Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

15kএ কে এম শাহনাওয়াজ । খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ৭ মে, ২০১৭: নির্বাচন নিয়ে মাঠ সরগরম হলে ভালো লাগে। মনের ভেতরে বেড়ে ওঠা হতাশার মেঘও কিছুটা কেটে যায়। মনে হয়, আমাদের রাজনীতি বোধ হয় আবার গণতন্ত্রচর্চার দিকে ফিরছে। কিছুদিন থেকেই প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা যেখানেই দলীয় বা রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন, সুযোগমতো নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে নিচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে দল চাঙ্গা করার কর্মসূচিও গ্রহণ করেছেন। তবে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই বিএনপির প্রস্তুতি চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিএনপির দলীয় কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে আছে। সংবাদ সম্মেলন আর বিশেষ অনুষ্ঠান বা দিবস উপলক্ষে রুদ্ধদ্বারে অনুষ্ঠানের মধ্যেই আটকে ছিল বিএনপির রাজনীতি। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচন বর্জন করে এবং নির্বাচন প্রতিহত করার নামে ভয়ানক অরাজকতা ও সহিংসতায় যুক্ত থেকে বিএনপি বিশাল সাংগঠনিক ভুল করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ ও সরকারের হাতে সুবিধার বল তুলে দিয়েছে। আর এর প্রতিক্রিয়ায় ফাঁদে পড়ে দলটির এখন চিঁড়াচ্যাপ্টা অবস্থা। এমন একটি দশায় দলের যে ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা—এর থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হলে নির্বাচনী আবহাওয়াকেই কাজে লাগাতে হয়। এবার মনে হচ্ছে, এই উপলব্ধি বিএনপির হয়েছে। আর তাই তৃণমূলে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিএনপি যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে, একে স্বাগত জানাতে হয়।

সংবাদমাধ্যমে জানলাম, বিএনপি তৃণমূলে সংগঠন চাঙ্গা করার জন্য ৫১টি টিম গঠন করেছে। এই ৫১টি টিমের নেতৃত্বে থাকবেন একেকজন নেতা। তাঁদের কেউ কেউ স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলকর্মীদের কাছে সুপরিচিত, কম পরিচিত আবার অপরিচিতও। ৭৭টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে এই টিম থাকবে এবং টিমের নেতারা তৃণমূল চাঙ্গা করতে ভূমিকা রাখবেন। উদ্যোগটি প্রশংসনীয় এবং গণতান্ত্রিকও বটে। কিন্তু প্রায়োগিক ক্ষেত্রটি নিয়ে দুর্ভাবনার কারণ আছে। বলা হয়েছে, কোনো টিমের নেতা নিজ এলাকার হবেন না। যেমন—বগুড়ার নেতাকে পাঠানো হবে ফরিদপুর, পটুয়াখালীর নেতা নেবেন কুমিল্লার দায়িত্ব। বিষয়টি একটু অদ্ভুত বটে। এতে স্পষ্ট হয় মাঠপর্যায়ে বিএনপির নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়টি। নির্বাচনের মাঠে সম্ভাব্য কলহ এড়াতে সম্ভবত এ ব্যবস্থা। কিন্তু এতে কি নতুন সংকট তৈরি হবে না? কেন্দ্র থেকে পাঠানো সুপরিচিত নেতা না হয় পরিস্থিতি সামাল দিলেন; কিন্তু স্বল্প পরিচিত বা অপরিচিত নেতাকে পোড় খাওয়া স্থানীয় নেতারা মানতে চাইবেন কেন! স্থানীয় নেতাদের পারস্পরিক ঝগড়া বহিরাগতদের দিয়ে মেটানো সম্ভব নয়। এতে বরং জটিলতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। এর বাইরেও স্থানীয় অনেক বিএনপি নেতা নানা মামলায় বাঁধা, পরে ফেরার। ঠিকমতো জনসংযোগ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এসব বাস্তবতা সামনে নিয়ে বিএনপির ৫১ টিমের সাংগঠনিক সফর কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই।

