Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মনগড়া কমিটি দিয়ে চলছে এসএসসি পরীক্ষা জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে ২০১৭ইং সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষার নতুন কেন্দ্র ঘোষণা করায় ইউনিয়নের ডেফুলীবাড়ী, হাসিল, মেষ্টা, আলীম উদ্দিন, আব্দুল হামিদ খান ও হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৬টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে এ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে মনগড়া কমিটি দিয়ে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে জেলা প্রশাসনের নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেয়ার কার্যক্রম।
জানা যায়, এ কেন্দ্রে নকল করার সহযোগী হিসাবে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলামকে হল সুপারের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই সাথে মেষ্টা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরাফত আলীকে হল সুপারের দায়িত্ব দিয়ে কেন্দ্র সচিব একেএম সাজেদুল হক তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈধ সুযোগ করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাদের সাথে আরও সম্পৃক্ত রয়েছেন হাসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একাব্বর আলী ও ডেফুলীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম। তারাও কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বে বাউন্ডারী না থাকার কারণে পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও বাহিরের লোকজন বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করছে। এমনকি মাস্টারদের সহযোগিতায় হরহামেশাই নকল ভিতরে প্রবেশ করাচ্ছে। হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান টিটু তার নিজ দায়িত্ব পালন না করে নিজ স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য প্রতিটি রুমে রুমে গিয়ে নকল সরবরাহ করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান টিটুকে মোবাইল ফোনে নকল সাপ্লাইয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা নকল সাপ্লাই করি বা না করি এটা আপনাদের দেখার বিষয় না। আপনারা পত্রিকায় লেখালেখি করে আমার কিছুই করতে পারবেন না। আপনারা যতখুশি তত পত্রিকায় সংবাদ ছাপান। আমি যা কিছু করছি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নিয়েই করছি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব একেএম সাজেদুল হকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
এলাকাবাসী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল হক শুধুমাত্র তার বিদ্যালয়ের ও হাসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো করার জন্য এই কেন্দ্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়নের জন্য ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
পরীক্ষার অনিয়ম বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল ছালাম বলেন, কোন ধরণের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। এর সাথে যারা জড়িত হবেন সকলকে শাস্তি পেতে হবে। হাজীপুর পরীক্ষার কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্যাপশনঃ হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা।