Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

21kখােলা বাজার২৪।। শুক্রবার , ১২ মে, ২০১৭: সিলেট থেকে গ্রেফতার হওয়া সাফাত আহমেদ ৬ ও সাদমান সাকিফকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আাদালত।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদ করা হবে। এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বনানীর একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। দুই আসামি দাবি করেছে তারা অভিযোগকারী তরুণীদের সঙ্গে তাদের সম্মতির ভিত্তিতেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
ডিএমপির এই যুগ্ম কমিশনার আরো বলেন, নিরপেক্ষভাবে এ মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি আমরা বিষয়টিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভিকটিমরা যাতে সুবিচার পেতে পারে সে জন্য সহায়ক তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলেও জানান কৃষ্ণ পদ রায়।
এর আগে পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা দল এলআইসি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সিলেট পুলিশের সহযোগীতায় সেখানকার মদিনামার্কেট এলাকার রশীদ ভিলা নামের একটি বাড়ি থেকে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই তাদের ঢাকায় আনা হয়।
গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে। পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে না চাইলেও পরে ৬ মে মামলা গ্রহণ করে। এরপর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশ। ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি ও কর্মসূচি পালন করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। আর সাদমান পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন নাঈম আশরাফ (৩০), সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল (২৬) ও অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী।
মামলার পর বনানী থানার পরিদর্শক মতিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলানো হয়। এখন তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।