Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ৬ মে, ২০১৭: 54সর্বকালের সেরা অ্যাথলেটদের নাম নিতে গেলে নিশ্চিতভাবেই শুরুর দিকে থাকবে উসাইন বোল্টের নাম। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অনেক রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন জ্যামাইকান এই অ্যাথলেট। সেগুলো কখনো ভাঙবে কি না, তা নিয়েও আছে ঘোর সংশয়। কিংবদন্তি এই ক্রীড়াবিদ এ বছরই বিদায় নেবেন অ্যাথলেটিকস অঙ্গন থেকে। তবে ক্রীড়াজগতকে এত দ্রুত বিদায় বলতে চান না বোল্ট। অ্যাথলেটিকস ক্যারিয়ার শেষে তিনি নামতে চান ফুটবল মাঠে। হতে চান সেরা ফুটবলার।

বরাবরই নিজেকে ফুটবলের চরম ভক্ত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন বোল্ট। সমর্থন করেন ইংল্যান্ডের সফলতম ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। মজা করে অনেক সময়ই তিনি মাঠে নামতে চেয়েছেন রেড ডেভিলদের জার্সি গায়ে। তবে এবার আর হাসি ঠাট্টা না। বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতেই বোল্ট বলেছেন, ‘বিশ্বের সেরা ৫০জন ফুটবলারের মধ্যে একজন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে আমার। যদি আমি নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পাই তাহলে আমি প্রতি মৌসুমে ২০টা করে গোল করতে চাই।’

অনেক ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছেন বোল্ট। ফ্রান্সের একটা ফুটবল ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেতে চাই। আমি এই খেলাটা খুব পছন্দ করি। এটা অনেক বছর ধরেই আমার মাথার মধ্যে আছে। গত কয়েক মাসে আমি বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেছি। সেগুলোতে কিছু সুযোগও তৈরি হয়েছে। তবে কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দেখা যাক কী হয়।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জার্মানির অন্যতম সেরা ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে তিন-চার দিন অনুশীলনও করেছিলেন বোল্ট। এটা অবশ্য অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন পুমার একটা বিজ্ঞাপন হিসেবে। কারণ বোল্ট ও বরুশিয়ার খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষক পুমা।

৩০ বছর বয়সে নতুন করে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা আদৌ সম্ভব হবে কি না, এমন প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে বোল্টকে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘ফুটবল খুবই শারীরিক শক্তিমত্তার একটা খেলা। আমি খুব বেশি তরুণও নই। কিন্তু আমার মনে হয় এখনো আমি অন্তত চার বছর খুব ভালোভাবে খেলে যেতে পারব।’ দেখা যাক তিনি সত্যিই সেটা পারেন কি না।

আপাতত অবশ্য বোল্টকে ব্যস্ত থাকতে হবে নিজের অ্যাথলেটিকস ক্যারিয়ার নিয়েই। এ বছরের আগস্টে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। এটাই হবে বোল্টের ক্যারিয়ারের শেষ বড় কোনো প্রতিযোগিতা। তারপর দৌড়ের জুতোগুলো তুলে রাখবেন বিশ্বের দ্রুততম মানব।