Sun. Sep 21st, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭: 80মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। এ নিয়ে এখন সারা বিশ্ব এখন উত্তেজিত। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বিশ্বনেতাদের বিচলিত না হতে বললেন। তিনি পরামর্শ দিলেন সবাইকে শান্ত থাকতে। কারণ, যা বলার ট্রাম্প বলে ফেলেছেন। এখনো সব সমস্যা সমাধানের সময় আছে। সুতরাং ভয় পাওয়ার কিছু নেই, শান্ত থাকুন, বললেন পুতিন।
বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে এবং গ্রিনহাউজ তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্যারিস চুক্তি সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালে। ১৯৬টি দেশের নেতৃবৃন্দ তাতে একমত হয়। তখন মাত্র দুটি দেশ এই চুক্তির বাইরে থাকে। একটি নাইজেরিয়া আর একটি সিরিয়া। সিরিয়ায় তখন যুদ্ধ পরিস্থিতি আর নাইজেরিয়া বুঝতে পারেনি এ চুক্তির ভবিষ্যত গুরুত্ব।
কিন্তু ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জাপান, ভারতসহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত দেশ এতে একমত হয়। কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য মারাত্মক এক হুমকি। তখন সামনে থেকে এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই বলে আসছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে এ চুক্তি বাতিল করে দেবেন। কারণ, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য হুমকি। তার বিশ্ব নিয়ে ভাবার সময় নেই, তাকে ভাবতে হবে নিজের দেশ নিয়ে। মেয়ে ইভানকা এবং ইভানকার স্বামী ট্রাম্পের উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার তাকে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাকে স্বরণ করিয়ে দেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, আপনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় ওয়াদা করেছিলেন, এটি ভুলে যাবেন না। সবার আগে আমেরিকার স্বার্থ নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে। আপনি বলেছিলেন, সবার আগে আমেরিকা। সুতরাং ট্রাম্প আর দেরি করলেন না, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করে দেশেই ফিরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। তাতে বিশ্বনেতারা একেবারে হতবিহল হয়ে পড়েছেন।
ট্রাম্প যে সত্যি সত্যিই এই চুক্তি বাতিল করবেন তা কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি। এ নিয়ে বিশ্বনেতারা প্রায় প্রত্যেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও তারা এখন একজোট হয়ে এই চুক্তিকে আরো দৃঢ়ভাবে বাস্তবায় করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পুতিনও তাদের আশ্বস্ত করে বললেন, আমরা অবশ্যই চুক্তি বাস্তবায়ন করবো। এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের সাথে থাকবে। এখনো যথেষ্ট সময় আছে। হয়তো আমাদের ২০২১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন ভবিষ্যতে আমাদের কার্যক্রম কী হবে তা নিয়েই ভাবতে হবে।