আহমদ রফিক ।। খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৭: বাংলাদেশে নগরসংস্কৃতির বিকাশ ও শিক্ষার প্রসার ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েক দশকে ঢাকার নাগরিক সমাজে, বিশেষত শিক্ষিত শ্রেণিতে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রকাশ লক্ষ করা যাচ্ছে। সুস্থ শরীরে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার ইচ্ছাই সম্ভবত এর নেপথ্য কারণ। এবং তা শুভ লক্ষণ, সন্দেহ নেই। মানব মনের এটা স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবে ধরে নিতে হয়।
এ প্রবণতার প্রকাশ লক্ষ করা যায় বিশেষ করে রমনা পার্কে খুব ভোরে ও বিকেলে দ্রুত হাঁটাহাঁটিতে শরীর চালনা তথা এক্সারসাইজে ব্যস্ত নগরবাসী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে। শুধু যে মধ্যবয়সী বা বয়স্করাই এখানে ভিড় জমান তা নয়, তরুণ-তরুণী বা যুবক-যুবতীদেরও দেখা যায় স্বাস্থ্য বিচক্ষণতার প্রকাশ ঘটাতে। জীবনাচরণের অন্যান্য দিকেও স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রকাশ বেশ স্পষ্ট।
যেমন চায়ে চিনি ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বর্জন, কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ডিম বা অতিচর্বিযুক্ত খাদ্যে অপেক্ষাকৃত অনাগ্রহ। অবশ্য বেশ কিছুকাল আগে দেখেছি শিক্ষিত নাগরিক দম্পতিদের কোলেস্টেরল ভীতি (ফোবিয়া), যা মার্কিনি স্বাস্থ্যবিষয়ক পত্রপত্রিকাগুলোতে কোলেস্টেরলবিরোধী লেখালেখি ও প্রচারণার ফল। তাই একসময় ঢাকার শিক্ষিত নাগরিক সমাজে ডিম বর্জনের মহোৎসব দেখা দিয়েছিল। অতি সচেতন কেউ কেউ ডিম খেয়েছেন ডিমের হলুদ অংশ অর্থাৎ কোলেস্টেরলভর্তি সুস্বাদু কুসুমটুকু বাদ দিয়ে। হৃদরোগ থেকে মুক্ত থাকতে জিভের প্রতি এই কঠোর শাসন, বলা যায় আহারের স্বাদে কৃচ্ছ্রসাধন।
এখন অবশ্য হাওয়া পাল্টেছে। সপ্তাহে দু-তিনটি ডিম খেতে আর বাধা নেই। এমনকি কেউ কেউ বলেন, দিনে একটা করেও ডিম খাওয়া চলে, তবে অবস্থাভেদে। অর্থাৎ রক্তের লিপিড প্রোফাইলটা দেখে নিয়ে। তেমনি দেখা যায় অতিচর্বিযুক্ত মাংস (যেমন গরু-খাসি-ভেড়া বা হাঁসের) গ্রহণে সংযম। তা সত্ত্বেও রাস্তায় বেরোলে চোখে পড়ে বয়স্কদের দেহস্থূলতা, থলথলে ভুঁড়ি বেল্টের শাসন মানছে না।
হয়তো এর কারণ যতটা অতিপুষ্টি, অতি-ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ, তার চেয়েও বেশি দিনভর বসে বসে কাজ করার অভ্যাস। উঠতি এবং দ্রুত প্রসারমাণ বিত্তবান শ্রেণির উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে জড়িত এ জীবনাচরণ। এটা জীবন-সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অভ্যাসের প্রকাশ সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার বদলে দোতলায় উঠতেও লিফট ব্যবহার বা পাঁচ-দশ মিনিটের পথ পেরোতেও হাঁটার বদলে রিকশা বা গাড়ি ব্যবহারে। চীনাদের মতো সাইকেল ব্যবহারের সংস্কৃতি তো এ দেশের শহর-নগর-মহানগরে গড়ে উঠতে দেখা গেল না। তরুণদের মধ্যেও উল্লিখিত অদ্ভুত আলস্য প্রবণতা, একে কি স্বাস্থ্য সচেতনতা বলা যায়? রমনা পার্কে হেঁটে কি এর দায়পূরণ?
