খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭: দফায় দফায় কারণে অকারণে সরকার সাধারণ মানুষ যে গ্যাস ব্যবহার করে সেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে। আর বিদেশি কোম্পানিগুলোকে যা ইচ্ছে তাই করার সুযোগ তৈরি করে দেয় উল্লেখ করে সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা ২০১৭ -২০১৮ বাজেট প্রসঙ্গে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমাদের সময় ডটকম পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
দফায় দফায় কারণে অকারণে সরকার সাধারণ মানুষ যে গ্যাস ব্যবহার করে সেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে। আর বিদেশি কোম্পানিগুলোকে যা ইচ্ছে তাই করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
গ্যাস ক্ষেত্র বাংলাদেশের। মালিক দেশের জনগণ। প্রথমে ইজারা দেওয়া হয়েছিল অক্সিডেন্টালকে। অক্সিডেন্টাল বিক্রি করে দিল ইউনোকলের কাছে। ইউনোকল বিক্রি করে দিল শেভরনের কাছে। শেভরন বিক্রি করছে হিমালয় এনার্জির কাছে। পিএসসি অনুযায়ী ইজারা নেওয়া কোম্পানি গ্যাস ক্ষেত্র অন্য কোনও কোম্পানরি কাছে বিক্রি করতে চাইলে পেট্রোবাংলার সম্মতির প্রয়োজন হয়।
অক্সিডেন্টাল যখন ইউনোকলের কাছে বিক্রি চূড়ান্ত করে ফেলে, পেট্রোবাংলা দাবি করে তারা কিছু জানে না। তাদের না জানিয়ে বিক্রি করা হয়। আইন অনুযায়ী অক্সিডেন্টাল তা করতে পারে না। কিন্তু পেট্রোবাংলা ঠিকই তাদের বিক্রি প্রক্রিয়ার অনুমোদন দিয়ে দেয়।
ইউনোকল যখন শেভরনের কাছে বিক্রি করে, তখনও পেট্রোবাংলা দাবি করে তারা কিছু জানে না। তাদের কিছু জানানো হয়নি। বিক্রির অনুমোদন এক্ষেত্রেও দিয়ে দেয় পেট্রোবাংলা।
শেভরন এখন বিক্রি করছে চীনের হিমালয় এনার্জির কাছে। এখনও পেট্রোবাংলা দাবি করছে, তাদের কিছু জানানো হয়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, শেভরন চীনের কোম্পানি হিমালয় এনার্জির সঙ্গে বাংলাদেশের তিনটি গ্যাস ব্লক বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
জনগণের শত শত কোটি টাকার সম্পদ এভাবে লুট হয়ে গেছে, যাচ্ছে। সেখানে সরকার নিরব দর্শক বা সহযোগী। গ্যাসের সামান্য অংশ ব্যবহার করে জনগণ, তার মূল্য বৃদ্ধি করে অসত্য তথ্য দিয়ে।