আবুল কাসেম ফজলুল হক । খােলা বাজার২৪।। শনিবার , ১৩ মে, ২০১৭: প্রায় চার দশক ধরে পৃথিবীতে আদর্শগত শূন্যতা বিরাজ করছে এবং পুরনো-পরিত্যক্ত সব সংসার-বিশ্বাসের ও ধর্মের পুনরুজ্জীবন ঘটছে। এটা দেখে আশির দশক থেকেই কেউ কেউ বলে আসছেন, ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ঘুরছে। দুনিয়াব্যাপী ইতিহাসের চাকাকে সামনের দিকে ঘোরানোর জন্য কিছুই করা হয়নি। ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দেখা দিয়েছে সামরিক আক্রমণ ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড। এ অবস্থায় ইতিহাসের চাকাকে সামনের দিকে ঘোরানোর জন্য দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ প্রভৃতি রাষ্ট্রের সরকার তত্পর আছে শুধু পুলিশ, মিলিটারি, আইন-আদালত, জেলখানা, ফাঁসিকাষ্ঠ, মিলিটারি-অপারেশন, যুদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে। ধর্মবোধ, আদর্শবোধ ও জাতীয় স্বাধীনতার চেতনা বিবেচনা পাচ্ছে না।
কারণ-করণীয়-করণ ও ফলাফলের সূত্র ধরে ঘটনাপ্রবাহকে বোঝার চেষ্টাও করা হচ্ছে না। ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ধর্ম, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও তার সম্পূরক আন্তর্জাতিকতাবাদকে বোঝার কোনো চেষ্টাই করা হচ্ছে না। ইতিহাসের পশ্চাদ্গতির কারণও কেউ সন্ধান করছেন না। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ও এনজিও ও সিএসওগুলোর তত্পরতায় বাংলাদেশে ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করার সামর্থ্য রাখে না। রাষ্ট্রব্যবস্থার যে রূপ, তাতে সমাজের স্তরে স্তরে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম-জবরদস্তি ও অন্যায়-অবিচার বেড়ে চলেছে। এ সমাজে যার ক্ষতি করার শক্তি যত বেশি, তার প্রভাব-প্রতিপত্তি তত বেশি। মানুষের কল্যাণ করার শক্তি এ সমাজে কোনো শক্তি বলেই স্বীকৃত নয়। মনে হয় ৯৫ শতাংশ মানুষের মনেই বিরাজ করছে জাতীয় হীনম্মন্যতাবোধ। ক্ষমতা ও সম্পত্তির মালিক অবশিষ্ট ৫ শতাংশের মনে কি প্রকৃতপক্ষেই জাতীয় শ্রেষ্ঠত্ববোধ বিরাজ করছে? তারা অবশ্য শ্রেষ্ঠত্ববোধ প্রদর্শন করে। মনে হয়, এ সমাজে ৯৫ শতাংশ মানুষ এখন অদৃষ্টবাদী—Fatalist. অবশিষ্ট ৫ শতাংশ মানুষ কি আত্মশক্তি ও সংগ্রামে বিশ্বাসী—Positivist? তারা তো ভোগবাদী।
অদৃষ্টবাদীরা ভাগ্যচক্রে বিশ্বাসী; আর পুরুষকার যাদের চালিকাশক্তি, তাদের বিশ্বাস আত্মশক্তিতে ও আপন প্রচেষ্টায়। আমার ধারণা, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে অদৃষ্টবাদের বিস্তার ও পুরুষকারের অভাব ও জাতীয় হীনতাবোধ গুরুতর সামাজিক ব্যাধি রূপে দেখা দিয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার এই ব্যাধিকে জটিলতর করে চলেছে। প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের সুফল ম্লান করে চলছে অপব্যবহারের কুফল। তা ছাড়া প্রযুক্তির সুফল সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে ধনিক-বণিক ও শাসকদের মধ্যে। ন্যায়-অন্যায়ের বিবেচনা নেই। বিবেকবান চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রেরই কর্তব্য এই ব্যাধি ও বিকৃতির স্বরূপ বোঝা এবং প্রতিকারের উপায় সন্ধান করা। বিষয়টি নিয়ে সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী কিংবা রাজনীতিকদের কোনো অনুসন্ধিৎসাই নেই। সাংবাদিকরাও এ বিষয়ে প্রায়-নিস্পৃহ। এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা সহজসাধ্য নয়। বাংলাদেশে গভীর চিন্তা দুর্লভ।
