খােলা বাজার২৪।। শনিবার , ১০জুন, ২০১৭: রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ করে ইফতারির আগমুহূর্তে, অফিস ছুটির সময় এবং মার্কেট কেন্দ্রীক রাস্তায় অনেক ভিড় হয়। আর তাই বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হলেও কখনও কখনও রাস্তার ধারণ ক্ষমতা কম থাকার ফলে এবং রাস্তার ধারন ক্ষমতা যখন আয়ত্বের বাইরে চলে যায় তখন ধৈর্য ধরা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
শুক্রবার রাতে ডিবিসি নিউজের উপসংহার অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. আবদুর রহিম।
মফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের কিছু প্রবণতা লক্ষ্য করার মতো। বছরের অন্যান্য সময় সব মানুষ সকাল বেলা অফিসে যায়। কিন্তু তাদের ফেরার সময়টা আগে পিছে হতে পারে। কেউ হয়তো রিলাক্স মুডে ধীরে সুস্থে বের হয়, আবার কেউবা ছুটির পরও অফিসে কাজ করে দেরিতে বের হয়। কিন্তু রমজান মাস এলেই কর্মজীবি মানুষের চলাফেরার সময়টা অনেকখানি ভিন্ন হয়ে পড়ে। সবাই একসাথে অফিস থেকে বের হন। নিজ নিজ গন্তব্য যাবার জন্য একসাথে রাস্তায় নেমে পড়েন। তাতেই সৃষ্টি হয় যানজটের। আর রমজানের শুরু থেকে দিন বাড়ার সাথে সাথে যানজটের কবলে পড়েছে গোটা রাজধানীবাসী। তার উপর একটু একটু করে জমে উঠছে ঈদ বাজার। সব মিলে যানজট আতঙ্কে আছে রাজধানীবাসী। চলতি মৌসুমে রাজধানীর বহু রাস্তায় সংস্কার কাজ চলমান থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের আশঙ্কাও লেগে আছে জনগণের। অবশ্য ট্রাফিক বিভাগ রমজানের যানজট সহনীয় রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিগত বছরগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, রমজান মাসে ঈদ কেন্দ্রিক কিছু তৎপরতা বেড়ে যায়। ঢাকা শহরে বাইরের রিক্সা যেমন ঢোকে তেমনি বেড়ে যায় ফুটপাতের হকারও। সাথে যুক্ত হয় পথের ধারে ইফতার বাজার। এসব বাড়িয়ে দেয় যানজট। আর তাই আমাদের যানজট কমাতে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে করে নতুন করে রাস্তা খোড়াখুরি না হয়, বিভিন্ন কারণে রাস্তা দখলদারের হাতে না যায়। তাহলে কিছুটা হলেও যানজট কমবে।