Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

12kখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭:রাজনৈতিক দলের বা ব্যক্তির নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে দাঁড়িপাল্লা। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামের একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এতদিন এই প্রতীকটি তাদের দলীয় প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু এই মনোগ্রামটি ন্যায়বিচারের প্রতীক হওয়ায় কোনো রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ব্যবহার করতে না দেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত রয়েছে।

ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে গত ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জানানো হয়। এরপর কমিশন বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। এক সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর বিধিমালায় সংশোধন প্রস্তাব আনা হয়। সেটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাদ দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৯ এর উপবিধি (১) এর ৩২ নম্বর ক্রমিক থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক বাতিল করেছে কমিশন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ইসি সচিব স্বাক্ষরিত গেজেটটি ইসিতে এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় এতদিন ৬৫টি প্রতীক থাকলেও এখন থাকছে ৬৪টি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ৬৫টি প্রতীক সংরক্ষিত ছিল। নির্বাচনী দলীয় প্রতীক হিসাবে এতদিন জামায়াতে ইসলামীর নামে ‘দাড়িপাল্লা’ সংরক্ষিত ছিলো। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ অনুযায়ী একমাত্র নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রতীক সংরক্ষণ করে ইসি। কিন্তু ২০১৩ সালে উচ্চ আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করার পর দশম সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকটি আর ব্যবহার করা হয়নি।

তাছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় ভোটেও প্রতীক তালিকায় ‘দাঁড়িপাল্লা’ রাখা হয়নি। বিধি সংশোধনের পর দাঁড়িপাল্লা বাদ দিয়ে প্রতীক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪টি।

২০০৮ সালের ৪ঠা নভেম্বর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নিবন্ধিত হয় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। দলটি অবশ্য এর আগে থেকেই এই প্রতীকে কয়েকবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী নতুন কি প্রতীক নেবে, তা জানা যায়নি। একটি রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১লা আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তার বিরুদ্ধে আপীল করেছে দলটি। যার এখনো কোনো নিষ্পত্তি হয়নি।