বুদ্ধির অগম্য, ইন্দ্রিয়বহির্ভূত, অলঙ্ঘ্য কোনো অদৃশ্য শক্তি দ্বারা সব কিছু নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় এবং মানুষের প্রতিটি কাজের সাফল্য-ব্যর্থতা ও সুখ-দুঃখ ওই শক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার কিংবা খেয়ালখুশির ওপর নির্ভর করে—এ রকম বিশ্বাস অবলম্বন করে জীবনযাপনের মতবাদই অদৃষ্টবাদ (fatalism)। অদৃষ্টবাদীরা যে শক্তিকে তাদের জীবনের নির্ধারক বা নিয়ামক ‘পরম’ বা ‘চরম’ শক্তি মনে করে, সাধারণত তাকে অদৃষ্ট বা ভাগ্য বা বিধি বা নিয়তি বলে অভিহিত করে। ইসলাম অদৃষ্টবাদ সমর্থন করে না। ইসলাম মানুষকে নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করে নিজের চেষ্টায় উন্নতি করার পরামর্শ দেয়। ইসলাম মানুষের ব্যক্তিসত্তার সঙ্গে সামাজিক সত্তাকে গুরুত্ব দেয় এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেয়। অবশ্য ইসলামের অদৃষ্টবাদী ব্যাখ্যাও আছে।
অদৃষ্টবাদীরা তাদের বিশ্বাস নিয়ে অন্ধভাবে চলে, বিচার-বিবেচনা পছন্দ করে না। যে অদৃশ্য শক্তির ধারণা অবলম্বন করে তারা জীবন যাপন করে, সেই শক্তির অস্তিত্ব সম্পর্কে ভাবতে কিংবা অনুসন্ধান করতে তারা নারাজ। নিজেদের বিশ্বাসকে তারা পরম সত্য মনে করে এবং সেই বিশ্বাসের কোনো পরিমার্জনের, সংস্কারের, সংশোধনের, বিকাশ সাধনের সুযোগ আছে বলে মনে করে না। মানসিক শক্তির জন্য, বিপদ-আপদ ও রোগবালাই থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য ও সুখী ও সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য তারা প্রায় সম্পূর্ণরূপে ওই ইন্দ্রিয়বহির্ভূত, বুদ্ধির অগম্য, অলঙ্ঘ্য, অদৃশ্য, কল্পিত পরম কিংবা চরম শক্তির ওপর নির্ভর করে এবং ক্রমে আত্মবিশ্বাস, মানসিক শক্তি, আত্মনির্ভরতা, উৎসাহ-উদ্দীপনা, পার্থিব আশা, সাহস ও উদ্যম হারিয়ে ফেলে। পরিত্রাণ লাভের কিংবা অভীষ্ট সিদ্ধির আশায় তারা অদৃষ্টকে স্মরণ করে, কল্পিত অদৃশ্য শক্তির মনোরঞ্জনের জন্য যপ-তপ করে এবং জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ও সামাজিক কর্তব্য সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়ে। অদৃষ্টবাদীরা সাধারণত আত্মকেন্দ্রিক, সমাজবিমুখ, কর্মবিমুখ, অলস জীবন যাপন করে এবং পরিবারের গলগ্রহ হয়ে থাকে। জাতীয় হীনতাবোধে জাতির অন্তর্গত প্রায় প্রতিটি মানুষের মনে নিজের জাতি সম্পর্ক খারাপ ধারণা অত্যন্ত প্রবল হয়ে ওঠে। লোকে মনে করে যে আমাদের জাতি নিকৃষ্ট, দুর্বল, নীচমনা; এ জাতির মানুষদের দ্বারা ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। নৃ-তাত্ত্বিক ও ভৌগোলিক বাস্তবতার দোহাই দিয়ে লোকে নিজেদের হীন-চেতনাকে সবার মধ্যে প্রচার করে জাতীয় হীনম্মন্যতাবোধকে ক্রমাগত শুধু বাড়াতে থাকে। জাতীয় হীনতাবোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে জাতি cultural decline থেকে ethnic decline-এ পড়ে যায়।
