Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

37kখােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২২ মে, ২০১৭: আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে গ্রাকদের জমা রাখা স্বর্ণ ফেরত দেওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ফলে স্বর্ণ তুলে নেওয়ার জন্য কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ সোমবার স্বর্ণের প্রকৃত গ্রাহকদের সেগুলো ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই দুপুর ১২টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে তা স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর তাদের ফেসবুকে জানিয়েছে, ‘স্বর্ণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে পূর্ব নির্ধারিত আজকের সময় স্থগিত করা হয়েছে। আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে প্রকৃত গ্রাহকদের তালিকা দেওয়ার কথা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি।’

‘আগামী ২৫ মে মালিকপক্ষকে স্বর্ণের দোকানে উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র বুঝে নিতে পুনরায় সময় দেওয়া হয়েছে। এসব কাগজপত্র অনুযায়ী, তালিকা তৈরির পর প্রকৃত গ্রাহকদের জমাকৃত স্বর্ণ ফেরতের জন্য পুনরায় সময় নির্ধারণ করা হবে’, বলেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

গত ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। পরে ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন ওই দুই ছাত্রীর একজন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা রেইনট্রি হোটেলে মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ এবং বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

গত ১১ মে মামলার আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তাঁর বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীকে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে এবং নবাবপুর রোডের ইব্রাহিম হোটেল থেকে গাড়িচালক বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর মধ্যেই গত ১৪ মে শুল্ক গোয়েন্দার দল আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের শাখায় অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ ও গ্রাম হীরা ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ রাখার দায়ে সাময়িক আটক করে। তখন তাঁরা গ্রাহকদের স্বর্ণ তুলে নেওয়ারও আহ্বান জানান।