খােলা বাজার২৪, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শোল্যা বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বদল কোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষকদের এক প্রকার জোরের মুখে শিক্ষার্থীরা কোচিং ও প্রাইভেট নির্ভর হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষা সেবা নয়, এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। বিগত বছরগুলোর ন্যায় চলতি বছরের প্রথম থেকেই এ উপজেলার শোল্যা বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বদল কোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুরু করেছেন কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য। সকাল ৭টা থেকে শুরু করেন প্রাইভেট পড়ানো। এরপর কোচিং। আবার স্কুল ছুটি হলে পড়ানো হয় প্রাইভেট। এতে শিক্ষার্থীরা অনেকেই প্রাইভেট ও কোচিং ক্লাস শেষে স্কুলের ক্লাসের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
সরকারিভাবে কোচিং বাণিজ্য নিষিদ্ধ থাকলেও এবং বিদ্যালয়ে বসে কোন শিক্ষকের প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ থাকলেও উপজেলার প্রতিটি স্কুলের শ্রেণী কক্ষে বসে প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে।
এরআগে গেল বছর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকীর কাছে মুখিক অবিযোক করেন অভিভাবকরা। তখন তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের কোনো তদারকি বা নজরদারী না থাকায় বছরের পর বছর এভাবেই চলতে থাকে কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য। অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এই কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.নুরুজ্জামান জানান, গেল বছর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় আমাকে বলার পর এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষদের ডেকে প্রাইভেট ও কোচিং বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পুনরায় যারা প্রাইভেট ও কোচিং চালু করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।