খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭: সাইবার নিরাপত্তার জন্য দেশে সাইবার আইন বাংলাদেশ শীর্ষক আইন থাকলেও সেটা জানেন না অধিকাংশ ছাত্রী। মাত্র ৭ ভাগ নারী সাইবার আইন সম্পর্কে জানেন। আর বাকি ৯৩ ভাগই এমন আইন আছে কিনা জানেন না। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক ধারাবাহিক কর্মশালার জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ১ জুন রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে এই কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মশালার জরিপে ছাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘আপনার জানা মতে কেউ কি সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন?’ এমন প্রশ্নে হ্যাঁ সূচক উত্তর এসেছে ৩৬ ভাগ আর না সূচক উত্তর পাওয়া গেছে ৬৪ ভাগ। জরিপে জানা যায়, সামাজিকভাবে হেনন্তা হওয়ার ভয়সহ কোথায়, কিভাবে, কার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করা যাবে এ ব্যাপারে জানা নেই বেশিরভাগ নারীর। সাইবার আইন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই ভুক্তভোগী হয়েও সহায়তা নিতে পারছেন না তারা।
স¤প্রতি, দেশের ৭টি বিভাগের ৪০টি স্কুল-কলেজের ১০ হাজার ২শ ২০ জন ছাত্রীর ওপর পরিচালিত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুযায়ী, সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়ার পর আইন সহায়তা নিয়েছেন মাত্র ১১ ভাগ ভোক্তভোগী।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালা। নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাইবার অপরাধ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে দেশব্যাপী এ কর্মশালা পরিচালিত হয়। আজ ১ জুন রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে সারাদেশে কর্মশালার পাশাপাশি একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে অংশ নেওয়া ছাত্রীদের মধ্যে ৬৯ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত আছেন শতকরা ৮৩ ভাগ। এদের মধ্যে গুগল বা গুগল প্লাস সংশ্লিষ্ট সাইট ব্যবহার করেন ৯৪%, ইমো ৮৪%, ভাইবার ৬২%, ইউটিউব ৫৯% ও ফেসবুক ৪%। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, স্কাইপিও ব্যবহার করে থাকেন তারা।
এই ব্যবহারকারীদের মধ্যে দিনে অন্তত এক ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন শতকরা ৪১ ভাগ নারী শিক্ষার্থী। দুই থেকে তিন ঘণ্টা ব্যবহার করেন ৪৪ ভাগ ও তিন ঘণ্টার বেশি সময় ব্যবহার করেন ১৫ ভাগ ছাত্রী।
জরিপে ছাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘আপনার জানা মতে কেউ কি সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন? এমন প্রশ্নে হ্যাঁ সূচক উত্তর এসেছে ৩৬ ভাগ আর না সূচক উত্তর এসেছে ৬৪ ভাগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে কন্ট্রোলার অফ সার্টিফায়িং অথোরিটিজ (সিসিএ) আয়োজনে পরিচালিত কর্মশালাগুলো থেকে আরও জানা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় অভিভাবকদের কাছে কিছু লুকিয়ে থাকে এমন ছাত্রীদের সংখ্যা শতকরা ৬১ ভাগ।
এছাড়া কেউ সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে আইনি সহায়তা নিতে চান এমন সংখ্যা মাত্র ১১ ভাগ। আর সাইবার সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান ২৭ ভাগ।