নাগরিক জীবনের এজাতীয় স্থবিরতার পাশাপাশি এন্তার কোমলপানীয় (কোকাকোলা, স্প্রাইট ইত্যাদি) পান এবং জাংকফুড ও ফাস্ট ফুডের প্রতি তরুণদের অত্যধিক-অস্বাভাবিক ঝোঁক তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রকাশ ঘটায় না, বরং বিপরীত ধারণাই সত্য প্রমাণিত হয়। তাই তরুণ ও যুবাদের মধ্যেও দেখা যায় অতিপুষ্টি তথা অতি ক্যালরি গ্রহণের কারণে দেহে মেদস্থূলতা, যৌবনেই ভুঁড়ির প্রকাশ।
এককথায় স্বাস্থ্যবিধিসম্মত জীবনাচরণে আমরা এখনো পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারিনি, স্বাস্থ্যসচেতনও নই। এতে করে সমাজে অবক্ষয়জনিত রোগের প্রকাশ বাড়ছে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ তো এখন ঘরোয়া রোগের মতো হয়ে উঠেছে। বারডেমে প্রচণ্ড ভিড় এর একটি ছোট্ট নমুনা মাত্র। পরিশ্রমে অভ্যস্ত গ্রামীণ জীবনে এর বিপরীত ছবিটাই সত্য। অবশ্য একশ্রেণিতে অতি পরিশ্রমের সঙ্গে অপুষ্টিও তাদের ভবিতব্য।
নাগরিক জীবনযাত্রার, বিশেষ করে রাজধানীর সচ্ছল-বিত্তবান শ্রেণির জীবনযাত্রায় সুস্থ জীবনের তাগিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে উল্লিখিত অবক্ষয়জনিত রোগের পরিসংখ্যান ও মৃত্যুর হার বিবেচনায়। আগে যেখানে বলা হতো পঞ্চাশোর্ধ্বে হৃদরোগের আশঙ্কার কথা, এখন চল্লিশেই তা হঠাৎ আক্রমণে প্রকাশ এবং তাতে মৃত্যুর সংখ্যাধিক্য।
বংশগতি, পরিবার সূত্র ইত্যাদি মৌলিক কারণ বাদ দিলে দুটি বিষয় প্রধান হয়ে ওঠে, যা স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ-উত্কণ্ঠার। আর তা হলো, সঠিক ও সুষম খাদ্য গ্রহণের জ্ঞান ও সচেতনতা এবং স্থবির জীবনাচরণে সচলতা সৃষ্টির গুরুত্ব অনুধাবন। এ কাজে সহায়ক স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপক প্রচার, যে কাজটি করে থাকে পশ্চিমা দেশে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ‘পপুলার সায়েন্স’ বিশেষ করে খাদ্যপুষ্টি রোগ-প্রতিরোধবিষয়ক রচনাদির সহজলভ্যতা, যা প্রায় প্রচারের পর্যায়ে পড়ে। আমাদের দেশ এদিক থেকে খুব অগ্রসর পর্যায়ের নয়।
কয়েক দশক আগে শরীর-স্বাস্থ্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে দৈনিক পত্রিকায় স্বাস্থ্যবিষয়ক যে নিবন্ধ বা কলাম লেখা শুরু করি, এর সংখ্যা বৃদ্ধি যথারীতি ঘটেছে। চিকিৎসক ও অচিকিৎসক একাধিক লেখক এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছেন। তবু স্বাস্থ্যহানির ব্যাপকতা ও অবক্ষয়ী রোগের প্রবণতার তুলনায় এসব প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়।
দুই.
