Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

10খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১০ মে, ২০১৭: ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে ফেসবুক। কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে ভুয়া খবর ছড়ালে সে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক একে ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে লড়াই বলছে। এ লড়াইয়ে জয়ী হতে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটটির কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাজ্যে আগামী ৮ জুন সাধারণ নির্বাচনের আগে যাতে ভুয়া খবর এসব অ্যাকাউন্ট থেকে না ছড়াতে পারে তাই আগাম ব্যবস্থা নিল ফেসবুক। এর আগে গত মাসে ফ্রান্সেও প্রায় ৩০ হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা বলেছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ভুয়া খবর শনাক্ত করতে ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে ফেসবুক। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভুয়া খবর শনাক্ত করতে খবরের শিরোনাম সম্পর্কে সন্দেহ করতে হবে এবং খবরের ইউআরএল বা লিংকটির দিকে ভালোভাবে তাকাতে হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ভুয়া খবরের উৎস বা অ্যাকাউন্টগুলো কার্যকরভাবে শনাক্ত করতে তারা যথেষ্ট উন্নতি করেছে।
ফেসবুকের কর্মকর্তা সিমন মিলনার বলেন, সমস্যার গোড়ায় যেতে চান তাঁরা। এ ছাড়া নির্বাচনের সময় তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে একত্রে ভুয়া খবর শনাক্তে কাজ করবেন।
মিলনার আরও বলেন, ভুয়া খবরের সমস্যা ঠেকাতে তারা সবকিছু করছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার একটি আদালত ফেসবুককে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। গত শুক্রবার দেশটির আদালত সেখানকার এক রাজনীতিবিদকে নিয়ে পোস্ট করা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের নেটওয়ার্ক থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেন। অস্ট্রিয়ার গ্রিন পার্টির ইভা গ্লাবেশনিককে নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্টের ব্যাপারে করা মামলায় আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বৈশ্বিক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আদেশে বলা হয়, ইভা গ্লাবেশনিকের বিরুদ্ধে করা পোস্ট ফেসবুককে অবশ্যই মুছতে হবে। এটি শুধু অস্ট্রিয়ার বন্ধ করে রাখলে হবে না, এটি বাইরের দেশেও যাতে না দেখা যায়, সে জন্য পুরোপুরি মুছতে হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে ফেসবুকের আইনজীবী এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে আদালতের একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রিন পার্টির ওই নেতাকে নিয়ে ছদ্মনামের অ্যাকাউন্ট থেকে বিদ্বেষমূলক পোস্ট করা হয়। এ ব্যাপারে গ্রিন পার্টির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।