খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭: বরগুনার পাথরঘাটা কে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক সমিতি ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টার সময় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় দুই শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ তিন বছর পর্যন্ত কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলের শিক্ষার মান নি¤œপর্যায় চলে গেছে। ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল মো. নুরুল আলম নামের একজন শিক্ষককে স্কুল ব্যাবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ দেয়ায় স্কুলের লেখাপড়ার মান আবার ফিরে আসে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ বাণিজ্যে পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলমকে তার চাহিদা মতো টাকা না দেয়ায়। ৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রভাবিত করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নুর আলমকে তার প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে ওই কক্ষে তৎকালিন সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও ইকবাল হোসেন তালা ঝুলিয়ে দেয়। সেই থেকে স্কুলটির প্রসাশনিক ও শিক্ষার মান দুরাবস্থার মধ্যে চলছে। এ কারনে শিক্ষার মান ও স্কুলের সুস্থ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ২২টি স্কুলের প্রতিনিধি শিক্ষক ও অভিভাবক শ্রেণী মানববন্ধন করেন। তাদের দাবি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল আলমকে তার স্বপদে পুনর্বহল করে স্কুলের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনার। মানববন্ধনে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গোলাম মাওলা মিলন, শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, সাংবাদিক আমিন সোহেল, সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন, সাহারিয়ার, সৈকত প্রমূখ।
পাথরঘাটা কেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পাথরঘাটা পৌসভার মেয়র মো. আনেয়ার হোসেন আকন জানান, নুরুল আলমের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। তাকে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগ বাছাই কমিটির দু’জনকে খুশি না করায় স্কুলে চাকরির ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, এটা তৎকালিন সময় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ঝামেলাটি করেছে। নুরুল আলমের চাকরির নিয়োগে কিছু জটিলতা আছে। তবে আমার ঘুষের বিষয়টি অসত্য বলে তিনি দাবি করেন।