Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

11kখােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০১৭: কু-রাজনীতির প্রভাবের কথা উল্লেখ করলেও ঠিক কী কারণে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হচ্ছে না তা জানেন না শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল পর্যায়ের ‘স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন-২০১৭’ পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, কী কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রসংদ নির্বাচন হচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরাসরি নির্দেশ না দিতে পারার কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কু-রাজনীতির প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। আমি জানি না নির্বাচন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন ভয় পাচ্ছে। আর আমরাও এ ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশ দিতে পারি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যাপারে তাগিদ দেওয়ার পর সব মহল থেকে যখন ওই নির্বাচনের দাবি জোরালোভাবে উঠছে ঠিক সেই মুহূর্তে শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্য এল।
স্কুল পর্যায়ে ‘স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন’ উদাহরণ সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে উদাহরণ সৃষ্টি করছে তা পুরো জাতিকে উৎসাহিত করবে এবং পথ দেখাবে।
‘তারা এখান থেকে শিক্ষা নেবে।’
স্কুল পর্যায়ে নির্বাচন আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এ নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জেগে উঠুক।
‘অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অন্যের মতকে মেনে নেওয়া. . . আমি জিতলেও যাতে অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নগণ্য মনে না করি, হারলেও যেন অন্যের প্রতি বিদ্বেষী না হয়ে সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করি। এভাবেই সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার মনোভাব যাতে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে আমাদের মূল উদ্দেশ্য সেটাই।’
তৃতীয়বারের মত আয়োজিত এ নির্বাচনে এবার দেশের ৪শ ৮৭টি উপজেলা ও ৯টি মহানগরের ২২ হাজার ৯০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট হয়। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬ হাজার ৪০২টি মাদ্রাসা।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিভিত্তিক ৮ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বোচ্চ ভোট যিনি পেয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য প্রতিনিধিরা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন এবং প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব শিক্ষার্থীরাই পালন করেছেন।
মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৭২টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৯৯ জন শিক্ষার্থী। মোট ভোটার ছিলেন ১ কোটি ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫১ জন। তারা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।