Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

বেনাপোলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়াখােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭:  ডিজিটাল দেশ গঠনসহ দিন বদলের ভিশন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। শিক্ষা স্বাস্থ্য কৃষি যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। পাল্টে যাচ্ছে অনেক এলাকার দৃষ্যপট। ঠিক এসময়ে শার্শা-বেনাপোলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক রেজিষ্টার মেইনটেন্সসহ অফিসিয়াল কাজের চাপে ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে দুরত্ব বাড়ছে, কমে যাচ্ছে লেখাপড়ান মান। শিক্ষক ও ভবন সংকটে রয়েছে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। উপজেলায় প্রথমিক ৬৯৩ জন শিক্ষকেরর মধ্যে ১১৩টি পদ রয়েছে শুন্য। শিক্ষার্থী বেশী শিক্ষক কম। এমন অবস্থায় চলছে শার্শা ও বেনাপোলের শিক্ষা কার্যক্রম।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বলেন. সরকারি নিয়মমানতে যেয়ে অধিকাংশ সময় অফিসিয়ালি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। উপজেলা সদরে যোগাযোগ রাখতে হয় অধিকাংশ সময়। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হয়। তারপরও শিক্ষক সংকট বলে জানান তারা।

শিক্ষার্থীরা জানায়. প্রধান শিক্ষক অধিকাংশ সময় শার্শা অফিসে যান। তারপর লাইব্রেরীতে সময় দেন বেশী। এজন্য ক্লাশ নিতে পারেন না তিনি।

অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শিক্ষক সংকট। তারপরও জেলা শিক্ষা অফিসের নিদের্শনায় ২৯টি রেজিষ্টার মেইনটেন্স করতে যেয়ে প্রধান শিক্ষকরা থাকছেন উপজেলার সাথে যোগাযোগে ব্যস্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ নিতে পারছেন না তারা। ক্লাশ নেয়া দূরহ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান শিক্ষক নেতারাও।

শার্শা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ইজ্জত আলী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মানতে যেয়ে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সময় মতো সব ক্লাশ নিতে ব্যর্থ হন। আস্তে আস্তে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুর ইসলাম ও সহকারি শিক্ষা অফিসার মাসুম বিল্লাহ বলেন, যশোরের শার্শা ও বেনাপোলের ১২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নেই প্রয়োজনীয় শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভবন কম। এরপর নতুন করে উপজেলায় ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনী খোল্য়া শিক্ষক ও ভবন সংকট হচ্ছে বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তারা। রেজিষ্টারের বিষয়টি সাময়িকভাবে সমস্যা হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তারা। ন্যুনতম ৪০জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক। এক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তারা।