Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শনিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭: 12পরের বর্ষে ওঠার জন্য ন্যূনতম ক্রেডিট অর্জন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রুয়েটের ২০১৩-২০১৪, ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৬ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন।
তবে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, রুয়েট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পরের বর্ষে উত্তীর্ণ হবার ক্ষেত্রে ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জন বাধ্যতামূলক করেছে। এটি না পেলে তাকে সেই বর্ষেই থাকতে হবে।
আগে এ নিয়ম ছিল, কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা অনুপস্থিতির কারণে ন্যূনতম ক্রেডিট অর্জন করতে না পারলেও তাকে পরের বর্ষে ক্লাস-পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হতো।

তবে শর্ত হিসেবে শিক্ষার্থীকে পরে পরীক্ষা দিয়ে উক্ত ক্রেডিট অর্জন করতে হতো। কিন্তু ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়ম তুলে দেয় রুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট একই দাবিতে রুয়েটে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসনের অনড় সিদ্ধান্তে পিছু হটে তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩৩ ক্রেডিটের এ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হবে। বিশেষ করে রুয়েটে ক্লাস ও ল্যাবের সংকট থাকায় ক্রেডিট অর্জনে ব্যর্থদের অন্য ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস বা ল্যাব করতে হবে। সেক্ষেত্রে জায়গা ও শিক্ষাগত দু’দিকেই সমস্যা দেখা দেবে।
এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থতা বা কোনো সমস্যার কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে তার এক বছরের বেশি সময় ক্ষতি হবে। এমনকি সিলেবাসগত জটিলতাতেও পড়তে হবে ওই শিক্ষার্থীকে।
প্রশাসন কোনো পদ্ধতি প্রণয়ন করলে সেটা সবদিক বিবেচনা করে করা উচিত বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা এ পদ্ধতি বাতিল করে আগের পদ্ধতি পুনরায় চালুর দাবি জানান। পাশাপাশি দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক উল্লেখ করে রুয়েট ভিসি অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, ‘ফেল (অকৃতকার্য) করে কি কখনও উপরের ক্লাসে উঠা যায়? আমরা তাও তো একটি/দুটি বিষয়ে ফেল করলে পরের বর্ষে যাওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। কিন্তু ওরা সব বিষয়ে ফেল করেও উপরে ওঠার দাবি করছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এর আগে শুধু স্মারকলিপি দিয়েছে, কোনো কথা বলেনি। এখন আবার বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা একাডেমিক কমিটি, বিভাগীয় প্রধান, ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাব।’