শুভবুদ্ধি অবলম্বন করে অশুভবুদ্ধিকে পরাজিত করতে হয়। এর জন্য দৃঢ় সংকল্প, দীর্ঘ অনুশীলন ও দীর্ঘ প্রচেষ্টা দরকার হয়। গোটা জাতির মধ্যে শুভবুদ্ধি আকস্মিকভাবে জেগে ওঠে না। নিরন্তর চেষ্টাসাপেক্ষ ব্যাপার। এসব বোঝার কোনো চেষ্টা বাংলাদেশে কথিত বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে, রাজনীতিবিদদের মধ্যে, ছাত্র-তরুণদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। কাজেই গতানুগতিক ধারায়, চলমান ধারায় বাংলাদেশে রাজনীতির উন্নতি হবে, গণতন্ত্র কায়েম হবে—জনগণ এমনটা আশা করতে পারে না।
তবে প্রচলিত অনাচারের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করলেও হতাশ হওয়ার কারণ নেই। অন্ধকার রাতের পর সূর্য ওঠে এবং নতুন প্রভাত, নতুন দিন দেখা দেয়। রাজনীতিতে, জাতীয় জীবনে, জনজীবনে নতুন প্রভাত ও নতুন দিন সন্ধান করতে হবে। চলমান অনাচারী ধারা ধরে এগোতে থাকলে সুদিন আসবে না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নতি হলে, উৎপাদন ও সম্পদ বাড়লেও সভ্যতা-সংস্কৃতি দেখা দেয় না। সভ্যতা-সংস্কৃতির জন্য বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও অর্থসম্পদের সঙ্গে আরো অনেক কিছু লাগে। সেই অনেক কিছুর প্রতি অনুসন্ধিৎসা দেখা দিলে, চিন্তা ও কাজ দেখা গেলে অবশ্যই নতুন প্রভাতের, নতুন দিনের সন্ধান আমরা পাব।