Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭: 20
চিন্ময় মুৎসুদ্দী
আবার এসেছে ৩ মে। মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এটি এখন আন্তর্জাতিক একটি দিবস। প্রতিবছর সমকালীন ঘটনার আলোকে প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘গুরুতর সময়ের জন্য জটিল মন : শান্তিপূর্ণ, ন্যায়পরায়ণ ও সংহত সমাজের অগ্রগতিতে মিডিয়ার ভূমিকা’। ইউনেসকো এ দিনটিকে মনে করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মৌলিক নীতিমালা উদ্‌যাপন; বিশ্বব্যাপী প্রেস স্বাধীনতার মূল্যায়ন, তাদের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ থেকে মিডিয়াকে রক্ষার জন্য জনসচেতনতা তৈরি ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিহত সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মুহূর্ত।

১৯৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৩ মেকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এদিন ঘোষণার উদ্দেশ্য হিসেবে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছিল, ‘দেশে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ও মুক্ত গণমাধ্যমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ’ সেই থেকে বিশ্বের অনেক দেশে দিনটি পালন করা হয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেক আন্তর্জাতিক দিবস পালন করে স্ব স্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এদিনটি পালন করেন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা ও গণমাধ্যম নিয়ে কাজ করে এমন কিছু বেসরকারি সংস্থা।

১৯৯৩ থেকে ২০১৭ সাল। ২৪ বছর। এই সময়ের মধ্যে অনেক দেশেই গণতন্ত্রের বিকাশ রুদ্ধ হয়েছে। মুক্ত গণমাধ্যমের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা যায়নি। গত মাসে নিজেদের এক সাংবাদিককে হত্যা ও এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের সাজা না হওয়ার প্রতিবাদে মুদ্রণ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মেক্সিকোর স্থানীয় পত্রিকা ‘নরতে দে সিউদাদ খোয়ারেজ’। পত্রিকাটির এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘গত রবিবার (২ এপ্রিল ২০১৭) প্রকাশিত পত্রিকাটিই এর শেষ মুদ্রণ সংখ্যা এবং এর ডিজিটাল সংস্করণও শিগগিরই বন্ধ করে দেওয়া হবে। ’ পত্রিকাটির সাংবাদিক মিরোস্লাভা ব্রিচ গত মাসে হামলায় নিহত হন। তিনি ওই পত্রিকা ছাড়াও মেক্সিকোর শহরভিত্তিক জাতীয় পত্রিকা লা খরনাদায় দেশটির চিওয়াওয়া রাজ্যের রাজনীতিবিদ ও সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের মধ্যকার সম্পর্ক লেখনীতে বিশদভাবে তুলে এনেছিলেন। সূত্র বিবিসি।

বাংলায় আমরা বলছি, ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’। দিবসটি মোটামুটি উল্লেখ করার মতো করেই পালন করা হয় বাংলাদেশে। প্রতিবছর অসংখ্য দিবস পালিত হয় বাংলাদেশে। এটিও তেমনি এক আন্তর্জাতিক দিবস। এই দিবসটি পালন উপলক্ষে একাধিক সংগঠন সেমিনার, ওয়ার্কশপ, আলোচনাসভা ইত্যাদি আয়োজন করে। এবারও এ ধরনের কিছু অনুষ্ঠান হবে। প্রিন্ট মিডিয়া সংবাদ ও মতামত প্রকাশ করে। ইলেকট্রনিক মাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে তেমন কিছু প্রচার করে না। তবে কোনো কোনো মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নানা সময়ে জাঁকজমকের সঙ্গে নাচ-গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও দিনটিতে গোলটেবিল বা কোনো আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে না। সাংবাদিক ইউনিয়নও দিনটিকে তেমনভাবে পালন করে না।