বাংলাদেশে দুই দশক আগেও অদৃষ্টবাদ ও জাতীয় হীনতাবোধের প্রকোপ এত বেশি ছিল না। এর মধ্যে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের নামে ভাঁওতা-প্রতারণা অনেক বেড়েছে। হীন স্বার্থসিদ্ধির কাজে ধর্মের ব্যবহারও বেড়েছে। হুজুগ সৃষ্টি করে হীন উপায়ে স্বার্থ সিদ্ধি করে নেওয়া অনেক বেড়েছে।
কুশিক্ষা, শিক্ষার নামে শিশু-কিশোরদের অনুসন্ধিৎসা বিকৃত করে দেওয়া, স্বার্থান্বেষী মহলের পক্ষ থেকে মিথ্যা ও মতলবি ধারণা দিয়ে শিশু-কিশোরদের মন আচ্ছন্ন করে রাখা—এসবই অশিক্ষার চেয়ে বহু বহু গুণ বেশি ক্ষতিকর। ইতিহাসে দেখা যায়, প্রতিটি জাতির জীবনেই এমন সময় কখনো কখনো দেখা দেয়, যখন সমাজের অধিপতি শ্রেণির লোকেরা নিজেদের আধিপত্য স্থায়ী করার জন্য কুশিক্ষা প্রদানের সর্বব্যাপ্ত ব্যবস্থা করে রাখে। বাংলাদেশে শিক্ষকদের মধ্যে, অভিভাবকদের মধ্যে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে, সাংবাদিকদের মধ্যে, রাজনীতিবিদদের ও রাজনীতিতে তত্পর বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অশিক্ষা, শিক্ষা ও কুশিক্ষা নিয়ে কোনো সচেতনতা আছে বলে মনে হয় না। এমন শিক্ষাই শিশু-কিশোররা লাভ করছে যে তাদের মধ্যে জাতীয় হীনতাবোধ ও অদৃষ্টবাদ বাড়ছে—ক্রমাগত বাড়ছে। পঞ্চম শ্রেণিতে, অষ্টম শ্রেণিতে, দশম শ্রেণিতে, দ্বাদশ শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা ও আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা দ্বারা জাতিকে কোন পথে পরিচালনা করা হচ্ছে? জিপিএ ফাইভ যারা পাচ্ছে আর জিপিএ ফাইভ যারা পাচ্ছে না তাদের মনের অবস্থাটা কেমন হচ্ছে? জিপিএ ফাইভ নিয়ে শিক্ষকদের, অভিভাবকদের, উচ্চশিক্ষিত ও শিক্ষিত লোকদের, সাংবাদিকদের, রাজনীতিবিদদের, শাসকদের কী মনোবৃত্তির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে? প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কি তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল বানিয়ে আত্মপ্রসাদ অনুভব করেন? এত ছাত্র-ছাত্রীর জিপিএ ফাইভ পাওয়ার মানে তো এত সব সৃজনশীল মানুষ তৈরি হওয়া। সৃজনশীলতার এই আয়োজন দেখতে পেলে রুশো, তলস্তয়, রবীন্দ্রনাথ, রাসেল, আইনস্টাইন, জন ডিউই কী বলতেন? তাঁরা তো জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে মানবশিশুর বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, লিখেছিলেন।
অদৃষ্টবাদের ইতিহাস যাঁরা সন্ধান করেছেন, তাঁরা বৈদিক সাহিত্যে, প্রাচীন নানা কাহিনিতে, রামায়ণ-মহাভারতে, ইলিয়ট-ওডিসিতে, প্রাচীন গ্রিক নাটকে, বিভিন্ন জাতির ধর্মগ্রন্থে, বিভিন্ন ভাষার প্রাচীন মধ্য ও আধুনিক যুগের সাহিত্যে, দর্শনে ও সমাজচিন্তায় অদৃষ্টবাদ কিংবা অদৃষ্টবাদের উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। ইতিহাসের ধারায় যেমন, তেমনি সাহিত্যে ও ধর্মগ্রন্থে অদৃষ্টবাদিতার দৃষ্টান্ত আছে। অদৃষ্টবাদের বাস্তবসম্মত, শিল্পিত, সুন্দর প্রকাশ আছে ইংরেজিতে টমাস হার্ডির উপন্যাসগুলোতে। অদৃষ্টবাদ কোনো সাময়িক বা আঞ্চলিক ব্যাপার নয়। চিরকাল শাসক-শোষকরা নিজেদের শাসন-শোষণের প্রয়োজনে জনগণের মধ্যে অদৃষ্টবাদকে নানা কৌশলে উৎসাহ দিয়েছে। মানুষের সমাজে ‘আধিপত্য ও নির্ভরশীলতা নীতি’ চিরকাল আছে।
