খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭: বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কে শনিবার (২৫ মার্চ) বেলা ১টার দিকে কুমিড়ের কামড়ে মারা গেছেন এক দর্শণার্থী এমবিএ পড়–য়া যুবক। বিকাল ৪ টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তালতলী থানার ওসি কমলেস হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুমিড়ের কামড়ে নিহত দর্শণার্থীর নাম মো. আসাদুজ্জামান রনি (২৯)। তার বাবার নাম মো. গোলাম মোস্তফা। তার বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সবুজ নগরে। তার বাবা গোলাম মোস্তফা মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান হিসাব রক্ষক। রনি বাংলাদেশ থেকে বিবিএ পাশ করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে অধ্যায়রনরত ছিল। ছুটিতে দেশে এসে বন্ধুদের নিয়ে শনিবার তালতলীর ইকোপার্কে বেড়াতে আসে। রনি ছাড়াও তার খালাত ভাই আল-আমিন, রনির বন্ধু আবু সালেহ, সালেহ’র স্ত্রী লাইজু আক্তার ও তাদের ৫ বছরের শিশু কন্যা জুই মনি শনিবার সকালে তালতলী ইকোপার্কে ঘুরতে গিয়েছিলো। দুপুর ১ টার দিকে ভালোভাবে কুমিড় দেখার জন্য রনি ও তার খালাত ভাই আল-আমিন বিপদজনক সীমানার ভিতরে ঢুকে লাঠি দিয়ে কুমিড়কে খোঁচা মারে। হঠাৎ করেই একটি কুমিড় রনিকে কামড়িয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপর অন্যান্য কুমির ছুটে এসে তাকে মেরে ফেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঠবাড়িয়া থেকে পাঁচজন পর্যটক তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইকোপার্কে বেড়াতে যান। প্রথমে তারা হরিণের বেষ্টনি ঘুরে দেখেন। পরে শকুনের বেষ্টনিতে শকুন দেখে তারা কুমির দেখতে যায়। কিন্তু কুমিরের বেষ্টনিতে তারা কুমির না দেখতে পেয়ে দলের রনি ও তার খালাতো ভাই আল আমিন পুকুরের দেয়াল টপকে পুকুরে নামে। এসময় তারা কুমির দেখার জন্য পা দিয়ে পানি নাড়াতে থাকে। তখন হঠাৎ করে কুমির রনির ঘাড় কামড়ে ধরে। এসময় তার সঙ্গে আসা আল আমিনসহ অন্যরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তাকে ধরে রাখতে পারেনি। কুমির তাকে টেনে পুকুরের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে তালতলী থানার পুলিশ ও স্থানীয়রা পুকুরে রশি টেনে রনির লাশ উদ্ধার করে। তার ঘাড়ে ও বাম চোখের উপরে কুমিরের কামড়ের চিহ্ন দেখা যায়।
তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, আমরা খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই এবং স্থানীয়দের নিয়ে রশি টেনে লাশ উদ্ধার করি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।