Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৮ মে, ২০১৭: 47শত অভাবের মাঝেও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দুই জেলে পরিবারের মেয়ে। তারা এখন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছে দুই অদম্য মেধাবী। সেই সঙ্গে উচ্চ শিক্ষার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে তারা।
পলি সিকদার : উপজেলার রুপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি (বিজ্ঞান) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পলি সিকদার। সে ৮ম শ্রেনীতেও বৃত্তি পেয়ে ছিল। পলি উপজেলার রুপাপাত গ্রামের জেলে প্রভাস সিকদারের মেয়ে। প্রভাস সিকদার স্থানীয় খালে বিলে মাছ ধরে বিভিন্ন গ্রামের হাটে-বাজারে বিক্রি করে সংসার খরচের পাশা-পাশি ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে আসছে। মা শিলা সিকদার গৃহিনী। তাদের একমাত্র সম্পদ ভিটেবাড়ির ৫শতক জমি। সেখানে ছোট একটি দোচালা টিনের ঘরে পরিবারের ৫ সদস্যের বসবাস। পলিরা তিন বোন। বড় বোন শিপ্রা সিকদার পাশে নবকাম পল্লী কলেজে অনার্স পড়ছে। শিপ্রা নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে তার লেখা পড়ার খরচ জোগাড় করতে হয়। পলি ভালো ফলাফল করেও উচ্চ শিক্ষার গ্রহনে জন্য ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবে কি না এ নিয়ে চরম দুশচিন্তায় রয়েছে তার পরিবার। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান শেখ জানান, পলি স্কুলে পড়ার সময় কোন টাকা পয়সা নেওয়া হতো না। পলি জানায় তার স্কুলের শিক্ষকরা ভালো ফলাফল করতে অনেক অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হতে চায়।

সুমা দত্ত : উপজেলার রুপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি (বিজ্ঞান) শাখায় জিপিএ-৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সুমা দত্ত। সে ৮ম শ্রেনীতে ট্যালেন্ট পুলে বৃত্তি পেয়ে ছিল। সুমা উপজেলার রুপাপাত গ্রামের জেলে কর্ন দত্তর মেয়ে। কর্ন দত্ত স্থানীয় খালে বিলে মাছ ধরে বিভিন্ন গ্রামের হাটে-বাজারে বিক্রি করে সংসার খরচের পাশা-পাশি ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে আসছে। মা বাসন্তি দত্ত গৃহিনী। তাদের একমাত্র সম্পদ ভিটেবাড়ির ৫শতক জমি। সেখানে ছোট একটি টিনের ঘরে পরিবারের ৪ সদস্যের বসবাস। সুমা দত্তরা তিন বোন। সুমা ভালো ফলাফল করেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবে কি না এ নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছে তার পরিবার। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান শেখ জানান, সুমা স্কুলে পড়ার সময় কোন টাকা পয়সা নেওয়া হতো না। সুমা জানায় তার স্কুলের শিক্ষকরা ভালো ফলাফল করতে অনেক অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হতে চায়।