Sun. Sep 21st, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭: 73হামার কেহ নাই বাপু।” এত বড় শীত টাত কেহ আগায় আসিলনি একটা কম্বল দিবার তানে (আমাদের কেউ নেই যে এত বড় শীতে একটা কম্বল দিতে কেউ আগায় আসলোনা)। হামরা শুনিচি বড় বড় শহরলাত সবাই কম্বল পাইছে আর হামরা জারত মরিম বাহে (আমরা শুনছি বড় বড় শহরে অনেকেই কম্বল পেয়েছে কিন্তু ঠান্ডায় আমাদের মরিমরি অবস্থা)। দেখপার কেহ নাই (দেখার মত কেউ নেই)। রাইত-দিন ধরে আগুন বালিয়া সময় কাটাছি আর আল্লাহ আল্লাহ করছি (দিন-রাত আগুন পোহাচ্ছি আর আল্লাহর রহমত কামনা করছি)। এ কথাগুলো আক্ষেপ করে বলছিলেন, রুহিয়া থানার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুজিশহর এলাকার ষাটোর্দ্ধ তাহেরা, জইমত, হুকু, বগাসহ আরো অনেকে। সরেজমিনে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারে শীতের প্রকোপ অত্যন্ত বেশি থাকায় তাদের শীতে অনেক সমস্যায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শীতার্তদের পাশে কেউ এগিয়ে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে উপস্থিত শীতার্ত বৃদ্ধরা বলেন, “হামার কাথালা দয়া করে এখুদি পেপারলাত লেখিবেন যাতে হামার হাসিনা আপা দুখের কাথালা জানবা পারে” (আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কথাগুলো আপনারা পত্রিকায় লিখলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি পড়বে)। আল্লাহ্ তুমহার ভালো করবে বাহে (আল্লাহ্ তোমাদের মঙ্গল করবে)। এ ব্যাপারে পূর্ব কুজি শহর ওয়ার্ডের মেম্বার মমতাজ জানান, আমি এলাকার জন্য দুই দফায় মাত্র ২০টি কম্বল পেয়েছি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছি। আমার এলাকার চাহিদার তুলনায় ২০টি কম্বল অতি নগন্য তাই চেয়ারম্যান সাহেবকে আরো চাহিদা দিয়েছি।