Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

41kখােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭: বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিক ও কারখানার নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনো আপস করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স। গতকাল এক টেলিকনফারেন্সে বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের প্রধান ঢাকায় দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনো আপস করা হয়নি বলেই সংস্কারে ব্যর্থতাসহ অন্যান্য কারণে ১২৭ কারখানার সঙ্গে সব ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স। অবশ্য গত তিন বছরে পোশাক খাতের সংস্কারের সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ওই টেলকনফারেন্সে বিশ্বের নানা প্রান্তের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মরিয়ার্টি। বছরে একাধিকবার এ টেলিকনফারেন্সের আয়োজন করে থাকে অ্যালায়েন্স।
এ সময় জানানো হয়, অ্যালায়েন্সভুক্ত কারখানাগুলো তাদের কারখানার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটির ৬৯ শতাংশ সংস্কার করেছে। মরিয়ার্টি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রশংসনীয় নিরাপত্তা উন্নয়ন হয়েছে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষার লক্ষ্যে গঠিত হয় অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি। উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত এ জোট অ্যালায়েন্স নামে পরিচিতি পায়। অ্যালায়েন্সভুক্ত কারখানার কাছে পোশাক সরবরাহকারী প্রায় সাতশ’ কারখানার অগ্নি, ভবনের কাঠামো ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার নিরাপত্তামান পরীক্ষা শেষে এখন সংস্কার কাজ তদারক করা হচ্ছে। আগামী ২০১৮ সাল নাগাদ এ কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৮’র মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে অ্যালায়েন্সী কী করবে এমন প্রশ্নে মরিয়ার্টি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষেও এ দেশের পোশাক খাতের চলমান সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এজন্য সব পক্ষের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। কীভাবে সংস্কার অব্যাহত থাকবে এ বিষয়ে সরকার, বিজিএমইএ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) চলছে। তিনি বলেন, সংস্কারের সঙ্গে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হবে।
এ সময় অ্যালায়েন্সের গত সাড়ে তিন বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন মরিয়ার্টি।