এ পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যতন্ত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাবিদ অধ্যাপক আবু রায়হানের বাংলায় লেখা বই ‘খাদ্যপুষ্টি পথ্য’ পড়ে আশান্বিত হয়েছি এই ভেবে যে তাঁর সহকর্মী অন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে লেখায় আগ্রহী কেউ কেউ হয়তো এ ধরনের কাজে হাত দেবেন। এ বইটি আয়তনে ছোট হলেও প্রয়োজনীয় তথ্যগুণে সমৃদ্ধ। আমাদের শিক্ষিত নাগরিক সমাজে খাদ্যবিষয়ক স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
লেখক ডা. আবু রায়হান চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিশেষ শাখার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাবিদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর আলোচনা বিশেষ ধারার রোগ সম্পর্কে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এ বইয়ের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে ‘সুষম খাদ্য’ এবং রোগ ও সুস্থতায় খাদ্যের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা। পুষ্টিবিজ্ঞানের এ দিকটি সম্পর্কে শুধু রোগীই নয়, সমাজের সব মানুষেরই জানা দরকার। কেননা বিষয়টি রোগ-প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে এবং সে ক্ষেত্রে খাদ্যের রয়েছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আর এটা তো চিকিৎসাবিজ্ঞানেরই কথা যে রোগব্যাধির প্রতিরোধ রোগ নিরাময়ব্যবস্থার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগে প্রতিরোধ, পরে প্রতিকার। আর খাদ্যসংশ্লিষ্ট অবক্ষয়ী রোগব্যাধির প্রকোপ ঠেকাতে, জনস্বাস্থ্য রক্ষার তাগিদে খাদ্য-অখাদ্যের ভালো-মন্দ বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান অতিশয় জরুরি। সে জ্ঞান আমাদের ওই সব রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে বা এর বিলম্বিত প্রকাশে সাহায্য করতে পারে।
তাই সবারই জানা দরকার যেমন প্রাত্যহিক খাদ্যের গুণাগুণ, তেমনি কোন কোন খাদ্য উপকরণ খাওয়া উচিত বা উচিত নয় সে সম্পর্কেও মোটা দাগে জানা। এমনকি জানা দরকার খাদ্যের পুষ্টিবিষয়ক তথ্যাদি। করোনারি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগে খাদ্যগ্রহণের নীতি-রীতি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রত্যেক ব্যক্তির পক্ষে জরুরি। তাতে রোগের ঝুঁকি কমে।
‘খাদ্যপুষ্টি পথ্য’ বইটি এ বিষয়ে পাঠককে যথাযথ তথ্য জানতে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের লেখা হলেও এসব তথ্য খুব সহজ-সরল ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে সাধারণ পাঠকের বুঝতে কোনো অসুবিধা না হয়। আর তা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। প্রসঙ্গত বলি, এ বইয়ের মুখবন্ধ দুটিও পড়ে দেখার মতো, যাতে সুস্বাস্থ্যবিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে। লিখেছেন স্বনামখ্যাত অধ্যাপক এ কে আজাদ খান ও ড. খুরশীদ জাহান।
অধ্যাপক রায়হান তাঁর লেখার শুরুতে মানবসভ্যতা বিকাশের প্রেক্ষাপটে খাদ্যের ব্যবহার সম্পর্কে যে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন তা হলো প্রতিদিনের খাদ্যে ফলমূলের ভূমিকা। উল্লেখ করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রতিভাবান অগ্রদূত হিপোক্রেটিসের উক্তি উদ্ধার করে যে ‘তোমার খাদ্যই তোমার ওষুধ। ’ অর্থাৎ সঠিক ও সুষম খাদ্য নির্বাচন ও গ্রহণই মানুষকে ব্যাধিমুক্ত ও সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে। কথাটা সাধারণ অর্থেও গুরুত্বপূর্ণ। বলতে হয় একটি অসাধারণ উক্তি।
এ উক্তি গুরুত্বপূর্ণ মূলত অবক্ষয়ধর্মী রোগের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে, অংশত অন্য রোগের প্রতিরোধেও সত্য। সুষম খাদ্য দেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে সজীব, শক্তিমান ও সচল রাখে। ফলমূল প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো যে দেশের যে ফল, তা ওই দেশবাসীর জন্য সর্বাধিক উপযোগী। বিশেষ করে আবহাওয়া বৈশিষ্ট্যের কারণে। ‘ফোক মেডিসিন’ অর্থাৎ লৌকিক চিকিৎসাশাস্ত্র তেমন কথাই বলে। বেশ কিছুদিন থেকে মার্কিনি স্বাস্থ্যসচেতন শিক্ষিত শ্রেণি ‘ন্যাচারাল ফুড’ ও ‘ন্যাচারাল চিকিৎসা’ সম্পর্কে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিষয়টি যে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তিন.
