Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

33kখােলা বাজার২৪।। শনিবার , ১৩ মে, ২০১৭: বাচ্চাকে শুধুই ঘাড় গুঁজে বই পড়াচ্ছেন? স্কুল টিউশনেই ব্যস্ত সন্তান? ভুল করছেন। এতে আপনার বাচ্চার কোনও লাভই হচ্ছে না। ওকে দৌড় করান। শরীর থাকবে ঝরঝরে। বাড়বে বুদ্ধিও।

বই, খাতা, স্কুলের ভারে ভারাক্রান্ত শৈশব। মাঠ, ঘাট, দমকা হাওয়ায় ভেসে যাওয়ার টান বাঁধা পড়ছে ইট-কাঠ-কংক্রিটের জঙ্গলে। বই থেকে মুখ তুললেই ছোটা ভীমের হাট করে খোলা জগত্‍। সবুজ মাঠ থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকার সব উপকরণ চার দেওয়ালের অন্দরেই মজুত। পড়াশোনা ছাড়া কার্টুন। এভাবেই আবর্তিত ছেলেবেলা, মেয়েবেলা। সবুজ ঘাসে পা ফেলার ফুরসত কই! ভুল হয়ে যাচ্ছে। বিরাট ভুল। দৌড়তে হবে। আরও বেশি। পা ফেলতে হবে মাটিতে।

বই-খাতায় মুখ গুঁজে থাকলেই বুদ্ধি বাড়ে না। টিভির পর্দায় চোখ আটকে থাকলে IQ বাড়ে না। বুদ্ধি বিকাশের একটাই পথ। দৌড়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাধারণত ৮ বছর বয়স পর্যন্ত বুদ্ধির বিকাশ হয়। চিকিত্সাশাস্ত্র বলে, একজন মানুষ খুব বেশি হলে তাঁর বুদ্ধির মাত্র ২ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে।

আমেরিকার দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং-এর গবেষণা বলছে, দৌড়লে মানুষের শরীরের মাংসপেশি থেকে ক্যাথাপসিন বি নামে একটি প্রোটিন বেরোয়। এই প্রোটিন সরাসরি মস্তিষ্কে প্রবাহিত হয়। ক্যাথাপসিন বি নামে এই প্রোটিনেই লুকিয়ে রয়েছে বুদ্ধি বাড়ার রহস্য।

গবেষকদের দাবি, ৪ মাস ধরে সপ্তাহে ২ থেকে ৩বার ২০ মিনিট করে দৌড়লে পেশিতে ক্যাথাপসিন প্রোটিনের নিঃসরণ বাড়তে থাকে। রক্তে এই পরিমাণ তাত্পর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের নিউরোজেনেসিসগুলি প্রভাবিত হয়। ফলে, খুব সহজেই কেউ জটিল কাজ করতে পারে।