Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

120446WiFi_kalerkantho_picখােলা বাজার২৪, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: ওয়াইফাই ইন্টারনেটের গতি বহু মানুষেরই সমস্যা। আর এ সমস্যা সমাধান করতে তিনটি কৌশল তুলে ধরা হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
শুরুর আগে
ওয়াইফাই ইন্টারনেটের সংযোগে আপনার যদি উচ্চগতি নেওয়া থাকে কিন্তু কম্পিউটারে বা অন্যান্য ডিভাইসে পর্যাপ্ত গতি না পান তাহলে এ ট্রিকসগুলো কাজ করবে। অর্থাৎ আপনার ওয়াইফাই রাউটারের সমস্যা থাকলে যদি ইন্টারনেটের গতি কমে যায় তাহলে রাউটারে কয়েকটি পরিবর্তনের ফলে আপনার ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি পাবে।

আপনার রাউটারের সেটিং ঠিক করার জন্য এটি একটি ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এরপর ব্রাউজার ওপেন করে ঠিকানার স্থানে আইপি নম্বর লিখুন। সাধারণত এগুলো এ ধরনের হয়ে থাকে-
192.168.1.1
192.168.0.1 বা
192.168.2.1
এরপর আপনার কাছে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চাইবে। এগুলো আপনার রাউটারের ম্যানুয়ালে পাবেন।

ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর Wireless Settings বা Advanced Wireless Settings-এ যান। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন করতে পারেন তা তুলে ধরা হলো নিচে।

১. ব্যান্ড পরীক্ষা করুন
নতুন ওয়াইফাই রাউটারগুলো 802.11n সাপোর্ট করার কথা। এগুলো ৬০০ এমবিপিএস তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। তবে এটি যদি পুরনো 802.11g হয় তাহলে গতি কিছুটা কম হবে। তবে তা যদি 802.11ac থাকে তাহলে আরও গতিশীল ইন্টারনেট। এ ছাড়া আপনার রাউটারে যদি উভয় অপশন থাকে তাহলে সর্বদা গতিশীল অপশনটি সিলেক্ট করে দিন। অন্যথায় গতি কম হবে।

২. নতুন চ্যানেল
আপনার রাউটারের জন্য উপযুক্ত চ্যানেল নির্বাচন করুন। এ ক্ষেত্রে 2.4GHz বহুল ব্যবহৃত। আর এর কারণ কর্ডলেস সেট, ব্লুটুথ স্পিকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদি সব ডিভাইসই চ্যানেলটি ব্যবহার করে। ফলে এ চ্যানেলে তথ্য আদান-প্রদান প্রায়ই গতি কমে যায়। তাই সম্ভব হলে অন্য কোনো চ্যানেল সিলেক্ট করুন।

৩. রাউটারের নিরাপত্তা
আপনার রাউটারের সিগন্যাল চুরি করে অন্য কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করলে স্বভাবতই আপনার ইন্টারনেটের গতি কমে যাবে। আর এ চুরি ঠেকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার নেটওয়ার্ক যদি কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার না করে তাহলে Open থাকবে। এটি যেমন ব্যবহার করা উচিত না তেমন WEP, WPA বা TKIP থাকলে তাও বাদ দিন। এক্ষেত্রে WPA2 বা AES সিলেক্ট করুন। এগুলো যথেষ্ট নিরাপদ। এছাড়া ভালো একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজন ছাড়া রাউটারটি বন্ধ করে রাখুন।