আসলে মুক্ত সাংবাদিকতা বলতে আমরা কী বুঝব? স্বাভাবিকভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকেই বুঝব। সে ক্ষেত্রে বলতে হবে নানা ধরনের নিয়ন্ত্রণ স্বাধীন সাংবাদিকতার বাধা। যেমন—গত ৬ নভেম্বরে (২০১৬) বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন) দেশের সব সরকারি হাসপাতালে চিঠি পাঠিয়ে ময়নাতদন্তের বিস্তারিত বক্তব্য গণমাধ্যমে না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিককে দেওয়া মৃত ব্যক্তির প্রাইভেসি লঙ্ঘন, নাকি সাংবাদিকের তথ্য অধিকার খর্ব? এ ধরনের নির্দেশনা মুক্ত সাংবাদিকতায় অন্তরায় সৃষ্টি করছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ছাড়া চাপ, কণ্ঠরোধ, নির্যাতন, মামলা তো আছেই। ওদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলা প্রতিবছরই উদ্বেগের কারণ সারা বিশ্বে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছে (২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬), ২০১৫ সালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা বেড়েছে। কয়েক দিন আগে প্যারিসভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গত কয়েক বছরে আরো সংকুচিত হয়েছে। ’ কোথাও সরকারি নিয়ন্ত্রণ, কোথাও রাজনৈতিক ক্যাডারদের হামলা, কোথাও দুর্নীতিবাজ ও মাদক সম্রাটদের হামলা, কোথাও জঙ্গিদের হুমকি গণমাধ্যমকে নানাভাবে সন্ত্রস্ত রেখেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পেইড নিউজ আর ফেইক নিউজ প্রকাশের বিড়ম্বনা। এপ্রিল মাসের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্টস কনফারেন্স ২০১৭ হয়ে গেল বিশ্বের ৫৫টি দেশের শতাধিক সাংবাদিকের উপস্থিতিতে। প্রায় সবাই সেখানে ফেইক নিউজ এখন একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁডিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। ফেইক নিউজের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সমষ্টিগত প্রতিরোধের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁরা কোরিয়া নিয়ে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় সৃষ্ট অশান্ত পরিবেশে সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে সত্য, সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশে সাংবাদিকদের সততা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। শান্তিপূর্ণ, ন্যায়পরায়ণ ও সংহত সমাজের অগ্রগতিতে মিডিয়ার ভূমিকা এটাই সবার আগে।

মুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিকদের সাহসী হতে হয়। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একবার ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠার কিছু জায়গা খালি রেখে লিখলেন, এ বিষয়ে আর কিছু ছাপানো গেল না সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে। এ ধরনের কোনো প্রতিবাদ আজকের কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান করবে বলে প্রত্যাশা করছি না। কারণ এখন মিডিয়া হাউস মুনাফামুখী, সাংবাদিকতার নীতিগত অবস্থান অনেকের কাছেই প্রধান আদর্শের বিষয় নয়। মানিক মিয়া মালিক-সম্পাদক হলেও নিজের প্রতিষ্ঠানকে মুনাফামুখী করেননি। সাংবাদিকতার মৌলিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। সত্য প্রকাশে কখনো দ্বিধা করেননি। সাহস করে সামরিক শাসকের নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছিলেন।

বাংলাদেশে মুক্ত সাংবাদিকতার একটি প্রধান অন্তরায় রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। সামাজিক সংস্থাগুলোর অনেক ক্ষেত্রেও একই অবস্থা্। আবার গত একযুগে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ও কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটেছে বড় রকমের। মিডিয়া এখন মুনাফামুখী হওয়ায় সত্য প্রকাশের অঙ্গীকার থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপস করা হচ্ছে। এবিএম মূসা Corruption and the Mass Media শীর্ষক এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, …the call rate of mobile phones, illegal occupation of lands by big developers, adulteration of food, manufacturing of fake medicines, excessive hollowness of gold–all these fall into some categories of corruption. Do all these find place in the pages of newspapers? If the newspapers write about it, the full page advertisements of mobile phones or half-page publicity of developers regarding per katha price of land in the newspapers would be stopped. If a reporter writes any investigative report on the subject, it would not be published or he would lose his job. (৪ আগস্ট ২০০৫)। পাশাপাশি ক্ষেত্র বিশেষে সম্পাদক ও প্রকাশক একই ব্যক্তি হওয়ার কারণে মুক্ত সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আবার অনভিজ্ঞ মালিকের সম্পাদক হওয়ার ফলে স্বার্থবাদী ‘ফেইক নিউজ’ বা ভুয়া সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মুক্ত সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। এ কারণে গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। মুক্ত সাংবাদিকতা, সুসাংবাদিকতা, এথিক্স, আলোচনায় এলেও তা কার্যকরে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যাশা অনুযায়ী তত্পরতা নেই। অনেকেই লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় নানা সেক্টরে প্রতিযোগিতা আর পুরস্কার প্রদান নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণেও মূল্যায়নমূলক প্রতিবেদন অনেকটাই নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে।

মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য কর্মরত সাংবাদিকের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ শতকের শুরুতেই এ দিবসের একটি প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও দায়মুক্তি’। বিশ্বব্যাপী এ সমস্যাটিও অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশে শামছুর রহমান, মানিক সাহা, সাগর, রুনি, দীপংকর চক্রবর্তী প্রমুখের হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা হয়নি। সমাজে প্রভাবশালী যেমন সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও তাঁদের ছত্রচ্ছায়ায় লালিত সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী, তাঁদের বিরুদ্ধে যায় এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বেশির ভাগ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হন। কোনো কোনো সংবাদপত্র নিজেদের স্টাফ বা প্রদায়কের ওপর সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেয় বলে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নির্যাতনে আরো উৎসাহী হয়ে ওঠে। কোনো কোনো কর্তৃপক্ষ তো বলেই ফেলে, ‘উনি প্রদায়ক, আমাদের কেউ নন। ’ সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষের এ ধরনের মন্তব্যে মুক্ত সাংবাদিকতা ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হয়। গণমাধ্যমের মালিকপক্ষ সরকারের সঙ্গে বা বড় করপোরেট হাউসের সঙ্গে সমঝোতা করে সংবাদ নিয়ন্ত্রণ করে বলে সাংবাদিকদের একটি অংশ ফেইক নিউজ আর পেইড নিউজ নিয়ে দুর্নীতির একটি চক্র তৈরি করছেন দেশে দেশে। টাইমস অব ইন্ডিয়াতে আমরা একটা ভুয়া খবর দেখেছি যে ভারতের সেনাবাহিনীপ্রধান কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে আবার বাংলাদেশ সফর করবেন। এ খবরটি টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্র ধরে ঢাকার সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। পরে জানা গেল, খবরটি সঠিক নয়। ঢাকার সংবাদপত্রের উচিত ছিল এ খবরটির সত্যতা যাচাই করা। একটি বিদেশি পত্রিকার বরাতে এ ধরনের স্পর্শকাতর সংবাদ প্রকাশ দায়িত্বহীন সাংবাদিকতার পরিচায়ক। পরদিন ভুল সংশোধন দেওয়াটা প্রথাগত পদক্ষেপ। প্রথম দিন সংবাদটির সঙ্গে ঢাকায় আইএসপিআরের বক্তব্য থাকলে পাঠকের মধ্যে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিত না। একটি বড় দেশের সেনাপ্রধান স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র প্রতিবেশী দেশে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার সফরে আসবেন—তা যেকোনো সাংবাদিকের কাছে প্রশ্নবোধক হয়ে ধরা দেবে। এই সংবাদটি দুই দেশের কোনো কোনো মহলকে উত্তেজিত করার প্রয়াস হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। মুক্ত সাংবাদিকতার নামে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্ত বা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সুশৃঙ্খল ও ন্যায়পরায়ণ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন, যার একটি প্রধান টার্মস অব রেফারেন্স হবে প্রকাশকের নিয়ন্ত্রণমুক্ত সাংবাদিকতা।

বরাবরের মতো এবারও সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এ দিনটি পালন করা হবে। মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন অনেকে। সচেতনতা তৈরির জন্য এসব কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গুরুত্ব দিতে হবে মুক্ত সাংবাদিকতার লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর। মুক্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরির প্রবিন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে তা কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। আগামী বছর ৩ মে এই দিবসে কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী ধাপে এগোনো যাবে। এ ধরনের সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘ আমাদের সমস্যার ব্যাপারে আলোকপাত করেছে। সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে নিজেদের।

লেখক : সাংবাদিক ও মিডিয়া বিশ্লেষক