বিএনপি নির্বাচন সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগের মতো করে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এর ভেতর কী থাকবে তা পরে আমরা জানতে পারব। কিন্তু সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে আমি বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানকে প্রশ্ন করেছিলাম, বিএনপির ৫১ টিমের কাছে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপির মনোভাব সম্পর্কে প্রশ্ন তুললে উত্তর ঠিক করা আছে কি না। কারণ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর নতুন বিএনপি প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলিয়ে দিতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেছিল। রেডিও-টেলিভিশন থেকে মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল পাঠ্য বই ও দর্শনীয় জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় বঙ্গবন্ধুর ছবি। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম প্রচারিত হতে থাকে। বোঝা যায়, বিএনপি সরকার সচেতনভাবে সঠিক ইতিহাস আড়াল করতে চাইছে। নেতারা সতর্ক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের ভূমিকা যাতে প্রজন্মের কাছে অস্পষ্ট থেকে যায়।

এদিক থেকে সামান্য সাফল্যও পেয়েছিল বিএনপি। তরুণদের একটি অংশকে বিএনপি টানতেও পেরেছিল। স্কুল পাঠ্য বইয়ে নানা বিকৃতি এনে প্রজন্মকে গোলকধাঁধায় ফেলেও দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর একটি লম্বা সময় পেয়েছে। স্কুল পাঠ্য বইয়ে বিকৃতির অপসারণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ প্রজন্ম বরং নতুনভাবে মুক্তিযুদ্ধ জানতে কৌতূহলী হয়ে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও পরিপ্রেক্ষিত পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এখন বরং মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ভোলানোর মতো এমন অন্যায় কাজের জন্য বিএনপি নেতৃত্বকে দোষারোপ করছে। এরই মধ্যে বিএনপি নেতারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গভীর সখ্য তৈরি করেছেন। মানবতাবিরোধী ভয়ংকর অপরাধী যাঁরা ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন, তাঁদের বিএনপি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বানিয়েছিল। এখন নির্বাচনী সফরে বা দল পুনর্গঠন করতে গেলে এসব প্রশ্ন তরুণ প্রজন্মের অনেকে তুলবে। তখন এর জবাব বিএনপি নেতারা কিভাবে দেবেন? আমি অবশ্য এসব নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রশ্ন রেখেছিলাম। কিন্তু নজরুল ইসলাম খান এসব প্রশ্ন সযত্নে এড়িয়ে গেছেন। আসলে এর কী-ই বা উত্তর হতে পারে। জনাব খান খাপছাড়াভাবে বলছিলেন, বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তিনি ও তাঁর ভাইয়েরাও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আবার একসময় তিনি নামাবলি যপের মতো ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান’ বলতেও ছাড়লেন না। আসলে বিভিন্ন দলের ট্রেডমার্ক কিছু বচন তৈরি হয়েছে। শুনে মনে হয়, এসব না বললে বোধ হয় দলে তাঁদের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে। যেমন—আমরা আমজনতা বলি, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ’ শুধু শুধু মেদ বৃদ্ধি করে গ্রাম্যতার প্রকাশ কেন! কিন্তু এ জায়গায় আওয়ামী লীগ দলীয় কেউ হলে ঘটা করে বলতেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ’ একইভাবে বিএনপি দলীয় কেউ হলে ‘বিএনপিপ্রধান বেগম খালেদা জিয়া’ বলে থামবেন না। তাঁদের অবশ্যই নামের আগে ‘দেশনেত্রী’ বলতেই হবে। সেদিন দেখলাম, এক জাতীয় পার্টির নেতা জেনারেল এরশাদের নামের আগে ‘পল্লীবন্ধু’ বলতে ভুল করলেন না। এমন বালখিল্য আচরণ আমাদের দেশের বাইরে হয় কি না, আমি জানি না।