সর্বাধুনিক তথ্যের ভিত্তিতে এ বইয়ে লেখক ‘রোগ ও সুস্থতায় খাদ্যের ভূমিকা’ প্রসঙ্গে যথারীতি প্রতিদিনের খাবারে যথেষ্ট মাত্রায় বেশি আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। উল্লেখ করেছেন পানিতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশযুক্ত খাদ্য উপকরণের কথা। যা শুধু বার্ধক্যে কোষ্ঠকাঠিন্যেই কার্যকর তা নয়, অনেকের মতে হৃদরোগ ও মলান্ত্র (কোলন) ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমায়। এবং গুরুত্বপূর্ণ ‘ডায়াবেটিস’ রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
দেহস্থূলতা, মেদস্থূলতা ও দেহের অত্যধিক ওজনের রোগতাত্ত্বিক গুরুত্ব সম্পর্কে এ বইয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন লেখক। এ কালের ভোগবাদী সমাজে, কী পাশ্চাত্যে, কী প্রাচ্যে দেহের অতিমাত্রিক ওজন তথা ‘ওভারওয়েট’ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এ সম্পর্কেও অতি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা রয়েছে বইটিতে। রয়েছে ‘ওজন কমানোর খাদ্যের নীতিমালা’, যা পাঠককে বাস্তবে স্বাস্থ্যসচেতন হতে সাহায্য করবে।
শুধু সচেতন হওয়াই নয়, বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগের নির্দেশনামাও রয়েছে এতে। আর তা অনুসরণ করলে দেহের ওজন সঠিক মানদণ্ডে কমিয়ে আনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এ আলোচনায় ঘুরেফিরে একটি সত্যেই পৌঁছাতে হয় যে পরিশোধিত চিনি (রিফাইন্ড সুগার) ও নানা রকম চর্বি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হওয়া সত্ত্বেও অবস্থা বিচারে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য। বিপরীত ধারায় গুরুত্বপূর্ণ আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য। বিশেষত ফলমূল ও সবজি।
প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকা নির্বাচনে বহু ব্যবহূত খাদ্য উপাদানগুলোর নানামাত্রিক গুণাগুণগুলো একনজরে দেখে নেওয়ার পক্ষে খুবই উপযোগী বইটিতে যুক্ত খাদ্যতালিকা। তালিকাভুক্ত খাদ্যগুলোতে কী আছে আর কী নেই তাসহ এর ক্যালরি মাত্রাও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে রয়েছে আমাদের বহু পরিচিত ও প্রয়োজনীয় খাদ্য ভুবনের চিত্র—বহু চেনা ফলমূল, মাছ-মাংস, চাল, গম, ভুট্টা থেকে মায় মসলাপাতি। একনজরে সব কিছুর হদিস মিলবে।
এ ছাড়া বলা হয়েছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী কী খাবেন ও কী খাবেন না সেসব বিধিনিষেধের তথ্যাদিও। মূলত সুস্থ ও অসুস্থ মানুষের খাদ্য ও পথ্য সম্পর্কে ডা. রায়হানের লেখা বইটি ছোটখাটো গাইড বুক হিসেবে ব্যবহারের যোগ্যতা রাখে। তাই স্বাস্থ্যসচেতন পাঠক মাত্রেরই সঙ্গী হতে পারে ‘খাদ্যপুষ্টি পথ্য’ নামের বইটি। প্রসঙ্গত বলি, স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যান্য দিক নিয়ে লোকবান্ধব এজাতীয় বই লিখতে যেন এগিয়ে আসেন মননশীল চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কেউ কেউ। তাতে স্বাস্থ্যসচেতন পাঠক উপকৃত হবেন। আর বাংলাদেশে বিজ্ঞান-পুস্তকের এ ধারাটি সমৃদ্ধ হবে।
লেখক : কবি, গবেষক, ভাষাসংগ্রামী