খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে রড ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তানভীর ও তার সহপাঠিরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্র তৌকির আহমেদকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে নড়াইল জেলার লোহাগাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টার আউয়াল কবির জয় ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, এ ধরনের ঘটনা সত্যিই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি খারাপ খবর। কেউ সামান্য অজুহাতে এভাবে মারপিট করে আমার নিজেরও জানা ছিল না, দেখে সত্যিই খারাপ লেগেছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সুষ্ঠু ভাবে চিকিৎসা প্রদানের জন্যে বলা হয়েছে। আর বিষয়টি নিয়ে দোষী ছাত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠ পরিবেশ যে নষ্ট করতে করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আহত শিক্ষার্থীর একাধিক সহপাঠিরা অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যায় তৌকির ক্যাম্পাসের হল থেকে নাস্তা করার জন্যে দোকানে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে একই বিভাগের ৩য় বর্ষের তানভীরসহ কয়েকজনের সাথে দেখো হয়। তৌকির তাদের চিনতে না পারায় সালাম দেয় নাই এমন অভিযোগে তাকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তারা রড ও হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যায়। এ সময় ক্যাম্পাসে এই মারপিটের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও কেউ বাধা দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষার্থীরা। পরে সহপাঠিরা তাকে দেখতে পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানানুষদো ডীন ডা: আব্দুল আলীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগের নামে যে হয়রানী করা হয়েছে তা মূলত সমর্থন যোগ্য নয়। এই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন দেখে সত্যিই আমি অবাক হয়েছি। এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এই ঘটনা কষ্ট কর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি বলেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইকবাল হাসান বলেন, তার শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে রড বা হাতুরী জাতীয় কিছু দিয়ে মারপিট করার কারনে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের জমাট বেধেছে। তবে আশংকামুক্ত হলেও তার সুস্থ হতে সময় লাগবে বলেও জানান ওই চিকিৎসক।