খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭: ‘উন্নয়নের নামে বস্তি বানানো চলবে না’, ‘অবিলম্বে ভূমি অধিগ্রহণ কর’, ‘অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ বন্ধ করো’, ‘স্বতন্ত্র জায়গায় ভাস্কর্য চাই’, ‘দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা চাই’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ভূমি অধিগ্রহণ ও সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়নের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভবন নির্মানের জন্য আনা নির্মাণ সামগ্রি সরিয়ে নিতে ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে উপাচার্যকে এক স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উন্নয়নের পরিকল্পিত রুপরেখা থাকে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। ছাত্র হলের মাত্র কয়েক হাত দূরেই ছাত্রী হল নির্মাণের কাজ চলছে। দুইটি ছাত্র হলের পাশে যে জায়গা আছে তা কোন ভবন নির্মাণের জন্যই উপযোগী নয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেখানে ছাত্রী হল নির্মাণের কাজ করছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য বিশাল পরিসরের জায়গা দরকার কিন্তু প্রশাসন মাত্র কয়েক হাতের মধ্যে ভবনের পাশে ভাস্কর্য নির্মাণ করছে। মানববন্ধনে ভূমি অধিগ্রহণ, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ বন্ধ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সংযোগ রাস্তা নির্মাণ, সতন্ত্র জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থপানসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানান।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের কয়েক শত শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। শিক্ষকরাও একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে যোগ দেন।
মানববন্ধন শেষে উপাচার্যকে ভূমি অধিগ্রহণ, অপরিকল্পিত ভবন ও ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মাহাসড়কের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণের তিন দফা দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণের যে নির্মাণ সামগ্রি আনা হয়েছে তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে না নিলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার কথাও বলা হয় স্মারকলিপিতে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের সাথে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ওপাশ থেকে কেউ ফোন তোলেননি।
উল্লেখ্য, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের মূল ফটক সংলগ্ন সড়কের উপর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের কয়েক হাত দূরেই ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ছাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন একটি আবাসিক হল। প্রশাসনিক ভবনের নীচেই খুবই সংকুচিত জায়গায় জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ চলছে। একাডেমিক ভবন (পশ্চিম) এর পাশেই নতুন একটি ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।