খোলা বাজার২৪,বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে শিক্ষার্থী খুন হওয়া ও ল্যাপটপ, সাইকেলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরির ঘটনায় হলগুলোকে নিরাপদ মনে করছে না শিক্ষার্থীরা। হলগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, কক্ষে তালা মেরে যাওয়ার পরও দিন-দুপুরে তালা খুলে সবগুলো চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ দায় হল প্রশাসন কিছুতেই এড়াতে পারেন না। হল থেকে শুধু চুরিই নয়, ঘটেছে লিপু হত্যাকা-ের মতো ঘটনাও। তারপরও হল প্রশাসনের কোনো টনক নড়েনি। একটি ঘটনার পর দুই একদিন তারা আলোচনা করেই দায় সেরে দেন। কিন্তু এবার আর তা হবে না। হলে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে এবং গার্ডদেরকে সচেতন করে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে হবে। এরপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে আমরা বড় ধরনের আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
মানবন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, হল থেকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা নতুন নয়। দিন দিন এরকম ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহে ৯টি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। এখন আবাসিক হলগুলোকে আমরা নিরাপদ মনে করছি না। হল প্রশাসন যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয় তবে যারা এই চুরির সঙ্গে জড়িত তারা আরো উৎসাহিত হয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতেই থাকবে।
মানববন্ধনে শের-ই-বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজ মুন্নার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শহীদ হবিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী মাসুদুর রহমান সোহেল, মাদার বখ্শ হলের শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের শিক্ষার্থী মোমিনুল ইসলাম সোহাগ, মতিহার হলের শিক্ষার্থী নাদিম মাহমুদ, শের-ই-বাংলা হলের শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
গত এক সপ্তাহে রাবির বঙ্গবন্ধু, মাদার বখ্শ, শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হল থেকে ৯টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মাদার বখ্শ হল থেকেই পাঁচটি ল্যাপটপ ও দামি জিনিস-পত্র চুরি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচির ডাক দেয়।