
খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০১৭: আজ জাতীয় চলচিত্র দিবস। সকালে জাসাসের এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিল, দেখা মাত্রই বলল ভাই এফডিসিতে যাচ্ছি। আজ চলচিত্র দিবস। তার কথা শুনামাত্রই স্মৃতির ক্যানভাসে ভেসে উঠল ওরা এগারো জন চলচিত্রের প্রখ্যাত পরিচালক চাষী নজরুল ভাইয়ের কথা। মনে পড়ল চলচিত্রের দাপটে নায়ক মান্না, জসিম, সালমান শাহ, জাফর ইকবাল ভাইয়ের কথা। স্মৃতির পাতায় এখনো জ্বলজ্বল করছে মিজু আহমেদ, হমায়ুন ফরিদির কথা। ইবনে জামান ভাই চলে গেলেন এইতো সেদিন না ফেরার দেশে। অনেক আগে এফডিসিতে ঢুকতে গেলে ইয়ামুচওয়ালা একজনকে দেখতো সেও মাঝে মাঝে জল্লাদের অভিনয় করতো এখন তাকেও দেখতে পাইনা। এফডিসিতে ঢুকতে আগের মত কেউ বাধারও সম্মুখিন হয় না। এক এক করে দেশে থেকে সিনেমা হল গুলোতো হারিয়েই যাচ্ছে। বরিশালে একমাত্র অভিসার ছাড়া আর কোন সিনেমা হল নেই। ঝালকাঠিতে তিনটি সিনেমা হল ছিল, দুইটি হারিয়ে গেছে অন্যটি বর্তমান আওয়ামী লীগের অফিসে পরিনত হয়েছে। ঢাকার শ্যামলি এখন মার্কেটে পরিনত হয়েছে। আগের মত পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ তেমন হলে এখন আর ছবি দেখতে যাই না। ডিজিটালের যুগে হাতে হাতে এ্যান্ড্রয়েট সেট থাকায় চলচিত্রের স্বাধ মুঠোয় চলে এসেছে। দেশে যে সমস্ত চলচিত্র নির্মাণ হচ্ছে তার তেমন কোন ভবিষ্যৎ নেই বললেই চলে তাইতো মাঝে মাঝে দেখা যায় ভারতীয় ছবি আমদানি করে আমাদের হলে প্রদর্শিত হচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার ছবিও বেড়ে গেছে। আগের কালজয়ি ছবি এখন আর কই? এবারের চলচিত্র দিবসের অঙ্গিকার হোক সুস্থধারার ছবি নির্মাণে আমরা আগ্রহী হবো এবং দেশের চলচিত্র উন্নয়নে সকল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা একই মোহনায় মিলিত হবো। জয় হোক বাংলার চলচিত্রের। জাতীয় চলচিত্র পুরুস্কার প্রবর্তন করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। চলচিত্রকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে ছিলেন কিংবদন্তী চলচিত্র অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজিব। তাদের প্রতি আমাদের রইল গভীর শ্রদ্ধা আর যারা জীবন্ত কিংবদন্তী নায়ক রাজ-রাজ্জাক, আলমগীর, শাবানা, কবরী, ববিতাসহ যারা চলচিত্রকে এখনো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য রইল শুভকামনা।