খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: মাহফুজ মুন্না, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত ও রায় পূর্নবিবেচনার দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বিভাগের সামনে তারা এক মৌন মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানববন্ধনে বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পা-ে বলেন, ‘সিফাতের ময়নাতন্তের দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটাকে হত্যাকা- বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা রায়ে দেখছি, এটা আত্মহত্যার প্ররোচনার রায় হয়েছে। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এজন্য আমরা এটার পুনর্তদন্ত ও পুনর্বিবেচনা করা যায় কি না সেটার জন্য আজকে আমরা মৌন মানববন্ধন করেছি।’
গত সোমবার দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ সিফাত হত্যা মামলার রায়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ে স্বামী মো. আসিফ প্রিসলির ১০ বছরের কারাদ- এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেন আদালত। সিফাতের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পা-ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল, প্রভাষক মো. মামুন আ. কাইয়ুম, সোমা দেব, মো. আব্দুলাহীল বাকীসহ বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।
উল্লেখ, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে ওয়াহিদা সিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার চার দিন পর ওয়াহিদার চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় সিফাতের স্বামী আসিফ, শ্বশুর হোসেন রমজান ও শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলীকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্তকারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জুবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি পরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করা হয়।