পৃথিবীর সব জাতির মধ্যে সব অবস্থাতেই অদৃষ্টবাদী থাকলেও তাদের সংখ্যা সব সময় বেশি হয় না, এবং তাদের রুগ্ণতাও সব সময় চরম রূপ লাভ করে না। কিন্তু প্রতিটি জাতির মধ্যেই কোনো কোনো ঐতিহাসিক পর্যায়ে অদৃষ্টবাদীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় এবং তাদের রুগ্ণতাও চরম রূপ লাভ করে। তখন গোটা সমাজব্যবস্থা ও রাষ্ট্রব্যবস্থাই অদৃষ্টবাদের দ্বারা পীড়িত হয়। সমাজ ও রাষ্ট্র রুগ্ণ হয়ে পড়ে। সমাজে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক শিথিল হয়ে পড়ে। গোটা জাতি প্রতিবন্ধীর মতো আচরণ করে। ওসব ঐতিহাসিক পর্যায়ের আর্থসামাজিক-রাষ্ট্রিক বাস্তবতার মধ্যে অদৃষ্টবাদীদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ পাওয়া যায়। যখন কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় আইনকানুন ও সামাজিক রীতিনীতি যুগোপযোগী থাকে না, আধিপত্যলিপ্সু বিদেশি শক্তির কর্তৃত্ব বিস্তৃত হয়, সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে, তখনই সেই রাজ্যে অদৃষ্টবাদীদের সংখ্যা বাড়ে। সমাজে আর্থসামাজিক-রাষ্ট্রিকব্যবস্থা উন্নত করার জন্য আন্দোলন আরম্ভ হলে ক্রমে লোকের মানসিকতা বদলায়।
অদৃষ্টবাদের বিপরীতে আছে পুরুষকার (opposed to fate-human vigour and efforts)। দৈবশক্তির আর মানুষের পাশবিক আচরণের বিরুদ্ধে—অন্যায়-অবিচার-অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে ঘটে পুরুষকারের প্রকাশ, এবং মূল্যবোধ যুক্তিবিচার আর সাধনা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ঘটে পুরুষকারের বিকাশ। পুরুষকার হলো মানুষের অন্তর্গত বাস্তব শক্তি, আর অদৃষ্ট বাইরের অবাস্তব-অবান্তর কল্পিত শক্তি। পুরুষকারের প্রকৃষ্টতম পরিচয় আছে ধর্ম প্রবর্তক, আদর্শ-প্রতিষ্ঠাতা, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, জ্ঞানসাধক, সংস্কারক, সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের চিন্তায়, কর্মে, সাধনায় ও সংগ্রামে।
কায়েমি স্বার্থবাদীরা নিজেদের স্বার্থে প্রচারমাধ্যমকে এখন প্রায় সর্বশক্তিময় করে তুলেছে। দুনিয়াব্যাপী প্রচারমাধ্যম আজ বহুলাংশে ব্যবহৃত হচ্ছে জনমনে অদৃষ্টবাদ সৃষ্টিতে ও মানুষকে অমানবিকীকৃত করার কাজে।
অদৃষ্টবাদ ও আনুষঙ্গিক ব্যাধিগুলোর নিরাময় আর জনজীবনের সার্বিক উন্নতি নিয়ে ভাবতে গেলে রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থার যে সার্বিক পুনর্গঠনের প্রয়োজন, আমরা বোধ করি তার একটা রূপরেখা আছে স্বদেশ চিন্তা সংঘ থেকে প্রকাশিত আমার লেখা ‘আটাশ দফা : আমাদের মুক্তি ও উন্নতির কর্মসূচি’ পুস্তিকায়। তা ছাড়া গত ১০ বছরের মধ্যে প্রকাশিত আমার বইগুলোতেও এ বিষয়ে আমার চিন্তা ও মতামত আছে।
লেখক : অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়