যদিও আমার উচিত হয়নি, তবু বিএনপির প্রবীণ নেতা নজরুল ইসলাম খান যখন ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়াউর রহমান বললেন তখন হোঁচট খেতে হলো। এখন নতুন প্রজন্মও খবর রাখে এ ধরনের শব্দের অসারতার কথা। আমরা মনে করি, বিএনপি নেতাদের এখন দিন দিন সন্তর্পণে এসব চেপে যাওয়া উচিত। এর পরও এই কলের পুতুলের মতো শব্দযুগল যদি বেগম জিয়া বা তারেক রহমানের মতো নেতারা বলতেন, তবে না হয় মনকে সান্ত্বনা দেওয়া যেত। বিএনপি নেতা রিজভী বা গয়েশ্বর রায়দের মুখেও না হয় মানিয়ে যেত; কিন্তু নজরুল ইসলাম খানের মতো প্রাজ্ঞ ভদ্র রাজনীতিকের মুখে ঠিক মানাল না। টক শোতে অনেক সময় মুখোমুখি অনেক কথা বলতে বিব্রত বোধ করি। তা ছাড়া সময়ের স্বল্পতাও থাকে। যদি তেমন না হতো, তাহলে নজরুল ইসলাম খানকে বলতে ইচ্ছা করছিল, ‘আপনি যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তা কি মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনে উজ্জীবিত হয়ে? জিয়াউর রহমানের দুর্ভাগ্য, বেঁচে থাকতে তিনি জেনে যেতে পারলেন না যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি বিশাল ঘটনা কি তাত্ক্ষণিক কারণেই শুরু হয়েছিল? দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট কি আড়ালে চলে যাবে? আইয়ুববিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু কিভাবে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের গৌরব, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়, ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় ফুঁসে ওঠে বাঙালি—এসব যুক্ত না করে কি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা সম্ভব? ৭ মার্চের ভাষণে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে যায়। এর পরের বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তাই ২৫ মার্চের কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনারা গণহত্যা শুরু করলে কোনো ঘোষণার অপেক্ষা করেনি বাঙালি। রাত ১২টার আগেই ফার্মগেটের সামনে তরুণরা হানাদারদের মেশিনগানের সামনে ‘জয় বাংলা স্লোগান’ তুলে জীবন দিয়েছে। ইপিআরের বাঙালি জওয়ানরা যতক্ষণ জীবন থেকেছে যুদ্ধ করেছে। রাজারবাগের বাঙালি পুলিশ আধুনিক মারণাস্ত্রের সামনে থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন উৎসর্গ করেছে। না তখন বঙ্গবন্ধুর ইথারে পাঠানো ঘোষণা শুনেছে, না ২৭ মার্চে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়ার ঘোষণা পাঠ শুনেছে। কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণের প্রেরণা সামনে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি তো ঠিকই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অবশ্য ২৭ মার্চে মেজর জিয়ার ঘোষণা পাঠও ইতিহাসে কম গুরুত্ববহ নয়। বাঙালি সামরিক কর্মকর্তারাও যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন সে সময়ে বাঙালির জন্য এ সংবাদ যথেষ্ট অনুপ্রেরণার কারণ ছিল।

অতি সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইমারজেন্স অব বাংলাদেশ’ বিষয়ে সুদূর প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন পর্যন্ত পড়ানো শেষ করার পর দু-তিনজন শিক্ষার্থী একইভাবে প্রশ্ন তুলল, ‘স্যার, স্কুল পাঠ্য বই থেকে আমাদের এমনভাবে শেখানো হয়েছে যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জিয়াউর রহমান। কিন্তু দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসে তো কোথাও জিয়াউর রহমানকে খুঁজে পেলাম না। এসব প্রচারণায় জিয়াউর রহমানের যেটুকু গৌরব রয়েছে বিএনপির কারণে তা-ও ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ’ তরুণদের এমন মূল্যায়ন এর আগে আমি শুনিনি। আমি বিস্মিত হয়েছি। তখন আবার সেই সত্যটি মনে হলো, ইতিহাস যে এর সত্য নিয়ে ঠিক ফিরে আসে, তা সুবিধাবাদী মানুষরা বুঝতে চায় না।

নির্বাচনের মাঠে নামতে গিয়ে বিএনপি যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাচ্ছে, আমি নিশ্চিত তৃণমূলে গিয়ে এ প্রজন্মের মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ বড় হয়ে দাঁড়াবে। জামায়াত প্রসঙ্গে ‘নির্বাচনী জোট’ ধরনের ছেঁদো কথায় মানুষকে ভোলানো যাবে না। এমন সত্যের সামনে দাঁড়াতে হলে বিএনপির দলীয় আদর্শের সংস্কার প্রয়োজন। যেসব উর্বর মাথা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বানানো হয়েছিল এবং নিকৃষ্ট রুচির পরিচয় দিয়ে ১৫ আগস্ট দলীয় নেত্রীর জন্মদিন পালনের আয়োজন হয়েছিল—এসব বিএনপিকে অনেক ভোগাবে। আমরা বলি, হিসাব অনুযায়ী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের এখনো দেড়-পৌনে দুই বছর বাকি আছে। সময়টা বিশেষ ছোট না। এর মধ্যে বিএনপির আত্মশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ আছে। যা খুশি তা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এখন আর অত সহজ হবে না। তাই স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নির্বাচনের মাঠে ভিশন ২০৩০ ঘোষণার যথেষ্ট গুরুত্ব আছে বলে আমরা মনে করি।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]